আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


قُلْ اُوْحِیَ اِلَیَّ اَنَّهُ اسْتَمَعَ نَفَرٌ مِّنَ الْجِنِّ فَقَالُوْۤا اِنَّا سَمِعْنَا قُرْاٰنًا عَجَبًا ۙ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
কুলঊহিয়া ইলাইইয়া আন্নাহুছতামা‘আ নাফারুম মিনাল জিন্নি ফাকা-লূইন্না-ছামি‘নাকুরআ-নান ‘আজাবা- ।
আল বায়ান:
বল, ‘আমার প্রতি ওহী করা হয়েছে যে, নিশ্চয় জিনদের একটি দল মনোযোগ সহকারে শুনেছে। অতঃপর বলেছে, ‘আমরা তো এক বিস্ময়কর কুরআন শুনেছি,
তাইসিরুল কুরআন:
বল, ‘‘আমার কাছে ওয়াহী করা হয়েছে যে, জিন্নদের একটি দল মনোযোগ দিয়ে (কুরআন) শুনেছে অতঃপর তারা বলেছে ‘আমরা এক অতি আশ্চর্যজনক কুরআন শুনেছি
Sahih International:
Say, [O Muhammad], "It has been revealed to me that a group of the jinn listened and said, 'Indeed, we have heard an amazing Qur'an.



یَّهْدِیْۤ اِلَی الرُّشْدِ فَاٰمَنَّا بِهٖ ؕ وَ لَنْ نُّشْرِکَ بِرَبِّنَاۤ اَحَدًا ۙ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
ইয়াহদীইলাররুশদি ফাআ-মান্না- বিহী ওয়া লান নুশরিকা বিরাব্বিনাআহাদা- ।
আল বায়ান:
যা সত্যের দিকে হিদায়াত করে; অতঃপর আমরা তাতে ঈমান এনেছি। আর আমরা কখনো আমাদের রবের সাথে কাউকে শরীক করব না’।
তাইসিরুল কুরআন:
যা সত্য-সঠিক পথ প্রদর্শন করে, যার কারণে আমরা তাতে ঈমান এনেছি, আমরা কক্ষনো কাউকে আমাদের প্রতিপালকের অংশীদার গণ্য করব না।
Sahih International:
It guides to the right course, and we have believed in it. And we will never associate with our Lord anyone.



وَّ اَنَّهٗ تَعٰلٰی جَدُّ رَبِّنَا مَا اتَّخَذَ صَاحِبَۃً وَّ لَا وَلَدًا ۙ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আন্নাহূতা‘আ- জাদ্দুরাব্বিনা- মাত্তাখাযা সা-হিবাতাওঁ ওয়ালা- ওয়ালাদা- ।
আল বায়ান:
‘আর নিশ্চয় আমাদের রবের মর্যাদা সমুচ্চ। তিনি কোন সংগিনী গ্রহণ করেননি এবং না কোন সন্তান’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমাদের প্রতিপালকের মর্যাদা অতি উচ্চ, তিনি গ্রহণ করেননি কোন স্ত্রী আর কোন সন্তান।
Sahih International:
And [it teaches] that exalted is the nobleness of our Lord; He has not taken a wife or a son



وَّ اَنَّهٗ کَانَ یَقُوْلُ سَفِیْهُنَا عَلَی اللّٰهِ شَطَطًا ۙ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আন্নাহূকা-না ইয়াকূলুছাফীহুনা- ‘আলাল্লা-হি শাতাতা- ।
আল বায়ান:
‘আর আমাদের মধ্যকার নির্বোধেরা আল্লাহর ব্যাপারে অবাস্তব কথা- বার্তা বলত’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমাদের মধ্যেকার নির্বোধেরা তাঁর সম্পর্কে সীমাতিরিক্ত কথাবার্তা বলত।
Sahih International:
And that our foolish one has been saying about Allah an excessive transgression.



وَّ اَنَّا ظَنَنَّاۤ اَنْ لَّنْ تَقُوْلَ الْاِنْسُ وَ الْجِنُّ عَلَی اللّٰهِ کَذِبًا ۙ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আন্না- জানান্নাআল্লান তাকূলাল ইনছুওয়াল জিন্নু‘আলাল্লা-হি কাযিবা- ।
আল বায়ান:
‘অথচ আমরা তো ধারণা করতাম যে, মানুষ ও জিন কখনো আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা আরোপ করবে না’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমরা ধারণা করতাম যে, মানুষ ও জ্বিন আল্লাহ সম্পর্কে কক্ষনো মিথ্যে কথা বলবে না।
Sahih International:
And we had thought that mankind and the jinn would never speak about Allah a lie.



