আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


وَ النَّجْمِ اِذَا هَوٰی ۙ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়ান্নাজমি ইযা-হাওয়া-।
আল বায়ান:
কসম নক্ষত্রের, যখন তা অস্ত যায়।
তাইসিরুল কুরআন:
শপথ তারকার যখন তা অস্ত যায়,
Sahih International:
By the star when it descends,



مَا ضَلَّ صَاحِبُکُمْ وَ مَا غَوٰی ۚ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
মা-দাল্লা সা-হিবুকুম ওয়ামা-গাওয়া-।
আল বায়ান:
তোমাদের সঙ্গী পথভ্রষ্ট হয়নি এবং বিপথগামীও হয়নি।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের (মাঝে ছোট থেকে বড় হয়েছে সেই) সঙ্গী গুমরাহও নয় আর ভুলপথে পরিচালিতও নয়,
Sahih International:
Your companion [Muhammad] has not strayed, nor has he erred,



وَ مَا یَنْطِقُ عَنِ الْهَوٰی ؕ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-ইয়ানতিকু‘আনিল হাওয়া-।
আল বায়ান:
আর সে মনগড়া কথা বলে না।
তাইসিরুল কুরআন:
আর সে মনগড়া কথাও বলে না।
Sahih International:
Nor does he speak from [his own] inclination.



اِنْ هُوَ اِلَّا وَحْیٌ یُّوْحٰی ۙ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
ইন হুওয়া ইল্লা-ওয়াহইঊ ইয়ূহা-।
আল বায়ান:
তাতো কেবল ওহী, যা তার প্রতি ওহীরূপে প্রেরণ করা হয়।
তাইসিরুল কুরআন:
তাতো ওয়াহী যা তার প্রতি প্রত্যাদেশ করা হয়,
Sahih International:
It is not but a revelation revealed,



عَلَّمَهٗ شَدِیْدُ الْقُوٰی ۙ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
‘আল্লামাহূশাদীদুল কুওয়া-।
আল বায়ান:
তাকে শিক্ষা দিয়েছে প্রবল শক্তিধর,
তাইসিরুল কুরআন:
তাকে শিক্ষা দেয় শক্তিশালী,
Sahih International:
Taught to him by one intense in strength -



ذُوْ مِرَّۃٍ ؕ فَاسْتَوٰی ۙ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
যূ মিররাতিন ফাছতাওয়া
আল বায়ান:
প্রজ্ঞার অধিকারী*। অতঃপর সে স্থির হয়েছিল,
তাইসিরুল কুরআন:
প্রজ্ঞার অধিকারী (জিবরাঈল) সে নিজ আকৃতিতে স্থির হয়ে ছিল,
Sahih International:
One of soundness. And he rose to [his] true form



وَ هُوَ بِالْاُفُقِ الْاَعْلٰی ؕ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া হুওয়া বিলউফুকিল আ‘লা-।
আল বায়ান:
তখন সে ঊর্ধ্ব দিগন্তে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর সে ছিল ঊর্ধ্ব দিগন্তে,
Sahih International:
While he was in the higher [part of the] horizon.



ثُمَّ دَنَا فَتَدَلّٰی ۙ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা দানা-ফাতাদাল্লা-।
আল বায়ান:
তারপর সে নিকটবর্তী হল, অতঃপর আরো কাছে এল।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর সে (নবীর) নিকটবর্তী হল, অতঃপর আসলো আরো নিকটে,
Sahih International:
Then he approached and descended



فَکَانَ قَابَ قَوْسَیْنِ اَوْ اَدْنٰی ۚ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
ফাকা-না কা-বা কাওছাইনি আও আদনা-।
আল বায়ান:
তখন সে নৈকট্য ছিল দু’ ধনুকের পরিমাণ, অথবা তারও কম।
তাইসিরুল কুরআন:
ফলে [নবী (সাঃ) ও জিবরাঈলের মাঝে] দুই ধনুকের ব্যবধান রইল অথবা আরো কম।
Sahih International:
And was at a distance of two bow lengths or nearer.



فَاَوْحٰۤی اِلٰی عَبْدِهٖ مَاۤ اَوْحٰی ﴿ؕ۱۰﴾
উচ্চারণ:
ফাআওহাইলা-‘আবদিহী মাআওহা-।
আল বায়ান:
অতঃপর তিনি তাঁর বান্দার প্রতি যা ওহী করার তা ওহী করলেন।
তাইসিরুল কুরআন:
তখন (আল্লাহ) তাঁর বান্দাহর প্রতি ওয়াহী করলেন যা ওয়াহী করার ছিল।
Sahih International:
And he revealed to His Servant what he revealed.



مَا کَذَبَ الْفُؤَادُ مَا رَاٰی ﴿۱۱﴾
উচ্চারণ:
মা-কাযাবাল ফুআ-দুমা-রাআ-।
আল বায়ান:
সে যা দেখেছে, অন্তকরণ সে সম্পর্কে মিথ্যা বলেনি।
তাইসিরুল কুরআন:
(নবীর) অন্তঃকরণ মিথ্যে মনে করেনি যা সে দেখে ছিল।
Sahih International:
The heart did not lie [about] what it saw.



