আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


اِذَا وَقَعَتِ الْوَاقِعَۃُ ۙ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
ইযা-ওয়াকা‘আতিল ওয়া-কি‘আহ।
আল বায়ান:
যখন কিয়ামত সংঘটিত হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন সেই অবশ্যম্ভাবী ঘটনাটি ঘটবে,
Sahih International:
When the Occurrence occurs,



لَیْسَ لِوَقْعَتِهَا کَاذِبَۃٌ ۘ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
লাইছা লিওয়াক‘আতিহা-কা-যিবাহ।
আল বায়ান:
তার সংঘটনের কোনই অস্বীকারকারী থাকবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
তখন তার সংঘটন অস্বীকার করার কেউ থাকবে না,
Sahih International:
There is, at its occurrence, no denial.



خَافِضَۃٌ رَّافِعَۃٌ ۙ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
খা-ফিদাতুর রাফি‘আহ।
আল বায়ান:
তা কাউকে ভূলুণ্ঠিত করবে এবং কাউকে করবে সমুন্নত।
তাইসিরুল কুরআন:
(অনেককে করা হবে) নীচু, (অনেককে করা হবে) উঁচু,
Sahih International:
It will bring down [some] and raise up [others].



اِذَا رُجَّتِ الْاَرْضُ رَجًّا ۙ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
ইযা-রুজ্জাতিল আরদুরাজ্জা-।
আল বায়ান:
যখন যমীন প্রকম্পিত হবে প্রবল প্রকম্পনে।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন পৃথিবী প্রবল কম্পনে হবে প্রকম্পিত,
Sahih International:
When the earth is shaken with convulsion



وَّ بُسَّتِ الْجِبَالُ بَسًّا ۙ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া বুছছাতিল জিবা-লুবাছছা-।
আল বায়ান:
আর পর্বতমালা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে পড়বে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর পাহাড়গুলো হবে চূর্ণ বিচূর্ণ,
Sahih International:
And the mountains are broken down, crumbling



فَکَانَتْ هَبَآءً مُّنْۢبَثًّا ۙ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
ফাকা-নাত হাবাআম মুমবাছছা-।
আল বায়ান:
অতঃপর তা বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তখন তা বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত হবে।
Sahih International:
And become dust dispersing.



وَّ کُنْتُمْ اَزْوَاجًا ثَلٰثَۃً ؕ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কুনতুম আযওয়া-জান ছালা-ছাহ।
আল বায়ান:
আর তোমরা বিভক্ত হয়ে পড়বে তিন দলে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তোমরা হবে তিন অংশে বিভক্ত,
Sahih International:
And you become [of] three kinds:



فَاَصْحٰبُ الْمَیْمَنَۃِ ۬ۙ مَاۤ اَصْحٰبُ الْمَیْمَنَۃِ ؕ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
ফাআসহা-বুল মাইমানাতি মাআসহা-বুল মাইমানাহ।
আল বায়ান:
সুতরাং ডান পার্শ্বের দল, ডান পার্শ্বের দলটি কত সৌভাগ্যবান!
তাইসিরুল কুরআন:
তখন (হবে) ডান দিকের একটি দল; কত ভাগ্যবান ডান দিকের দল।
Sahih International:
Then the companions of the right - what are the companions of the right?



وَ اَصْحٰبُ الْمَشْـَٔمَۃِ ۬ۙ مَاۤ اَصْحٰبُ الْمَشْـَٔمَۃِ ؕ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আসহা-বুল মাশআমাতি মাআসহা-বুল মাশআমাহ ।
আল বায়ান:
আর বাম পার্শ্বের দল, বাম পার্শ্বের দলটি কত হতভাগ্য!
তাইসিরুল কুরআন:
আর বাম দিকের একটি দল; কত দুর্ভাগা বাম দিকের দলটি।
Sahih International:
And the companions of the left - what are the companions of the left?



وَ السّٰبِقُوْنَ السّٰبِقُوْنَ ﴿ۚۙ۱۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়াছছা-বিকূনাছছা-বিকূন।
আল বায়ান:
আর অগ্রগামীরাই অগ্রগামী।
তাইসিরুল কুরআন:
আর (ঈমানে) অগ্রবর্তীরা তো (পরকালেও) অগ্রবর্তী,
Sahih International:
And the forerunners, the forerunners -



اُولٰٓئِکَ الْمُقَرَّبُوْنَ ﴿ۚ۱۱﴾
উচ্চারণ:
উলাইকাল মুকাররাবূন।
আল বায়ান:
তারাই সান্নিধ্যপ্রাপ্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
তারাই (আল্লাহর) নৈকট্যপ্রাপ্ত
Sahih International:
Those are the ones brought near [to Allah]



فِیْ جَنّٰتِ النَّعِیْمِ ﴿۱۲﴾
উচ্চারণ:
ফী জান্না-তিন না‘ঈম।
আল বায়ান:
তারা থাকবে নিআমতপূর্ণ জান্নাতসমূহে ।
তাইসিরুল কুরআন:
(তারা থাকবে) নি‘মাতে পরিপূর্ণ জান্নাতে।
Sahih International:
In the Gardens of Pleasure,



ثُلَّۃٌ مِّنَ الْاَوَّلِیْنَ ﴿ۙ۱۳﴾
উচ্চারণ:
ছু ল্লাতুম মিনাল আওওয়ালীন।
আল বায়ান:
বহুসংখ্যক হবে পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে,
তাইসিরুল কুরআন:
পূর্ববর্তীদের মধ্য হতে বহু সংখ্যক।
Sahih International:
A [large] company of the former peoples



وَ قَلِیْلٌ مِّنَ الْاٰخِرِیْنَ ﴿ؕ۱۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কালীলুম মিনাল আ-খিরীন।
আল বায়ান:
আর অল্পসংখ্যক হবে পরবর্তীদের মধ্য থেকে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর পরবর্তীদের মধ্য হতে কম সংখ্যক।
Sahih International:
And a few of the later peoples,



عَلٰی سُرُرٍ مَّوْضُوْنَۃٍ ﴿ۙ۱۵﴾
উচ্চারণ:
‘আলা-ছুরুরিমমাওদূ নাহ।
আল বায়ান:
স্বর্ণ ও দামী পাথরখচিত আসনে!
তাইসিরুল কুরআন:
(তারা থাকবে) মণিমুক্তা খচিত আসনে,
Sahih International:
On thrones woven [with ornament],



مُّتَّکِـِٕیْنَ عَلَیْهَا مُتَقٰبِلِیْنَ ﴿۱۶﴾
উচ্চারণ:
মুত্তাকিঈনা ‘আলাইহা-মুতাকা-বিলীন।
আল বায়ান:
তারা সেখানে হেলান দিয়ে আসীন থাকবে মুখোমুখি অবস্থায়।
তাইসিরুল কুরআন:
তাতে তারা হেলান দিয়ে বসবে পরস্পর মুখোমুখী হয়ে।
Sahih International:
Reclining on them, facing each other.