وَّ اَنَّهٗ کَانَ رِجَالٌ مِّنَ الْاِنْسِ یَعُوْذُوْنَ بِرِجَالٍ مِّنَ الْجِنِّ فَزَادُوْهُمْ رَهَقًا ۙ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আন্নাহূকা-না রিজা-লুম মিনাল ইনছি ইয়া‘ঊযূনা বিরিজা-লিম মিনাল জিন্নি ফাযা-দূহুম রাহাকা- ।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় কতিপয় মানুষ কতিপয় জিনের আশ্রয় নিত, ফলে তারা তাদের অহংকার বাড়িয়ে দিয়েছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
আরো এই যে, কতক মানুষ কতক জ্বিনের আশ্রয় নিত, এর দ্বারা তারা জ্বিনদের গর্ব অহঙ্কার বাড়িয়ে দিয়েছে।
Sahih International:
And there were men from mankind who sought refuge in men from the jinn, so they [only] increased them in burden.



وَّ اَنَّهُمْ ظَنُّوْا کَمَا ظَنَنْتُمْ اَنْ لَّنْ یَّبْعَثَ اللّٰهُ اَحَدًا ۙ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আন্নাহুম জান্নুকামা-জানানতুম আল্লাইঁ ইয়াব‘আছাল্লা- হু আহাদা- ।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় তারা ধারণা করেছিল যেমন তোমরা ধারণা করেছ যে, আল্লাহ কাউকে কখনই পুনরুত্থিত করবেন না।
তাইসিরুল কুরআন:
আরো এই যে (জ্বিনেরা বলেছিল) তোমরা (জ্বিনেরা) যেমন ধারণা করতে তেমনি মানুষেরা ধারণা করত যে, (মৃত্যুর পর) আল্লাহ কাউকে পুনরুত্থিত করবে না।
Sahih International:
And they had thought, as you thought, that Allah would never send anyone [as a messenger].



وَّ اَنَّا لَمَسْنَا السَّمَآءَ فَوَجَدْنٰهَا مُلِئَتْ حَرَسًا شَدِیْدًا وَّ شُهُبًا ۙ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আন্না-লামাছনাছছামাআ ফাওয়াজাদনা-হা- মুলিইয়াত হারাছান শাদীদাওঁ ওয়া শুহুবা-।
আল বায়ান:
‘আর নিশ্চয় আমরা আকাশ স্পর্শ করতে চেয়েছিলাম*, কিন্তু আমরা সেটাকে পেলাম যে, তা কঠোর প্রহরী এবং উল্কাপিন্ড দ্বারা পরিপূর্ণ’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমরা আকাশের খবর নিতে চেয়েছিলাম কিন্তু আমরা সেটাকে পেলাম কঠোর প্রহরী বেষ্টিত ও জ্বলন্ত উল্কাপিন্ডে পরিপূর্ণ।
Sahih International:
And we have sought [to reach] the heaven but found it filled with powerful guards and burning flames.



وَّ اَنَّا کُنَّا نَقْعُدُ مِنْهَا مَقَاعِدَ لِلسَّمْعِ ؕ فَمَنْ یَّسْتَمِعِ الْاٰنَ یَجِدْ لَهٗ شِهَابًا رَّصَدًا ۙ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আন্না- কুন্না- নাক‘উদুমিনহা- মাকা-‘ইদা লিছছামা‘ই ফামাইঁ ইয়াছতামি‘ইল আনা ইয়াজিদ লাহূশিহা-বাররাসাদা-।
আল বায়ান:
আর আমরা তো সংবাদ শোনার জন্য আকাশের বিভিন্ন ঘাটিতে বসতাম, কিন্তু এখন যে শুনতে চাইবে, সে তার জন্য প্রস্তুত জ্বলন্ত উল্কাপিন্ড পাবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমরা (আগে) সংবাদ শুনার জন্য আকাশের বিভিন্ন ঘাঁটিতে বসতাম, কিন্তু এখন কেউ সংবাদ শুনতে চাইলে তার উপর নিক্ষেপের জন্য সে জ্বলন্ত অগ্নিকুন্ডকে লুকিয়ে থাকতে দেখে।
Sahih International:
And we used to sit therein in positions for hearing, but whoever listens now will find a burning flame lying in wait for him.



وَّ اَنَّا لَا نَدْرِیْۤ اَشَرٌّ اُرِیْدَ بِمَنْ فِی الْاَرْضِ اَمْ اَرَادَ بِهِمْ رَبُّهُمْ رَشَدًا ﴿ۙ۱۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আন্না-লা-নাদরীআশাররুন উরীদা বিমান ফিল আরদিআম আরা-দা বিহিম রাব্বুহুম রাশাদা- ।
আল বায়ান:
‘আর নিশ্চয় আমরা জানি না, যমীনে যারা রয়েছে তাদের জন্য অকল্যাণ চাওয়া হয়েছে, নাকি তাদের রব তাদের ব্যাপারে মঙ্গল চেয়েছেন’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমরা জানি না (এই পরিবর্তিত অবস্থার মাধ্যমে) পৃথিবীবাসীর অকল্যাণই চাওয়া হচ্ছে, না তাদের প্রতিপালক তাদেরকে সরল সঠিক পথ দেখাতে চান।
Sahih International:
And we do not know [therefore] whether evil is intended for those on earth or whether their Lord intends for them a right course.