اَفَتُمٰرُوْنَهٗ عَلٰی مَا یَرٰی ﴿۱۲﴾
উচ্চারণ:
আফাতুমা-রূনাহূ‘আলা-মা-ইয়ারা-।
আল বায়ান:
সে যা দেখেছে, সে সম্পর্কে তোমরা কি তার সাথে বিতর্ক করবে?
তাইসিরুল কুরআন:
সে যা দেখেছে সে বিষয়ে তোমরা কি তার সঙ্গে বিতর্ক করবে?
Sahih International:
So will you dispute with him over what he saw?



وَ لَقَدْ رَاٰهُ نَزْلَۃً اُخْرٰی ﴿ۙ۱۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ রাআ-হু নাযলাতান উখরা-।
আল বায়ান:
আর সে তো তাকে* আরেকবার দেখেছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
অবশ্যই সে [অর্থাৎ নবী (সা.)] তাকে [অর্থাৎ জিবরাঈল (আঃ)-কে] আরেকবার দেখেছিল
Sahih International:
And he certainly saw him in another descent



عِنْدَ سِدْرَۃِ الْمُنْتَهٰی ﴿۱۴﴾
উচ্চারণ:
‘ইনদা ছিদ রাতিল মুনতাহা-।
আল বায়ান:
সিদরাতুল মুনতাহার* নিকট।
তাইসিরুল কুরআন:
শেষসীমার বরই গাছের কাছে,
Sahih International:
At the Lote Tree of the Utmost Boundary -



عِنْدَهَا جَنَّۃُ الْمَاْوٰی ﴿ؕ۱۵﴾
উচ্চারণ:
‘ইনদাহা-জান্নাতুল মা’ওয়া-।
আল বায়ান:
যার কাছে জান্নাতুল মা’ওয়া* অবস্থিত।
তাইসিরুল কুরআন:
যার কাছে অবস্থিত বসবাসের জান্নাত।
Sahih International:
Near it is the Garden of Refuge -



اِذْ یَغْشَی السِّدْرَۃَ مَا یَغْشٰی ﴿ۙ۱۶﴾
উচ্চারণ:
ইয ইয়াগশাসসিদরাতা মা -ইয়াগশা-।
আল বায়ান:
যখন কুল গাছটিকে যা আচ্ছাদিত করার তা আচ্ছাদিত করেছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন গাছটি যা দিয়ে ঢেকে থাকার তা দিয়ে ঢাকা ছিল, (যার বর্ণনা মানুষের বোধগম্য নয়)
Sahih International:
When there covered the Lote Tree that which covered [it].



مَا زَاغَ الْبَصَرُ وَ مَا طَغٰی ﴿۱۷﴾
উচ্চারণ:
মা-যা-গাল বাসারু ওয়ামা-তাগা-।
আল বায়ান:
তার দৃষ্টি এদিক-সেদিক যায়নি এবং সীমাও অতিক্রম করেনি।
তাইসিরুল কুরআন:
(নবীর) দৃষ্টি ভ্রমও ঘটেনি, সীমা ছাড়িয়েও যায়নি।
Sahih International:
The sight [of the Prophet] did not swerve, nor did it transgress [its limit].



لَقَدْ رَاٰی مِنْ اٰیٰتِ رَبِّهِ الْکُبْرٰی ﴿۱۸﴾
উচ্চারণ:
লাকাদ রাআ-মিন আ-য়া-তি রাব্বিহিল কুবরা-।
আল বায়ান:
নিশ্চয় সে তার রবের বড় বড় নিদর্শনসমূহ থেকে দেখেছে।
তাইসিরুল কুরআন:
সে তার প্রতিপালকের বড় বড় নিদর্শন দেখেছিল।
Sahih International:
He certainly saw of the greatest signs of his Lord.



اَفَرَءَیْتُمُ اللّٰتَ وَ الْعُزّٰی ﴿ۙ۱۹﴾
উচ্চারণ:
আফারাআইতুমুল্লা-তা ওয়াল ‘উযযা-।
আল বায়ান:
তোমরা লাত ও ‘উযযা সম্পর্কে আমাকে বল’?
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা কি লাত ও উযযা সম্পর্কে ভেবে দেখেছ?
Sahih International:
So have you considered al-Lat and al-'Uzza?



وَ مَنٰوۃَ الثَّالِثَۃَ الْاُخْرٰی ﴿۲۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মানা-তাছছা-লিছাতাল উখরা-।
আল বায়ান:
আর মানাত সম্পর্কে, যা তৃতীয় আরেকটি?
তাইসিরুল কুরআন:
আর তৃতীয় আরেকটি মানাৎ সম্পর্কে? (এ সব অক্ষম, বাকশক্তিহীন, নড়া-চড়ার শক্তিহীন মূর্তিগুলোর পূজা করা কতটা যুক্তিযুক্ত)
Sahih International:
And Manat, the third - the other one?