یَطُوْفُ عَلَیْهِمْ وِلْدَانٌ مُّخَلَّدُوْنَ ﴿ۙ۱۷﴾
উচ্চারণ:
ইয়াতূ ফূ‘আলাইহিম বিলদা-নুমমুখাল্লাদূন।
আল বায়ান:
তাদের আশ-পাশে ঘোরাফেরা করবে চির কিশোররা,
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের চারপাশে ঘুর ঘুর করবে (সেবায় নিয়োজিত) চির কিশোররা।
Sahih International:
There will circulate among them young boys made eternal



بِاَکْوَابٍ وَّ اَبَارِیْقَ ۬ۙ وَ کَاْسٍ مِّنْ مَّعِیْنٍ ﴿ۙ۱۸﴾
উচ্চারণ:
বিআকওয়া-বিওঁ ওয়া আবা-রীকা ওয়াকা’ছিম মিম্মা‘ঈন।
আল বায়ান:
পানপাত্র, জগ ও প্রবাহিত ঝর্ণার শরাবপূর্ণ পেয়ালা নিয়ে,
তাইসিরুল কুরআন:
পানপাত্র, কেটলি আর ঝর্ণার প্রবাহিত স্বচ্ছ সুরায় ভরা পেয়ালা নিয়ে,
Sahih International:
With vessels, pitchers and a cup [of wine] from a flowing spring -



لَّا یُصَدَّعُوْنَ عَنْهَا وَ لَا یُنْزِفُوْنَ ﴿ۙ۱۹﴾
উচ্চারণ:
লা-ইউসাদ্দা‘ঊনা ‘আনহা-ওয়ালা ইউনযিফূন।
আল বায়ান:
তা পানে না তাদের মাথা ব্যথা করবে, আর না তারা মাতাল হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তা পান করলে মাথা ঘুরবে না, জ্ঞানও লোপ পাবে না
Sahih International:
No headache will they have therefrom, nor will they be intoxicated -



وَ فَاکِهَۃٍ مِّمَّا یَتَخَیَّرُوْنَ ﴿ۙ۲۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ফা-কিহাতিম মিম্মা-ইয়াতাখাইয়ারূন।
আল বায়ান:
আর (ঘোরাফেরা করবে) তাদের পছন্দমত ফল নিয়ে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর নানান ফলমূল, ইচ্ছেমত যেটা তারা বেছে নেবে,
Sahih International:
And fruit of what they select



وَ لَحْمِ طَیْرٍ مِّمَّا یَشْتَهُوْنَ ﴿ؕ۲۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাহমি তাইরিম মিম্মা-ইয়াশতাহূন।
আল বায়ান:
আর পাখির গোশ্‌ত নিয়ে, যা তারা কামনা করবে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর পাখীর গোশত যেটা তাদের মনে চাইবে,
Sahih International:
And the meat of fowl, from whatever they desire.



وَ حُوْرٌ عِیْنٌ ﴿ۙ۲۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া হূরুন ‘ঈন।
আল বায়ান:
আর থাকবে ডাগরচোখা হূর,
তাইসিরুল কুরআন:
আর (সেখানে থাকবে) ডাগর ডাগর উজ্জ্বল সুন্দর চোখওয়ালা সুন্দরীরা,
Sahih International:
And [for them are] fair women with large, [beautiful] eyes,



کَاَمْثَالِ اللُّؤْلُوَٴ الْمَکْنُوْنِ ﴿ۚ۲۳﴾
উচ্চারণ:
কাআমছা-লিল লু’লুয়িল মাকনূন।
আল বায়ান:
যেন তারা সুরক্ষিত মুক্তা,
তাইসিরুল কুরআন:
সযত্নে লুকিয়ে রাখা মুক্তোর মত,
Sahih International:
The likenesses of pearls well-protected,



جَزَآءًۢ بِمَا کَانُوْا یَعْمَلُوْنَ ﴿۲۴﴾
উচ্চারণ:
জাযাআম বিমা-কা-নূইয়া‘মালূন।
আল বায়ান:
তারা যে আমল করত তার প্রতিদানস্বরূপ।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের কর্মের প্রতিদান হিসেবে!
Sahih International:
As reward for what they used to do.



لَا یَسْمَعُوْنَ فِیْهَا لَغْوًا وَّ لَا تَاْثِیْمًا ﴿ۙ۲۵﴾
উচ্চারণ:
লা-ইয়াছমা‘ঊনা ফীহা-লাগওয়াওঁ ওয়ালা-তা’ছীমা-।
আল বায়ান:
তারা সেখানে শুনতে পাবে না কোন বেহুদা কথা, এবং না পাপের কথা;
তাইসিরুল কুরআন:
সেখানে তারা শুনবে না কোন অনর্থক কথাবার্তা, আর পাপের বুলি,
Sahih International:
They will not hear therein ill speech or commission of sin -



اِلَّا قِیْلًا سَلٰمًا سَلٰمًا ﴿۲۶﴾
উচ্চারণ:
ইল্লা-কীলান ছালা-মান ছালা-মা-।
আল বায়ান:
শুধু এই বাণী ছাড়া, ‘সালাম, সালাম’
তাইসিরুল কুরআন:
এমন কথা ছাড়া যা হবে শান্তিময়, নিরাপদ,
Sahih International:
Only a saying: "Peace, peace."