وَّ اَنَّا مِنَّا الصّٰلِحُوْنَ وَ مِنَّا دُوْنَ ذٰلِکَ ؕ کُنَّا طَرَآئِقَ قِدَدًا ﴿ۙ۱۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আন্না-মিন্নাসসা-লিহূনা ওয়া মিন্না-দূ না যা-লিকা কুন্না-তারাইকা কিদাদা- ।
আল বায়ান:
‘আর নিশ্চয় আমাদের কতিপয় সৎকর্মশীল এবং কতিপয় এর ব্যতিক্রম। আমরা ছিলাম বিভিন্ন মত ও পথে বিভক্ত’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমাদের কিছু সংখ্যক সৎকর্মশীল, আর কতক এমন নয়, আমরা ছিলাম বিভিন্ন মত ও পথে বিভক্ত।
Sahih International:
And among us are the righteous, and among us are [others] not so; we were [of] divided ways.



وَّ اَنَّا ظَنَنَّاۤ اَنْ لَّنْ نُّعْجِزَ اللّٰهَ فِی الْاَرْضِ وَ لَنْ نُّعْجِزَهٗ هَرَبًا ﴿ۙ۱۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আন্না-জানান্না আল্লান নু‘জিযাল্লা-হা ফিল আরদিওয়া লান নু‘জিযাহূহারাবা- ।
আল বায়ান:
‘আর আমরা তো বুঝতে পেরেছি যে, আমরা কিছুতেই যমীনের মধ্যে আল্লাহকে অপারগ করতে পারব না এবং পালিয়েও কখনো তাকে অপারগ করতে পারব না’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমরা বুঝতে পেরেছি যে, আমরা পৃথিবীতে আল্লাহকে পরাস্ত করতে পারব না, আর পালিয়েও তাঁকে অপারগ করতে পারব না।
Sahih International:
And we have become certain that we will never cause failure to Allah upon earth, nor can we escape Him by flight.



وَّ اَنَّا لَمَّا سَمِعْنَا الْهُدٰۤی اٰمَنَّا بِهٖ ؕ فَمَنْ یُّؤْمِنْۢ بِرَبِّهٖ فَلَا یَخَافُ بَخْسًا وَّ لَا رَهَقًا ﴿ۙ۱۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আন্না- লাম্মা- ছামি‘নাল হুদাআ-মান্না- বিহী ফামাইঁ ইউ’মিম বিরাব্বিহী ফালাইয়াখা-ফুবাখছাওঁ ওয়ালা- রাহাকা- ।
আল বায়ান:
‘আর নিশ্চয় আমরা যখন হিদায়াতের বাণী শুনলাম, তখন তার প্রতি ঈমান আনলাম। আর যে তার রবের প্রতি ঈমান আনে, সে না কোন ক্ষতির আশংকা করবে এবং না কোন অন্যায়ের’।
তাইসিরুল কুরআন:
আরো এই যে, আমরা যখন হিদায়াতের বাণী শুনতে পেলাম, তখন তার উপর ঈমান আনলাম। যে ব্যক্তি তার প্রতিপালকের উপর ঈমান আনে তার কোন ক্ষতি বা যুলমের ভয় থাকবে না।
Sahih International:
And when we heard the guidance, we believed in it. And whoever believes in his Lord will not fear deprivation or burden.



وَّ اَنَّا مِنَّا الْمُسْلِمُوْنَ وَ مِنَّا الْقٰسِطُوْنَ ؕ فَمَنْ اَسْلَمَ فَاُولٰٓئِکَ تَحَرَّوْا رَشَدًا ﴿۱۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আন্না- মিন্নাল মুছলিমূনা ওয়া মিন্নাল কা-ছিতূনা ফামান আছলামা ফাউলাইকা তাহররাওঁ ওাশাদা-।
আল বায়ান:
‘আর নিশ্চয় আমাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক আছে আত্মসমর্পণকারী এবং আমাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক সীমালংঘনকারী। কাজেই যারা আত্মসমর্পণ করেছে, তারাই সঠিক পথ বেছে নিয়েছে’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক (আল্লাহর প্রতি) আত্মসমর্পণকারী আর কিছু সংখ্যক অন্যায়কারী। যারা আত্মসমর্পণ করে তারা সঠিক পথ বেছে নিয়েছে।
Sahih International:
And among us are Muslims [in submission to Allah], and among us are the unjust. And whoever has become Muslim - those have sought out the right course.