اَلَکُمُ الذَّکَرُ وَ لَهُ الْاُنْثٰی ﴿۲۱﴾
উচ্চারণ:
আলাকুমুযযাকারু ওয়ালাহুল উনছা-।
আল বায়ান:
তোমাদের জন্য কি পুত্র আর আল্লাহর জন্য কন্যা?
তাইসিরুল কুরআন:
কী! তোমাদের জন্য পুত্র সন্তান আর আল্লাহর জন্য কন্যা সন্তান?
Sahih International:
Is the male for you and for Him the female?



تِلْکَ اِذًا قِسْمَۃٌ ضِیْزٰی ﴿۲۲﴾
উচ্চারণ:
তিলকা ইযান কিছমাতুন দীযা-।
আল বায়ান:
এটাতো তাহলে এক অসঙ্গত বণ্টন!
তাইসিরুল কুরআন:
তাহলে এটাতো খুবই অসঙ্গত ভাগ-বাঁটোয়ারা।
Sahih International:
That, then, is an unjust division.



اِنْ هِیَ اِلَّاۤ اَسْمَآءٌ سَمَّیْتُمُوْهَاۤ اَنْتُمْ وَ اٰبَآؤُکُمْ مَّاۤ اَنْزَلَ اللّٰهُ بِهَا مِنْ سُلْطٰنٍ ؕ اِنْ یَّتَّبِعُوْنَ اِلَّا الظَّنَّ وَ مَا تَهْوَی الْاَنْفُسُ ۚ وَ لَقَدْ جَآءَهُمْ مِّنْ رَّبِّهِمُ الْهُدٰی ﴿ؕ۲۳﴾
উচ্চারণ:
ইন হিয়া ইল্লাআছমাউন ছাম্মাইতুমূহাআনতুম ওয়া আ-বাউকুম মাআনযালাল্লা-হু বিহা-মিন ছুলতা-নিন ইয়ঁইয়াত্তাবি‘ঊনা ইল্লাজ্জান্না ওয়ামা-তাহওয়াল আনফুছু ওয়া লাকাদ জাআহুম মিররাব্বিহিমুল হুদা-।
আল বায়ান:
এগুলো কেবল কতিপয় নাম, যে নামগুলো তোমরা ও তোমাদের পিতৃপুরুষেরা রেখেছ। এ ব্যাপারে আল্লাহ কোন দলীল-প্রমাণ নাযিল করেননি। তারা তো কেবল অনুমান এবং নিজেরা যা চায়, তার অনুসরণ করে। অথচ তাদের কাছে তাদের রবের পক্ষ থেকে হিদায়াত এসেছে।
তাইসিরুল কুরআন:
এগুলো তো কেবল কতকগুলো নাম যে নাম তোমরা আর তোমাদের পিতৃ পৃরুষরা রেখেছ, এর পক্ষে আল্লাহ কোন প্রমাণ অবতীর্ণ করেননি। তারা তো শুধু অনুমান আর প্রবৃত্তিরই অনুসরণ করে, যদিও তাদের কাছে তাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে পথ নির্দেশ এসেছে।
Sahih International:
They are not but [mere] names you have named them - you and your forefathers - for which Allah has sent down no authority. They follow not except assumption and what [their] souls desire, and there has already come to them from their Lord guidance.



اَمْ لِلْاِنْسَانِ مَا تَمَنّٰی ﴿۫ۖ۲۴﴾
উচ্চারণ:
আম লিলইনছা-নি মা-তামান্না-।
আল বায়ান:
মানুষের জন্য তা কি হয়, যা সে চায়?
তাইসিরুল কুরআন:
মানুষ কি তাই পায় যা সে চায়? (আল্লাহ যাকে যেভাবে ইচ্ছে সেভাবে দেন ইহকালে আর পরকালে),
Sahih International:
Or is there for man whatever he wishes?



فَلِلّٰهِ الْاٰخِرَۃُ وَ الْاُوْلٰی ﴿۲۵﴾
উচ্চারণ:
ফালিল্লা-হিল আ-খিরাতুওয়াল উলা-।
আল বায়ান:
বস্তুতঃ পরকাল ও ইহকাল তো আল্লাহরই।
তাইসিরুল কুরআন:
কেননা আল্লাহই পরকাল আর ইহকালের মালিক।
Sahih International:
Rather, to Allah belongs the Hereafter and the first [life].