وَ اَصْحٰبُ الْیَمِیْنِ ۬ۙ مَاۤ اَصْحٰبُ الْیَمِیْنِ ﴿ؕ۲۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আসহা-বুল ইয়ামীনি মাআসহা-বুল ইয়ামীন।
আল বায়ান:
আর ডান দিকের দল; কত ভাগ্যবান ডান দিকের দল!
তাইসিরুল কুরআন:
আর ডানদিকের দল, কত ভাগ্যবান ডান দিকের দল!
Sahih International:
The companions of the right - what are the companions of the right?



فِیْ سِدْرٍ مَّخْضُوْدٍ ﴿ۙ۲۸﴾
উচ্চারণ:
ফী ছিদরিম মাখদূদ।
আল বায়ান:
তারা থাকবে কাঁটাবিহীন কুলগাছের নিচে,
তাইসিরুল কুরআন:
তারা থাকবে কাঁটা বিহীন বরই গাছগুলোর মাঝে,
Sahih International:
[They will be] among lote trees with thorns removed



وَّ طَلْحٍ مَّنْضُوْدٍ ﴿ۙ۲۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া তালহিমমানদূ দ।
আল বায়ান:
আর কাঁদিপূর্ণ কলাগাছের নিচে,
তাইসিরুল কুরআন:
কলা গাছের মাঝে যাতে আছে থরে থরে সাজানো কলা,
Sahih International:
And [banana] trees layered [with fruit]



وَّ ظِلٍّ مَّمْدُوْدٍ ﴿ۙ۳۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া জিলিলমমামদুদ।
আল বায়ান:
আর বিস্তৃত ছায়ায়,
তাইসিরুল কুরআন:
বিস্তীর্ণ অঞ্চল-জুড়া ছায়ায়,
Sahih International:
And shade extended



وَّ مَآءٍ مَّسْکُوْبٍ ﴿ۙ۳۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মাইমমাছকূব।
আল বায়ান:
আর সদা প্রবাহিত পানির পাশে,
তাইসিরুল কুরআন:
অবিরাম প্রবহমান পানির ধারে,
Sahih International:
And water poured out



وَّ فَاکِهَۃٍ کَثِیْرَۃٍ ﴿ۙ۳۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ফা-কিহাতিন কাছীরাহ।
আল বায়ান:
আর প্রচুর ফলমূলে,
তাইসিরুল কুরআন:
আর পর্যাপ্ত ফলমূল পরিবেষ্টিত হয়ে,
Sahih International:
And fruit, abundant [and varied],



لَّا مَقْطُوْعَۃٍ وَّ لَا مَمْنُوْعَۃٍ ﴿ۙ۳۳﴾
উচ্চারণ:
লা-মাকতূ‘আতিওঁ ওয়ালা-মামনূ‘আহ।
আল বায়ান:
যা শেষ হবে না এবং নিষিদ্ধও হবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
যা কখনও শেষ হবে না, কক্ষনো নিষিদ্ধও হবে না।
Sahih International:
Neither limited [to season] nor forbidden,



وَّ فُرُشٍ مَّرْفُوْعَۃٍ ﴿ؕ۳۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ফুরুশিমমারফূ‘আহ।
আল বায়ান:
(তারা থাকবে) সুউচ্চ শয্যাসমূহে;
তাইসিরুল কুরআন:
আর উঁচু উঁচু বিছানায়।
Sahih International:
And [upon] beds raised high.



اِنَّاۤ اَنْشَاْنٰهُنَّ اِنْشَآءً ﴿ۙ۳۵﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাআনশা’না-হুন্না ইনশাআ।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আমি হূরদেরকে বিশেষভাবে সৃষ্টি করব।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদেরকে (অর্থাৎ ঐ হুরদেরকে) আমি সৃষ্টি করেছি এক অভিনব সৃষ্টিতে,
Sahih International:
Indeed, We have produced the women of Paradise in a [new] creation



فَجَعَلْنٰهُنَّ اَبْکَارًا ﴿ۙ۳۶﴾
উচ্চারণ:
ফাজা‘আলনা-হুন্না আবকা-রা।
আল বায়ান:
অতঃপর তাদেরকে বানাব কুমারী,
তাইসিরুল কুরআন:
আর তাদেরকে করেছি কুমারী,
Sahih International:
And made them virgins,



عُرُبًا اَتْرَابًا ﴿ۙ۳۷﴾
উচ্চারণ:
‘উরুবান আতরা-বা-।
আল বায়ান:
সোহাগিনী ও সমবয়সী।
তাইসিরুল কুরআন:
স্বামী ভক্তা, অনুরক্তা আর সমবয়স্কা,
Sahih International:
Devoted [to their husbands] and of equal age,



لِّاَصْحٰبِ الْیَمِیْنِ ﴿ؕ۳۸﴾
উচ্চারণ:
লিআসহা-বিল ইয়ামীন।
আল বায়ান:
ডানদিকের লোকদের জন্য।
তাইসিরুল কুরআন:
(এ সব হল) ডান দিকের লোকদের জন্য,
Sahih International:
For the companions of the right [who are]



ثُلَّۃٌ مِّنَ الْاَوَّلِیْنَ ﴿ۙ۳۹﴾
উচ্চারণ:
ছু ল্লাতুম মিনাল আওওয়ালীন।
আল বায়ান:
তাদের অনেকে হবে পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে।
তাইসিরুল কুরআন:
(যারা হবে) পূর্ববর্তীদের মধ্য হতে বহু সংখ্যক
Sahih International:
A company of the former peoples



وَ ثُلَّۃٌ مِّنَ الْاٰخِرِیْنَ ﴿ؕ۴۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ছুল্লাতুম মিনাল আ-খিরীন।
আল বায়ান:
আর অনেকে হবে পরবর্তীদের মধ্য থেকে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর পরবর্তীদের মধ্য থেকে বহুসংখ্যক
Sahih International:
And a company of the later peoples.



وَ اَصْحٰبُ الشِّمَالِ ۬ۙ مَاۤ اَصْحٰبُ الشِّمَالِ ﴿ؕ۴۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আসহা-বুশশিমা-লি মাআসহা-বুশ শিমা-ল।
আল বায়ান:
আর বাম দিকের দল, কত হতভাগ্য বাম দিকের দল!
তাইসিরুল কুরআন:
আর বাম দিকের দল, কত হতভাগ্য বামদিকের দল!
Sahih International:
And the companions of the left - what are the companions of the left?