وَ کَمْ مِّنْ مَّلَکٍ فِی السَّمٰوٰتِ لَا تُغْنِیْ شَفَاعَتُهُمْ شَیْئًا اِلَّا مِنْۢ بَعْدِ اَنْ یَّاْذَنَ اللّٰهُ لِمَنْ یَّشَآءُ وَ یَرْضٰی ﴿۲۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়াকাম মিম মালাকিন ফিছ ছামা-ওয়া-তি লা-তুগনী শাফা-‘আতুহুম শাইআন ইল্লা-মিম বা‘দিআইঁ ইয়া’যানাল্লা-হু লিমাইঁ ইয়াশাউ ওয়া ইয়ারদা-।
আল বায়ান:
আর আসমানসমূহে অনেক ফেরেশতা রয়েছে, তাদের সুপারিশ কোনই কাজে আসবে না। তবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন এবং যার প্রতি তিনি সন্তুষ্ট, তার ব্যাপারে অনুমতি দেয়ার পর।
তাইসিরুল কুরআন:
আকাশে কতই না ফেরেশতা আছে তাদের সুপারিশ কোনই কাজে আসবে না, তবে (কাজে আসবে) যদি তিনি অনুমতি দেন যার জন্য আল্লাহ ইচ্ছে করবেন এবং যার প্রতি তিনি সন্তুষ্ট।
Sahih International:
And how many angels there are in the heavens whose intercession will not avail at all except [only] after Allah has permitted [it] to whom He wills and approves.



اِنَّ الَّذِیْنَ لَا یُؤْمِنُوْنَ بِالْاٰخِرَۃِ لَیُسَمُّوْنَ الْمَلٰٓئِکَۃَ تَسْمِیَۃَ الْاُنْثٰی ﴿۲۷﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল্লাযীনা লা- ইউ’মিনূনা বিলআ-খিরাতি লাইউছাম্মূনাল মালাইকাতা তাছমিয়াতাল উনছা-।
আল বায়ান:
নিশ্চয় যারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না, তারাই ফেরেশতাদেরকে নারীবাচক নামে নামকরণ করে থাকে।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না তারাই ফেরেশতাদের স্ত্রীবাচক নামে নামকরণ করে থাকে।
Sahih International:
Indeed, those who do not believe in the Hereafter name the angels female names,



وَ مَا لَهُمْ بِهٖ مِنْ عِلْمٍ ؕ اِنْ یَّتَّبِعُوْنَ اِلَّا الظَّنَّ ۚ وَ اِنَّ الظَّنَّ لَا یُغْنِیْ مِنَ الْحَقِّ شَیْئًا ﴿ۚ۲۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-লাহুম বিহী মিন ‘ইলমিন ইয়ঁইয়াত্তাবি‘ঊনা ইল্লাজ্জান্না ওয়া ইন্নাজ্জান্না লাইউগনী মিনাল হাক্কিশাইআ-।
আল বায়ান:
অথচ এ বিষয়ে তাদের কোন জ্ঞানই নেই। তারা তো কেবল অনুমানেরই অনুসরণ করে। আর নিশ্চয় অনুমান সত্যের মোকাবেলায় কোনই কাজে আসে না।
তাইসিরুল কুরআন:
অথচ এ বিষয়ে তাদের কোনই জ্ঞান নেই, তারা কেবল অনুমানেরই অনুসরণ করছে, আর প্রকৃত সত্যের মুকাবালায় অনুমান কোনই কাজে আসে না।
Sahih International:
And they have thereof no knowledge. They follow not except assumption, and indeed, assumption avails not against the truth at all.



فَاَعْرِضْ عَنْ مَّنْ تَوَلّٰی ۬ۙ عَنْ ذِکْرِنَا وَ لَمْ یُرِدْ اِلَّا الْحَیٰوۃَ الدُّنْیَا ﴿ؕ۲۹﴾
উচ্চারণ:
ফাআ‘রিদ‘আম্মান তাওয়াল্লা- ‘আন যিকরিনা-ওয়া লাম ইউরিদ ইল্লাল হায়াতাদ্দুনইয়া-।
আল বায়ান:
অতএব তুমি তাকে উপেক্ষা করে চল, যে আমার স্মরণ থেকে বিমুখ হয় এবং কেবল দুনিয়ার জীবনই কামনা করে।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই যে আমার স্মরণ হতে মুখ ফিরিয়ে নেয় আর পার্থিব জীবন ছাড়া (অন্য কিছুই) কামনা করে না, তুমি তাকে এড়িয়ে চল।
Sahih International:
So turn away from whoever turns his back on Our message and desires not except the worldly life.



ذٰلِکَ مَبْلَغُهُمْ مِّنَ الْعِلْمِ ؕ اِنَّ رَبَّکَ هُوَ اَعْلَمُ بِمَنْ ضَلَّ عَنْ سَبِیْلِهٖ ۙ وَ هُوَ اَعْلَمُ بِمَنِ اهْتَدٰی ﴿۳۰﴾
উচ্চারণ:
যা-লিকা মাবলাগুহুম মিনাল ‘ইলমি ইন্না রাব্বাকা হুওয়া আ‘লামুবিমান দাল্লা ‘আন ছাবীলিহী ওয়া হুওয়া আ‘লামুবিমানিহতাদা-।
আল বায়ান:
এটাই তাদের জ্ঞানের শেষসীমা। নিশ্চয় তোমার রবই সবচেয়ে ভাল জানেন তার সম্পর্কে, যে তার পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছে এবং তিনিই সবচেয়ে ভাল জানেন তার সম্পর্কে, যে হিদায়াতপ্রাপ্ত হয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের জ্ঞানের দৌড় ঐ পর্যন্তই। তোমার প্রতিপালক খুব ভাল করেই জানেন কে তার পথ থেকে গুমরাহ হয়ে গেছে, আর তিনি ভালই জানেন কে সঠিক পথে আছে।
Sahih International:
That is their sum of knowledge. Indeed, your Lord is most knowing of who strays from His way, and He is most knowing of who is guided.



وَ لِلّٰهِ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الْاَرْضِ ۙ لِیَجْزِیَ الَّذِیْنَ اَسَآءُوْا بِمَا عَمِلُوْا وَ یَجْزِیَ الَّذِیْنَ اَحْسَنُوْا بِالْحُسْنٰی ﴿ۚ۳۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লিল্লা-হি মা-ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ামা-ফিল আরদি লিইয়াজযিইয়াল্লাযীনা আছাউ বিমা-‘আমিলূওয়া ইয়াজযিইয়াল্লাযীনা আহছানূবিলহুছনা-।
আল বায়ান:
আর আসমানসমূহে যা রয়েছে এবং যমীনে যা রয়েছে, তা আল্লাহরই। যাতে তিনি তাদের কাজের প্রতিফল দিতে পারেন যারা মন্দ কাজ করে এবং তাদেরকে তিনি উত্তম পুরস্কার দিতে পারেন যারা সৎকর্ম করে ।
তাইসিরুল কুরআন:
যা আছে আকাশে আর যা আছে যমীনে সব আল্লাহরই- যাতে তিনি যারা মন্দ কাজ করে তাদেরকে তাদের কাজের প্রতিফল দেন আর যারা সৎকর্ম করে তাদেরকে দেন শুভ প্রতিফল।
Sahih International:
And to Allah belongs whatever is in the heavens and whatever is in the earth - that He may recompense those who do evil with [the penalty of] what they have done and recompense those who do good with the best [reward] -



اَلَّذِیْنَ یَجْتَنِبُوْنَ کَبٰٓئِرَ الْاِثْمِ وَ الْفَوَاحِشَ اِلَّا اللَّمَمَ ؕ اِنَّ رَبَّکَ وَاسِعُ الْمَغْفِرَۃِ ؕ هُوَ اَعْلَمُ بِکُمْ اِذْ اَنْشَاَکُمْ مِّنَ الْاَرْضِ وَ اِذْ اَنْتُمْ اَجِنَّۃٌ فِیْ بُطُوْنِ اُمَّهٰتِکُمْ ۚ فَلَا تُزَکُّوْۤا اَنْفُسَکُمْ ؕ هُوَ اَعْلَمُ بِمَنِ اتَّقٰی ﴿۳۲﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযীনা ইয়াজতানিবূনা কাবাইরালইছমি ওয়ালফাওয়া-হিশা ইল্লাল লামামা ইন্না রাব্বাকা ওয়া-ছি‘উল মাগফিরাতি হুওয়া আ‘লামুবিকুম ইয আনশাআকুম মিনাল আরদি ওয়া ইয আনতুম আজিন্নাতুন ফী বুতূনি উম্মাহা-তিকুম ফালা-তুযাক্কুআনফুছাকুম হুওয়া আ‘লামুবিমানিত্তাকা-।
আল বায়ান:
যারা ছোট খাট দোষ-ত্রুটি ছাড়া বড় বড় পাপ ও অশ্লীল কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকে, নিশ্চয় তোমার রব ক্ষমার ব্যাপারে উদার, তিনি তোমাদের ব্যাপারে সম্যক অবগত। যখন তিনি তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যখন তোমরা তোমাদের মাতৃগর্ভে ভ্রূণরূপে ছিলে। কাজেই তোমরা আত্মপ্রশংসা করো না। কে তাকওয়া অবলম্বন করেছে, সে সম্পর্কে তিনিই সম্যক অবগত।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা বিরত থাকে বড় বড় পাপ আর অশ্লীল কার্যকলাপ থেকে ছোট খাট দোষ-ত্রুটি ছাড়া; বস্তুতঃ তোমার প্রতিপালক ক্ষমা করার ব্যাপারে অতি প্রশস্ত। তিনি তোমাদের সম্পর্কে খুব ভালভাবেই জানেন যখন তিনি তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন আর যখন তোমরা তোমাদের মায়েদের পেটে ভ্রুণ অবস্থায় ছিলে। কাজেই নিজেদেরকে খুব পবিত্র মনে করো না। কে তাক্বওয়া অবলম্বন করে তা তিনি ভালভাবেই জানেন।
Sahih International:
Those who avoid the major sins and immoralities, only [committing] slight ones. Indeed, your Lord is vast in forgiveness. He was most knowing of you when He produced you from the earth and when you were fetuses in the wombs of your mothers. So do not claim yourselves to be pure; He is most knowing of who fears Him.