فِیْ سَمُوْمٍ وَّ حَمِیْمٍ ﴿ۙ۴۲﴾
উচ্চারণ:
ফী ছামূমিওঁ ওয়া হামীম।
আল বায়ান:
তারা থাকবে তীব্র গরম হাওয়া এবং প্রচন্ড উত্তপ্ত পানিতে,
তাইসিরুল কুরআন:
(তারা থাকবে) অত্যধিক গরম হাওয়া, ফুটন্ত পানি
Sahih International:
[They will be] in scorching fire and scalding water



وَّ ظِلٍّ مِّنْ یَّحْمُوْمٍ ﴿ۙ۴۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া জিলিলম মিইঁ ইয়াহমূম।
আল বায়ান:
আর প্রচন্ড কালো ধোঁয়ার ছায়ায়,
তাইসিরুল কুরআন:
আর কালো ধোঁয়ার ছায়ায়,
Sahih International:
And a shade of black smoke,



لَّا بَارِدٍ وَّ لَا کَرِیْمٍ ﴿۴۴﴾
উচ্চারণ:
লা-বা-রিদিওঁ ওয়ালা-কারীম।
আল বায়ান:
যা শীতলও নয়, সুখকরও নয়।
তাইসিরুল কুরআন:
যা শীতলও নয়, তৃপ্তিদায়কও নয়।
Sahih International:
Neither cool nor beneficial.



اِنَّهُمْ کَانُوْا قَبْلَ ذٰلِکَ مُتْرَفِیْنَ ﴿ۚۖ۴۵﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাহুম কা-নূকাবলা যা-লিকা মুতরাফীন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় তারা ইতঃপূর্বে বিলাসিতায় মগ্ন ছিল,
তাইসিরুল কুরআন:
ইতোপূর্বে তারা ভোগ বিলাসে মত্ত ছিল,
Sahih International:
Indeed they were, before that, indulging in affluence,



وَ کَانُوْا یُصِرُّوْنَ عَلَی الْحِنْثِ الْعَظِیْمِ ﴿ۚ۴۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়াকা-নূইউসিররূনা ‘আলাল হিনছিল ‘আজীম।
আল বায়ান:
আর তারা জঘন্য পাপে লেগে থাকত।
তাইসিরুল কুরআন:
আর অবিরাম ক’রে যেত বড় বড় পাপের কাজ,
Sahih International:
And they used to persist in the great violation,



وَ کَانُوْا یَقُوْلُوْنَ ۬ۙ اَئِذَا مِتْنَا وَ کُنَّا تُرَابًا وَّ عِظَامًا ءَاِنَّا لَمَبْعُوْثُوْنَ ﴿ۙ۴۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কা-নূইয়াকূলূনা আইযা-মিতনা-ওয়া কুন্না-তুরা-বাওঁ ওয়া ‘ইজা-মান আইন্নালামাব‘ঊছূন।
আল বায়ান:
আর তারা বলত, ‘আমরা যখন মরে যাব এবং মাটি ও হাড়ে পরিণত হব তখনও কি আমরা পুনরুত্থিত হব?’
তাইসিরুল কুরআন:
আর তারা বলত- ‘আমরা যখন মরে যাব আর মাটি ও হাড়ে পরিণত হব, তখন কি আমাদেরকে (নতুন জীবন দিয়ে) আবার উঠানো হবে?
Sahih International:
And they used to say, "When we die and become dust and bones, are we indeed to be resurrected?



اَوَ اٰبَآؤُنَا الْاَوَّلُوْنَ ﴿۴۸﴾
উচ্চারণ:
আওয়া আ-বাউনাল আওওয়ালূন।
আল বায়ান:
‘আমাদের পূর্ববর্তী পিতৃপুরুষরাও?’
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমাদের বাপদাদাদেরকেও?
Sahih International:
And our forefathers [as well]?"



قُلْ اِنَّ الْاَوَّلِیْنَ وَ الْاٰخِرِیْنَ ﴿ۙ۴۹﴾
উচ্চারণ:
কুল ইন্নাল আওওয়ালীনা ওয়াল আ-খিরীন।
আল বায়ান:
বল, ‘নিশ্চয় পূর্ববর্তীরা ও পরবর্তীরা,
তাইসিরুল কুরআন:
বল- ‘পূর্ববর্তী আর পরবর্তী
Sahih International:
Say, [O Muhammad], "Indeed, the former and the later peoples



لَمَجْمُوْعُوْنَ ۬ۙ اِلٰی مِیْقَاتِ یَوْمٍ مَّعْلُوْمٍ ﴿۵۰﴾
উচ্চারণ:
লামাজমূ‘ঊনা ইলা-মীকা-তি ইয়াওমিম মা‘লূম।
আল বায়ান:
এক নির্ধারিত দিনের নির্দিষ্ট সময়ে অবশ্যই একত্র হবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
অবশ্যই সকলকে একত্রিত করা হবে একটা নির্ধারিত দিনে যা (আল্লাহর) জানা আছে।
Sahih International:
Are to be gathered together for the appointment of a known Day."



ثُمَّ اِنَّکُمْ اَیُّهَا الضَّآلُّوْنَ الْمُکَذِّبُوْنَ ﴿ۙ۵۱﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা ইন্নাকুম আইইয়ুহাদ্দাললূনাল মুকাযযি বূন।
আল বায়ান:
তারপর হে পথভ্রষ্ট ও অস্বীকারকারীরা,
তাইসিরুল কুরআন:
তখন হে গুমরাহ (সত্য) প্রত্যাখ্যানকারীরা!
Sahih International:
Then indeed you, O those astray [who are] deniers,



لَاٰکِلُوْنَ مِنْ شَجَرٍ مِّنْ زَقُّوْمٍ ﴿ۙ۵۲﴾
উচ্চারণ:
লাআ-কিলূনা মিন শাজারিম মিন যাক্কূম।
আল বায়ান:
তোমরা অবশ্যই যাক্কূম গাছ থেকে খাবে,
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা অবশ্যই জাক্কুম গাছ থেকে আহার করবে,
Sahih International:
Will be eating from trees of zaqqum