اَفَرَءَیْتَ الَّذِیْ تَوَلّٰی ﴿ۙ۳۳﴾
উচ্চারণ:
আফারাআইতাল্লাযী তাওয়াল্লা-।
আল বায়ান:
তুমি কি সেই ব্যক্তিকে দেখেছ, যে মুখ ফিরিয়ে নেয়?
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি কি তাকে দেখেছ যে (আল্লাহ হতে) মুখ ফিরিয়ে নেয়?
Sahih International:
Have you seen the one who turned away



وَ اَعْطٰی قَلِیْلًا وَّ اَکْدٰی ﴿۳۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আ‘তা-কালীলাওঁ ওয়া আকদা-।
আল বায়ান:
আর সামান্য দান করে, তারপর বন্ধ করে দেয়?
তাইসিরুল কুরআন:
এবং সামান্য দান করে অতঃপর (হৃদয়) শক্ত করে ফেলে?
Sahih International:
And gave a little and [then] refrained?



اَعِنْدَهٗ عِلْمُ الْغَیْبِ فَهُوَ یَرٰی ﴿۳۵﴾
উচ্চারণ:
আ ‘ইনদাহূ‘ইলমুল গাইবি ফাহুওয়া ইয়ারা-।
আল বায়ান:
তার কাছে কি আছে গায়েবের জ্ঞান যে, সে দেখছে?
তাইসিরুল কুরআন:
তার কি অদৃশ্যের জ্ঞান আছে যার কারণে সে দেখতে পায়?
Sahih International:
Does he have knowledge of the unseen, so he sees?



اَمْ لَمْ یُنَبَّاْ بِمَا فِیْ صُحُفِ مُوْسٰی ﴿ۙ۳۶﴾
উচ্চারণ:
আম লাম ইউনাব্বা’ বিমা-ফী সুহুফি মুছা-।
আল বায়ান:
নাকি মূসার কিতাবে যা আছে, সে সম্পর্কে তাকে অবহিত করা হয়নি ?
তাইসিরুল কুরআন:
নাকি মূসার কিতাবের তথ্য তার কাছে পৌঁছানো হয়নি,
Sahih International:
Or has he not been informed of what was in the scriptures of Moses



وَ اِبْرٰهِیْمَ الَّذِیْ وَفّٰۤی ﴿ۙ۳۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইবরা-হীমাল্লাযী ওয়াফফা।
আল বায়ান:
আর ইবরাহীমের কিতাবে, যে (নির্দেশ) পূর্ণ করেছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
আর ইবরাহীমের (কিতাবের খবর) যে (ইবরাহীম) ছিল পুরোপুরি দায়িত্ব পালনকারী।
Sahih International:
And [of] Abraham, who fulfilled [his obligations] -



اَلَّا تَزِرُ وَازِرَۃٌ وِّزْرَ اُخْرٰی ﴿ۙ۳۸﴾
উচ্চারণ:
আল্লা-তাযিরু ওয়া-যিরাতুওঁবিযরা উখরা-।
আল বায়ান:
তা এই যে, কোন বোঝা বহনকারী অন্যের বোঝা বহন করবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
(সে খবর এই) যে, কোন বোঝা বহনকারী বইবে না অপরের বোঝা।
Sahih International:
That no bearer of burdens will bear the burden of another



وَ اَنْ لَّیْسَ لِلْاِنْسَانِ اِلَّا مَا سَعٰی ﴿ۙ۳۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়াআল লাইছা লিলইনছা-নি ইল্লা-মা-ছা‘আ-।
আল বায়ান:
আর এই যে, মানুষ যা চেষ্টা করে, তাই সে পায়।
তাইসিরুল কুরআন:
আর এই যে, মানুষ যা পাওয়ার জন্য চেষ্টা করে তাছাড়া কিছুই পায় না,
Sahih International:
And that there is not for man except that [good] for which he strives



وَ اَنَّ سَعْیَهٗ سَوْفَ یُرٰی ﴿۪۴۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আন্না ছা‘ইয়াহূছাওফা ইউরা-।
আল বায়ান:
আর এই যে, তার প্রচেষ্টার ফল শীঘ্রই তাকে দেখানো হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর এই যে, তার চেষ্টা সাধনার ফল শীঘ্রই তাকে দেখানো হবে,
Sahih International:
And that his effort is going to be seen -



ثُمَّ یُجْزٰىهُ الْجَزَآءَ الْاَوْفٰی ﴿ۙ۴۱﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা ইউজযা-হুল জাযাআল আওফা-।
আল বায়ান:
তারপর তাকে পূর্ণ প্রতিফল প্রদান করা হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর তাকে দেয়া হবে পূর্ণ প্রতিফল
Sahih International:
Then he will be recompensed for it with the fullest recompense



وَ اَنَّ اِلٰی رَبِّکَ الْمُنْتَهٰی ﴿ۙ۴۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আন্না ইলা-রাব্বিকাল মুনতাহা-।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় তোমার রবের নিকটই হলো শেষ গন্তব্য।
তাইসিরুল কুরআন:
আর এই যে, শেষ গন্তব্য হল তোমার প্রতিপালক পর্যন্ত,
Sahih International:
And that to your Lord is the finality



وَ اَنَّهٗ هُوَ اَضْحَکَ وَ اَبْکٰی ﴿ۙ۴۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আন্নাহূহুওয়া আদহাকা ওয়া আবকা-।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় তিনিই হাসান এবং তিনিই কাঁদান।
তাইসিরুল কুরআন:
আর এই যে, তিনিই হাসান, তিনিই কাঁদান।
Sahih International:
And that it is He who makes [one] laugh and weep



وَ اَنَّهٗ هُوَ اَمَاتَ وَ اَحْیَا ﴿ۙ۴۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আন্নাহূহুওয়া আমা-তা ওয়া আহইয়া-।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় তিনিই মৃত্যু দেন এবং তিনিই জীবন দেন।
তাইসিরুল কুরআন:
আর এই যে, তিনিই মারেন, তিনিই বাঁচান।
Sahih International:
And that it is He who causes death and gives life



وَ اَنَّهٗ خَلَقَ الزَّوْجَیْنِ الذَّکَرَ وَ الْاُنْثٰی ﴿ۙ۴۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আন্নাহূখালাকায যাওজাইনিযযাকারা ওয়াল উনছা-।
আল বায়ান:
আর তিনিই যুগল সৃষ্টি করেন- পুরুষ ও নারী।
তাইসিরুল কুরআন:
আর এই যে, তিনিই সৃষ্টি করেন জোড়া- পুরুষ আর নারী,
Sahih International:
And that He creates the two mates - the male and female -



مِنْ نُّطْفَۃٍ اِذَا تُمْنٰی ﴿۪۴۶﴾
উচ্চারণ:
মিন নুতফাতিন ইযা-তুমনা।
আল বায়ান:
শুক্রবিন্দু থেকে যখন তা নিক্ষিপ্ত হয়।
তাইসিরুল কুরআন:
এক ফোঁটা শুক্র হতে যখন তা নিক্ষিপ্ত হয়
Sahih International:
From a sperm-drop when it is emitted



وَ اَنَّ عَلَیْهِ النَّشْاَۃَ الْاُخْرٰی ﴿ۙ۴۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আন্না ‘আলাইহিন্নাশআতাল উখরা-।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় পুনরায় সৃষ্টির দায়িত্ব তাঁর উপরই।
তাইসিরুল কুরআন:
আর এই যে, পুনরায় সৃষ্টির দায়িত্বভার তাঁরই উপর,
Sahih International:
And that [incumbent] upon Him is the next creation



وَ اَنَّهٗ هُوَ اَغْنٰی وَ اَقْنٰی ﴿ۙ۴۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আন্নাহূহুওয়া আগনা-ওয়া আকনা-।
আল বায়ান:
আর তিনিই অভাবমুক্ত করেন ও সম্পদ দান করেন।
তাইসিরুল কুরআন:
আর এই যে, তিনিই অভাবমুক্ত করেন আর সম্পদ দেন,
Sahih International:
And that it is He who enriches and suffices



وَ اَنَّهٗ هُوَ رَبُّ الشِّعْرٰی ﴿ۙ۴۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আন্নাহূহুওয়া রাব্বুশ শি‘রা-।
আল বায়ান:
আর তিনিই শিরার* রব।
তাইসিরুল কুরআন:
আর এই যে, শি‘রা (অর্থাৎ লুব্ধক নক্ষত্র)’র তিনিই প্রতিপালক,
Sahih International:
And that it is He who is the Lord of Sirius



وَ اَنَّهٗۤ اَهْلَکَ عَادَۨ ا الْاُوْلٰی ﴿ۙ۵۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আন্নাহূআহলাকা ‘আ-দানিল ঊলা-।
আল বায়ান:
আর তিনিই প্রাচীন ‘আদ জাতিকে ধ্বংস করেছেন।
তাইসিরুল কুরআন:
আর এই যে, তিনিই প্রাচীন ‘আদ জাতিকে ধ্বংস করেছিলেন,
Sahih International:
And that He destroyed the first [people of] 'Aad



وَ ثَمُوْدَا۠ فَمَاۤ اَبْقٰی ﴿ۙ۵۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ছামূদা ফামাআবকা-।
আল বায়ান:
আর সামূদ জাতিকেও। কাউকে তিনি অবশিষ্ট রাখেন নি।
তাইসিরুল কুরআন:
আর সামূদ জাতিকেও, তাদের একজনকেও বাকী রাখেননি।
Sahih International:
And Thamud - and He did not spare [them] -



وَ قَوْمَ نُوْحٍ مِّنْ قَبْلُ ؕ اِنَّهُمْ کَانُوْا هُمْ اَظْلَمَ وَ اَطْغٰی ﴿ؕ۵۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাওমা নূহিম মিন কাবলু ইন্নাহুম কা-নূহুম আজলামা ওয়া আতগা-।
আল বায়ান:
আর পূর্বে নূহের কওমকেও। নিশ্চয় তারা ছিল অতিশয় যালিম ও চরম অবাধ্য।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তার পূর্বে নূহের জাতিকেও, তারা ছিল অত্যধিক যালিম ও সীমালঙ্ঘনকারী।
Sahih International:
And the people of Noah before. Indeed, it was they who were [even] more unjust and oppressing.