فَمَالِـُٔوْنَ مِنْهَا الْبُطُوْنَ ﴿ۚ۵۳﴾
উচ্চারণ:
ফামা-লিঊনা মিনহাল বুতূন।
আল বায়ান:
অতঃপর তা দিয়ে পেট ভর্তি করবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তা দিয়ে তোমরা তোমাদের পেট ভর্তি করবে,
Sahih International:
And filling with it your bellies



فَشٰرِبُوْنَ عَلَیْهِ مِنَ الْحَمِیْمِ ﴿ۚ۵۴﴾
উচ্চারণ:
ফাশা-রিবূনা ‘আলাইহি মিনাল হামীম।
আল বায়ান:
তদুপরি পান করবে প্রচন্ড উত্তপ্ত পানি।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তার উপর পান করবে ফুটন্ত পানি,
Sahih International:
And drinking on top of it from scalding water



فَشٰرِبُوْنَ شُرْبَ الْهِیْمِ ﴿ؕ۵۵﴾
উচ্চারণ:
ফাশা-রিবূনা শুরবাল হীম।
আল বায়ান:
অতঃপর তোমরা তা পান করবে তৃষ্ণাতুর উটের ন্যায়।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তা পান করবে পিপাসা-কাতর উটের মত
Sahih International:
And will drink as the drinking of thirsty camels.



هٰذَا نُزُلُهُمْ یَوْمَ الدِّیْنِ ﴿ؕ۵۶﴾
উচ্চারণ:
হা-যা-নুযুলুহুম ইয়াওমাদ্দীন।
আল বায়ান:
প্রতিফল দিবসে এই হবে তাদের মেহমানদারী,
তাইসিরুল কুরআন:
প্রতিফল দেয়ার দিনে এই হবে তাদের আপ্যায়ন
Sahih International:
That is their accommodation on the Day of Recompense.



نَحْنُ خَلَقْنٰکُمْ فَلَوْ لَا تُصَدِّقُوْنَ ﴿۵۷﴾
উচ্চারণ:
নাহনুখালাকনা-কুম ফালাওলা-তুসাদ্দিকূন।
আল বায়ান:
আমিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি: তাহলে কেন তোমরা তা বিশ্বাস করছ না?
তাইসিরুল কুরআন:
আমিই তো তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি, তাহলে তোমরা সত্যকে বিশ্বাস করবে না কেন?
Sahih International:
We have created you, so why do you not believe?



اَفَرَءَیْتُمْ مَّا تُمْنُوْنَ ﴿ؕ۵۸﴾
উচ্চারণ:
আফারাআইতুমমা-তুমনূন।
আল বায়ান:
তোমরা কি ভেবে দেখেছ, তোমরা যে বীর্যপাত করছ সে সম্পর্কে?
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা কি ভেবে দেখেছ- তোমরা যে বীর্য নিক্ষেপ কর,
Sahih International:
Have you seen that which you emit?



ءَاَنْتُمْ تَخْلُقُوْنَهٗۤ اَمْ نَحْنُ الْخٰلِقُوْنَ ﴿۵۹﴾
উচ্চারণ:
আ আনতুম তাখলুকূনাহূআম নাহনুল খা-লিকূন।
আল বায়ান:
তা কি তোমরা সৃষ্টি কর, না আমিই তার স্রষ্টা?
তাইসিরুল কুরআন:
তা কি তোমরা সৃষ্টি কর, না তার সৃষ্টিকর্তা আমিই।
Sahih International:
Is it you who creates it, or are We the Creator?



نَحْنُ قَدَّرْنَا بَیْنَکُمُ الْمَوْتَ وَ مَا نَحْنُ بِمَسْبُوْقِیْنَ ﴿ۙ۶۰﴾
উচ্চারণ:
নাহনুকাদ্দারনা-বাইনাকুমুল মাওতা ওয়ামা-নাহনুবিমাছবূকীন।
আল বায়ান:
আমি তোমাদের মধ্যে মৃত্যু নির্ধারণ করেছি এবং আমাকে অক্ষম করা যাবে না,
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের মধ্যে মৃত্যু আমিই নির্ধারণ করি, আর আমি কিছুমাত্র অক্ষম নই
Sahih International:
We have decreed death among you, and We are not to be outdone



عَلٰۤی اَنْ نُّبَدِّلَ اَمْثَالَکُمْ وَ نُنْشِئَکُمْ فِیْ مَا لَا تَعْلَمُوْنَ ﴿۶۱﴾
উচ্চারণ:
‘আলাআননুবাদ্দিলা আমছা-লাকুম ওয়া নুনশিআকুম ফী মা-লা-তা‘লামূন।
আল বায়ান:
তোমাদের স্থানে তোমাদের বিকল্প আনয়ন করতে এবং তোমাদেরকে এমনভাবে সৃষ্টি করতে যা তোমরা জান না।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের আকার আকৃতি পরিবর্তন করতে আর তোমাদেরকে (নতুনভাবে) এমন এক আকৃতিতে সৃষ্টি করতে যা তোমরা জান না।
Sahih International:
In that We will change your likenesses and produce you in that [form] which you do not know.



وَ لَقَدْ عَلِمْتُمُ النَّشْاَۃَ الْاُوْلٰی فَلَوْ لَا تَذَکَّرُوْنَ ﴿۶۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ ‘আলিমতুমুন্নাশআতাল ঊলা-ফালাওলা-তাযাক্কারূন।
আল বায়ান:
আর তোমরা তো প্রথম সৃষ্টি সম্পর্কে জেনেছ, তবে কেন তোমরা উপদেশ গ্রহণ করছ না?
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা তোমাদের প্রথম সৃষ্টি সম্বন্ধে অবশ্যই জান তাহলে (আল্লাহ যে তোমাদেরকে পুনরায় সৃষ্টি করতে সক্ষম এ কথা) তোমরা অনুধাবন কর না কেন?
Sahih International:
And you have already known the first creation, so will you not remember?



اَفَرَءَیْتُمْ مَّا تَحْرُثُوْنَ ﴿ؕ۶۳﴾
উচ্চারণ:
আফারাআইতুম মা-তাহরুছূন।
আল বায়ান:
তোমরা আমাকে বল, তোমরা যমীনে যা বপন কর সে ব্যাপারে,
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা কি ভেবে দেখেছ তোমরা যে বীজ বপন কর সে সম্পর্কে?
Sahih International:
And have you seen that [seed] which you sow?



ءَاَنْتُمْ تَزْرَعُوْنَهٗۤ اَمْ نَحْنُ الزّٰرِعُوْنَ ﴿۶۴﴾
উচ্চারণ:
আআনতুম তাযরা‘ঊনাহূআম নাহনুযযা-রি‘ঊন।
আল বায়ান:
তোমরা তা অঙ্কুরিত কর, না আমি অঙ্কুরিত করি?
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরাই কি তা উৎপন্ন কর, না আমিই উৎপন্নকারী?
Sahih International:
Is it you who makes it grow, or are We the grower?



لَوْ نَشَآءُ لَجَعَلْنٰهُ حُطَامًا فَظَلْتُمْ تَفَکَّهُوْنَ ﴿۶۵﴾
উচ্চারণ:
লাও নাশা-উ লাজা‘আলনা-হু হুতা-মান ফাজালতুম তাফাক্কাহূন।
আল বায়ান:
আমি চাইলে তা খড়-কুটায় পরিণত করতে পারি, তখন তোমরা পরিতাপ করতে থাকবে-
তাইসিরুল কুরআন:
আমি ইচ্ছে করলে তাকে অবশ্যই খড়কুটা করে দিতে পারি, তখন তোমরা হয়ে যাবে বিস্ময়ে হতবাক।
Sahih International:
If We willed, We could make it [dry] debris, and you would remain in wonder,



اِنَّا لَمُغْرَمُوْنَ ﴿ۙ۶۶﴾
উচ্চারণ:
ইন্না-লামুগরামূন।
আল বায়ান:
(এই বলে,) ‘নিশ্চয় আমরা দায়গ্রস্ত হয়ে গেলাম’।
তাইসিরুল কুরআন:
(আর বলবে যে) ‘আমরা তো দায়গ্রস্ত হয়ে পড়লাম,
Sahih International:
[Saying], "Indeed, we are [now] in debt;



بَلْ نَحْنُ مَحْرُوْمُوْنَ ﴿۶۷﴾
উচ্চারণ:
বাল নাহনুমাহরূমূন।
আল বায়ান:
‘বরং আমরা মাহরূম হয়েছি’।
তাইসিরুল কুরআন:
বরং আমরা বঞ্চিত হয়ে গেলাম।
Sahih International:
Rather, we have been deprived."



اَفَرَءَیْتُمُ الْمَآءَ الَّذِیْ تَشْرَبُوْنَ ﴿ؕ۶۸﴾
উচ্চারণ:
আফারাআইতুমুল মাআল্লাযী তাশরাবূন।
আল বায়ান:
তোমরা যে পানি পান কর সে ব্যাপারে আমাকে বল।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা কি পানি সম্পর্কে চিন্তা করে দেখেছ যা তোমরা পান কর?
Sahih International:
And have you seen the water that you drink?



ءَاَنْتُمْ اَنْزَلْتُمُوْهُ مِنَ الْمُزْنِ اَمْ نَحْنُ الْمُنْزِلُوْنَ ﴿۶۹﴾
উচ্চারণ:
আ আনতুম আনযালতুমূহু মিনাল মুযনি আম নাহনুল মুনযিলূন।
আল বায়ান:
বৃষ্টিভরা মেঘ থেকে তোমরা কি তা বর্ষণ কর, না আমি বৃষ্টি বর্ষণকারী?
তাইসিরুল কুরআন:
তা কি তোমরাই মেঘ থেকে বর্ষণ কর, নাকি তার বষর্ণকারী আমিই?
Sahih International:
Is it you who brought it down from the clouds, or is it We who bring it down?



لَوْ نَشَآءُ جَعَلْنٰهُ اُجَاجًا فَلَوْ لَا تَشْکُرُوْنَ ﴿۷۰﴾
উচ্চারণ:
লাও নাশাউ জা‘আলনা-হু উজা-জান ফালাওলা-তাশকুরূন।
আল বায়ান:
ইচ্ছা করলে আমি তা লবণাক্ত করে দিতে পারি: তবুও কেন তোমরা কৃতজ্ঞ হও না?
তাইসিরুল কুরআন:
আমি ইচ্ছে করলে তাকে লবণাক্ত করে দিতে পারি, তাহলে কেন তোমরা শোকর আদায় কর না?
Sahih International:
If We willed, We could make it bitter, so why are you not grateful?



اَفَرَءَیْتُمُ النَّارَ الَّتِیْ تُوْرُوْنَ ﴿ؕ۷۱﴾
উচ্চারণ:
আফারাআইতুমুন্না-রাল্লাতী তূরূন।
আল বায়ান:
তোমরা যে আগুন জ্বালাও সে ব্যাপারে আমাকে বল,
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা যে আগুন জ্বালাও সে সম্পর্কে কি তোমরা চিন্তা করে দেখেছ?
Sahih International:
And have you seen the fire that you ignite?



ءَاَنْتُمْ اَنْشَاْتُمْ شَجَرَتَهَاۤ اَمْ نَحْنُ الْمُنْشِـُٔوْنَ ﴿۷۲﴾
উচ্চারণ:
আ আনতুম আনশা’তুম শাজারাতাহাআম নাহনুল মুনশিঊন।
আল বায়ান:
তোমরাই কি এর (লাকড়ির গাছ) উৎপাদন কর, না আমি করি?
তাইসিরুল কুরআন:
তার (জ্বালানোর) গাছ (অর্থাৎ কাঠ) কি তোমরাই বানিয়েছ, নাকি আমিই বানিয়েছি?
Sahih International:
Is it you who produced its tree, or are We the producer?