وَ الْمُؤْتَفِکَۃَ اَهْوٰی ﴿ۙ۵۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল মু’তাফিকাতা আহওয়া-।
আল বায়ান:
আর তিনি উল্টানো আবাসভূমিকে* নিক্ষেপ করেছিলেন।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি (লূত জাতির) উল্টানো আবাস ভূমিকে উঠিয়ে নিক্ষেপ করেছিলেন,
Sahih International:
And the overturned towns He hurled down



فَغَشّٰهَا مَا غَشّٰی ﴿ۚ۵۴﴾
উচ্চারণ:
ফাগাশশা-হা-মা-গাশশা-।
আল বায়ান:
অতঃপর সেটাকে আচ্ছন্ন করেছিল, যা আচ্ছন্ন করার ছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর তাকে আচ্ছন্ন করল যা তাকে আচ্ছন্ন করেছে।
Sahih International:
And covered them by that which He covered.



فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّکَ تَتَمَارٰی ﴿۵۵﴾
উচ্চারণ:
ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকা তাতামা-রা-।
আল বায়ান:
তাহলে তুমি তোমার রবের কোন্ অনুগ্রহ সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করবে?
তাইসিরুল কুরআন:
অতএব তুমি তোমার প্রতিপালকের কোন নি‘মাতে সন্দেহ পোষণ করবে?
Sahih International:
Then which of the favors of your Lord do you doubt?



هٰذَا نَذِیْرٌ مِّنَ النُّذُرِ الْاُوْلٰی ﴿۵۶﴾
উচ্চারণ:
হা-যা-নাযীরুম মিনান নুযুরিল ঊলা-।
আল বায়ান:
অতীত সতর্ককারীদের মত এই নবীও একজন সতর্ককারী।
তাইসিরুল কুরআন:
অতীতের সতর্ককারীদের মত এ (নবীও) একজন সতর্ককারী।
Sahih International:
This [Prophet] is a warner like the former warners.



اَزِفَتِ الْاٰزِفَۃُ ﴿ۚ۵۷﴾
উচ্চারণ:
আ-যিফাতিল আ-যিফাহ।
আল বায়ান:
কিয়ামত নিকটবর্তী।
তাইসিরুল কুরআন:
আগমনকারী মুহূর্ত (ক্বিয়ামত) নিকটবর্তী।
Sahih International:
The Approaching Day has approached.



لَیْسَ لَهَا مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ کَاشِفَۃٌ ﴿ؕ۵۸﴾
উচ্চারণ:
লাইছা লাহা-মিন দূনিল্লা-হি কা-শিফাহ।
আল বায়ান:
আল্লাহ ছাড়া কেউই তা প্রকাশ করতে সক্ষম নয়।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ ছাড়া কেউ তা সরাতে পারে না (বা প্রকাশ করতে পারে না)।
Sahih International:
Of it, [from those] besides Allah, there is no remover.



اَفَمِنْ هٰذَا الْحَدِیْثِ تَعْجَبُوْنَ ﴿ۙ۵۹﴾
উচ্চারণ:
আফামিন হা-যাল হাদীছিতা‘জাবূন।
আল বায়ান:
তোমরা কি এ কথায় বিস্ময় বোধ করছ?
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা কি এ কথায় বিস্মিত হচ্ছ?
Sahih International:
Then at this statement do you wonder?



وَ تَضْحَکُوْنَ وَ لَا تَبْکُوْنَ ﴿ۙ۶۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া তাদহাকূনা ওয়ালা-তাবকূন।
আল বায়ান:
আর হাসছ এবং কাঁদছ না?
তাইসিরুল কুরআন:
আর হাসছ, কাঁদছ না?
Sahih International:
And you laugh and do not weep



وَ اَنْتُمْ سٰمِدُوْنَ ﴿۶۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আনতুম ছা-মিদূন।
আল বায়ান:
আর তোমরা তো গাফিল।
তাইসিরুল কুরআন:
বৃথা খেল-তামাশায় সময় ক্ষেপন করছ,
Sahih International:
While you are proudly sporting?



فَاسْجُدُوْا لِلّٰهِ وَ اعْبُدُوْا ﴿ٛ۶۲﴾
উচ্চারণ:
ফাছজূদূলিল্লা-হি ওয়া‘বুদূ(ছিজদাহ-১২)।
আল বায়ান:
সুতরাং তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে সিজদা কর এবং ইবাদাত কর।[সাজদাহ]
তাইসিরুল কুরআন:
তাই, আল্লাহর উদ্দেশে সাজদায় পতিত হও আর তাঁর বন্দেগী কর।[সাজদাহ]
Sahih International:
So prostrate to Allah and worship [Him].






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।