نَحْنُ جَعَلْنٰهَا تَذْکِرَۃً وَّ مَتَاعًا لِّلْمُقْوِیْنَ ﴿ۚ۷۳﴾
উচ্চারণ:
নাহনুজা‘আলনা-হা-তাযকিরাতাওঁওয়া মাতা-‘আল লিলমুকবিন।
আল বায়ান:
একে আমি করেছি এক স্মারক ও মরুবাসীর প্রয়োজনীয় বস্তু।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তাকে (অর্থাৎ আগুনকে) করেছি স্মারক (যা জাহান্নামের আগুনের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়) আর মরুর অধিবাসীদের জন্য দরকারী ও আরামের বস্তু।
Sahih International:
We have made it a reminder and provision for the travelers,



فَسَبِّحْ بِاسْمِ رَبِّکَ الْعَظِیْمِ ﴿ؓ۷۴﴾
উচ্চারণ:
ফাছাববিহবিছমি রাব্বিকাল ‘আজীম।
আল বায়ান:
অতএব তোমার মহান রবের নামে তাসবীহ পাঠ কর।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই (হে নবী!) তুমি তোমার মহান প্রতিপালকের মহিমা ও গৌরব ঘোষণা কর।
Sahih International:
So exalt the name of your Lord, the Most Great.



فَلَاۤ اُقْسِمُ بِمَوٰقِعِ النُّجُوْمِ ﴿ۙ۷۵﴾
উচ্চারণ:
ফালাউকছিমুবিমাওয়া-কি‘ইননুজূম।
আল বায়ান:
সুতরাং আমি কসম করছি নক্ষত্ররাজির অস্তাচলের,
তাইসিরুল কুরআন:
উপরন্তু আমি শপথ করছি তারকারাজির অস্তাচলের।
Sahih International:
Then I swear by the setting of the stars,



وَ اِنَّهٗ لَقَسَمٌ لَّوْ تَعْلَمُوْنَ عَظِیْمٌ ﴿ۙ۷۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্নাহূলাকাছামুল লাও তা‘লামূনা ‘আজীম।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় এটি এক মহাকসম, যদি তোমরা জানতে,
তাইসিরুল কুরআন:
তা অবশ্যই অতি বড় শপথ যদি তোমরা জানতে!
Sahih International:
And indeed, it is an oath - if you could know - [most] great.



اِنَّهٗ لَقُرْاٰنٌ کَرِیْمٌ ﴿ۙ۷۷﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাহূলাকুরআ-নুন কারীম।
আল বায়ান:
নিশ্চয় এটি মহিমান্বিত কুরআন,
তাইসিরুল কুরআন:
অবশ্যই তা সম্মানিত কুরআন,
Sahih International:
Indeed, it is a noble Qur'an



فِیْ کِتٰبٍ مَّکْنُوْنٍ ﴿ۙ۷۸﴾
উচ্চারণ:
ফী কিতা-বিম মাকনূন।
আল বায়ান:
যা আছে সুরক্ষিত কিতাবে,
তাইসিরুল কুরআন:
(যা লিখিত আছে) সুরক্ষিত কিতাবে,
Sahih International:
In a Register well-protected;



لَّا یَمَسُّهٗۤ اِلَّا الْمُطَهَّرُوْنَ ﴿ؕ۷۹﴾
উচ্চারণ:
লা-ইয়ামাছছুহূইল্লাল মুতাহহারূন।
আল বায়ান:
কেউ তা স্পর্শ করবে না পবিত্রগণ ছাড়া।
তাইসিরুল কুরআন:
পূত-পবিত্র (ফেরেশতা) ছাড়া (শয়ত্বানেরা) তা স্পর্শ করতে পারে না,
Sahih International:
None touch it except the purified.



تَنْزِیْلٌ مِّنْ رَّبِّ الْعٰلَمِیْنَ ﴿۸۰﴾
উচ্চারণ:
তানযীলুম মির রাব্বিল ‘আ-লামীন।
আল বায়ান:
তা সৃষ্টিকুলের রবের কাছ থেকে নাযিলকৃত।
তাইসিরুল কুরআন:
জগৎ সমূহের প্রতিপালকের নিকট থেকে অবতীর্ণ,
Sahih International:
[It is] a revelation from the Lord of the worlds.



اَفَبِهٰذَا الْحَدِیْثِ اَنْتُمْ مُّدْهِنُوْنَ ﴿ۙ۸۱﴾
উচ্চারণ:
আফা বিহা-যাল হাদীছিআনতুম মুদহিনূন।
আল বায়ান:
তবে কি তোমরা এই বাণী তুচ্ছ গণ্য করছ?
তাইসিরুল কুরআন:
তবুও কি তোমরা এ বাণীকে তুচ্ছ মনে করছ?
Sahih International:
Then is it to this statement that you are indifferent



وَ تَجْعَلُوْنَ رِزْقَکُمْ اَنَّکُمْ تُکَذِّبُوْنَ ﴿۸۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া তাজ‘আলূনা রিযকাকুম আন্নাকুম তুকাযযি বূন।
আল বায়ান:
আর তোমরা তোমাদের রিয্ক বানিয়ে নিয়েছ যে, তোমরা মিথ্যা আরোপ করবে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তাকে মিথ্যে বলাকেই তোমরা তোমাদের জীবিকা বানিয়ে নিয়েছ।
Sahih International:
And make [the thanks for] your provision that you deny [the Provider]?



فَلَوْ لَاۤ اِذَا بَلَغَتِ الْحُلْقُوْمَ ﴿ۙ۸۳﴾
উচ্চারণ:
ফালাও লাইযা-বালাগাতিল হুলকূম।
আল বায়ান:
সুতরাং কেন নয়- যখন রূহ কণ্ঠদেশে পৌঁছে যায়?
তাইসিরুল কুরআন:
তাহলে কেন (তোমরা বাধা দাও না) যখন প্রাণ এসে যায় কণ্ঠনালীতে?
Sahih International:
Then why, when the soul at death reaches the throat



وَ اَنْتُمْ حِیْنَئِذٍ تَنْظُرُوْنَ ﴿ۙ۸۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আনতুম হীনাইযিন তানজু রূন।
আল বায়ান:
আর তখন তোমরা কেবল চেয়ে থাক।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তোমরা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখ,
Sahih International:
And you are at that time looking on -



وَ نَحْنُ اَقْرَبُ اِلَیْهِ مِنْکُمْ وَ لٰکِنْ لَّا تُبْصِرُوْنَ ﴿۸۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া নাহনুআকরাবুইলাইহি মিনকুম ওয়ালা-কিল্লা-তুবসিরূন।
আল বায়ান:
আর তোমাদের চাইতে আমি তার খুব কাছে; কিন্তু তোমরা দেখতে পাও না।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমি তোমাদের চেয়ে তার (অর্থাৎ প্রাণের) নিকটবর্তী, কিন্তু তোমরা দেখতে পাওনা।
Sahih International:
And Our angels are nearer to him than you, but you do not see -



فَلَوْ لَاۤ اِنْ کُنْتُمْ غَیْرَ مَدِیْنِیْنَ ﴿ۙ۸۶﴾
উচ্চারণ:
ফালাওলাইন কুনতুম গাইরা মাদীনিন।
আল বায়ান:
তোমাদের যদি প্রতিফল দেয়া না হয়, তাহলে তোমরা কেন
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা যদি (আমার) কর্তৃত্বের অধীন না হও
Sahih International:
Then why do you not, if you are not to be recompensed,



تَرْجِعُوْنَهَاۤ اِنْ کُنْتُمْ صٰدِقِیْنَ ﴿۸۷﴾
উচ্চারণ:
তার জি‘ঊনাহাইন কুনতুম সা-দিকীন।
আল বায়ান:
ফিরিয়ে আনছ না রূহকে, যদি তোমরা সত্যবাদী হও?
তাইসিরুল কুরআন:
তাহলে তোমরা তাকে (অর্থাৎ তোমাদের প্রাণকে মৃত্যুর সময়) ফিরিয়ে নাও না কেন যদি তোমরা (তোমাদের দাবীতে) সত্যবাদী হয়েই থাক?
Sahih International:
Bring it back, if you should be truthful?



فَاَمَّاۤ اِنْ کَانَ مِنَ الْمُقَرَّبِیْنَ ﴿ۙ۸۸﴾
উচ্চারণ:
ফাআম্মাইন কা-না মিনাল মুকাররাবীন।
আল বায়ান:
অতঃপর সে যদি নৈকট্যপ্রাপ্তদের অন্যতম হয়,
তাইসিরুল কুরআন:
অতএব সে যদি (আল্লাহর) নৈকট্য প্রাপ্তদের একজন হয়
Sahih International:
And if the deceased was of those brought near to Allah,



فَرَوْحٌ وَّ رَیْحَانٌ ۬ۙ وَّ جَنَّتُ نَعِیْمٍ ﴿۸۹﴾
উচ্চারণ:
ফারাওহুওঁ ওয়া রাই হা-নুওঁ ওয়া জান্নাতুনা‘ঈম।
আল বায়ান:
তবে তার জন্য থাকবে বিশ্রাম, উত্তম জীবনোপকরণ ও সুখময় জান্নাত।
তাইসিরুল কুরআন:
তাহলে (তার জন্য আছে) আরাম-শান্তি, উত্তম রিযক আর নি‘মাতে-ভরা জান্নাত।
Sahih International:
Then [for him is] rest and bounty and a garden of pleasure.



وَ اَمَّاۤ اِنْ کَانَ مِنْ اَصْحٰبِ الْیَمِیْنِ ﴿ۙ۹۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আম্মাইন কা-না মিন আসহা-বিল ইয়ামীন।
আল বায়ান:
আর সে যদি হয় ডানদিকের একজন,
তাইসিরুল কুরআন:
আর যদি সে ডান দিকের একজন হয়
Sahih International:
And if he was of the companions of the right,



فَسَلٰمٌ لَّکَ مِنْ اَصْحٰبِ الْیَمِیْنِ ﴿ؕ۹۱﴾
উচ্চারণ:
ফাছালা-মুল্লাকা মিন আসহা-বিল ইয়ামীন।
আল বায়ান:
তবে (তাকে বলা হবে), ‘তোমাকে সালাম, যেহেতু তুমি ডানদিকের একজন’।
তাইসিরুল কুরআন:
তাহলে হে ডানের বাসিন্দা! তোমার জন্য আছে শান্তি ও নিরাপত্তা।
Sahih International:
Then [the angels will say], "Peace for you; [you are] from the companions of the right."



وَ اَمَّاۤ اِنْ کَانَ مِنَ الْمُکَذِّبِیْنَ الضَّآلِّیْنَ ﴿ۙ۹۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আম্মাইন কা-না মিনাল মুকাযযি বীনাদ্দাল্লীন।
আল বায়ান:
আর সে যদি হয় অস্বীকারকারী ও পথভ্রষ্ট,
তাইসিরুল কুরআন:
আর সে যদি সত্য অস্বীকারকারী গুমরাহদের অন্তর্গত হয়,
Sahih International:
But if he was of the deniers [who were] astray,



فَنُزُلٌ مِّنْ حَمِیْمٍ ﴿ۙ۹۳﴾
উচ্চারণ:
ফানুযুলুম মিন হামীম।
আল বায়ান:
তবে তার মেহমানদারী হবে প্রচন্ড উত্তপ্ত পানি দিয়ে,
তাইসিরুল কুরআন:
তবে তার আপ্যায়ন হবে ফুটন্ত পানি দিয়ে।
Sahih International:
Then [for him is] accommodation of scalding water



وَّ تَصْلِیَۃُ جَحِیْمٍ ﴿۹۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া তাসলিয়াতুজাহীম।
আল বায়ান:
আর জ্বলন্ত আগুনে প্রজ্জ্বলনে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর (তার জন্য আছে) জাহান্নামের আগুনের দহন,
Sahih International:
And burning in Hellfire



اِنَّ هٰذَا لَهُوَ حَقُّ الْیَقِیْنِ ﴿ۚ۹۵﴾
উচ্চারণ:
ইন্না হা-যা-লাহুওয়া হাক্কুল ইয়াকীন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় এটি অবধারিত সত্য।
তাইসিরুল কুরআন:
এটা সুনিশ্চিত সত্য।
Sahih International:
Indeed, this is the true certainty,



فَسَبِّحْ بِاسْمِ رَبِّکَ الْعَظِیْمِ ﴿۹۶﴾
উচ্চারণ:
ফাছাব্বিহবিছমি রাব্বিকাল ‘আজীম।
আল বায়ান:
অতএব তোমার মহান রবের নামে তাসবীহ পাঠ কর।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই তুমি তোমার মহান প্রতিপালকের গৌরব ও মহিমা ঘোষণা কর।
Sahih International:
So exalt the name of your Lord, the Most Great.






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।