وَ اَمَّا الْقٰسِطُوْنَ فَکَانُوْا لِجَهَنَّمَ حَطَبًا ﴿ۙ۱۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আম্মাল কা-ছিতু না ফাকা-নূলিজাহান্নামা হাতাবা- ।
আল বায়ান:
‘আর যারা সীমালঙ্ঘনকারী, তারা তো জাহান্নামের ইন্ধন’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যারা অন্যায়কারী তারা জাহান্নামের ইন্ধন।
Sahih International:
But as for the unjust, they will be, for Hell, firewood.'



وَّ اَنْ لَّوِ اسْتَقَامُوْا عَلَی الطَّرِیْقَۃِ لَاَسْقَیْنٰهُمْ مَّآءً غَدَقًا ﴿ۙ۱۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আল্লাবিছতাকা-মূ‘আলাত্তারীকাতি লাআছকাইনা-হুম মাআন গাদাকা-।
আল বায়ান:
আর তারা যদি সঠিক পথে অবিচল থাকত, তাহলে আমি অবশ্যই তাদেরকে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করাতাম।
তাইসিরুল কুরআন:
আরো (আমার কাছে ওয়াহী করা হয়েছে এই) যে, তারা যদি সত্য-সঠিক পথে প্রতিষ্ঠিত থাকত, তাহলে আমি তাদেরকে প্রচুর পানি পান করাতাম।
Sahih International:
And [Allah revealed] that if they had remained straight on the way, We would have given them abundant provision



لِّنَفْتِنَهُمْ فِیْهِ ؕ وَ مَنْ یُّعْرِضْ عَنْ ذِکْرِ رَبِّهٖ یَسْلُکْهُ عَذَابًا صَعَدًا ﴿ۙ۱۷﴾
উচ্চারণ:
লিনাফতিনাহুম ফীহি ওয়া মাইঁ ইউ‘রিদ‘আন যিকরি রাব্বিহী ইয়াছলুকহু ‘আযা-বান সা‘আদা- ।
আল বায়ান:
যাতে আমি তা দিয়ে তাদেরকে পরীক্ষা করতে পারি। আর যে তার রবের স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাকে তিনি কঠিন আযাবে প্রবেশ করাবেন।
তাইসিরুল কুরআন:
যেন আমি তা দিয়ে তাদেরকে পরীক্ষা করতে পারি (যে নি‘মাত পাওয়ার পর তারা শুকর-গুজার হয়, না না-ফরমান হয়)। যে ব্যক্তি তার প্রতিপালকের স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তিনি তাকে কঠিন ‘আযাবে প্রবেশ করাবেন।
Sahih International:
So We might test them therein. And whoever turns away from the remembrance of his Lord He will put into arduous punishment.



وَّ اَنَّ الْمَسٰجِدَ لِلّٰهِ فَلَا تَدْعُوْا مَعَ اللّٰهِ اَحَدًا ﴿ۙ۱۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আন্নাল মাছা-জিদা লিল্লা-হি ফালা- তাদ‘ঊ মা‘আল্লা-হি আহাদা-।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় মসজিদগুলো আল্লাহরই জন্য। কাজেই তোমরা আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে ডেকো না।
তাইসিরুল কুরআন:
আরো এই যে, মাসজিদগুলো কেবলমাত্র আল্লাহরই জন্য, কাজেই তোমরা আল্লাহর সঙ্গে অন্য আর কাউকে ডেকো না।
Sahih International:
And [He revealed] that the masjids are for Allah, so do not invoke with Allah anyone.



وَّ اَنَّهٗ لَمَّا قَامَ عَبْدُ اللّٰهِ یَدْعُوْهُ کَادُوْا یَکُوْنُوْنَ عَلَیْهِ لِبَدًا ﴿ؕ۱۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আন্নাহূলাম্মা-কা- মা ‘আবদুল্লা-হি ইয়াদ‘ঊহু কা-দূইয়াকূনূনা ‘আলাইহি লিবাদা-।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় আল্লাহর বান্দা* যখন তাঁকে ডাকার জন্য দাঁড়াল, তখন তারা** তার নিকট ভিড় জমাল।
তাইসিরুল কুরআন:
আরো এই যে, যখন আল্লাহর বান্দা [রসূলুল্লাহ (সা.)] যখন তাঁকে আহবান করার জন্য দাঁড়াল তখন তারা (অর্থাৎ কাফিররা) তার চারপাশে ভিড় জমাল।
Sahih International:
And that when the Servant of Allah stood up supplicating Him, they almost became about him a compacted mass."



قُلْ اِنَّمَاۤ اَدْعُوْا رَبِّیْ وَ لَاۤ اُشْرِکُ بِهٖۤ اَحَدًا ﴿۲۰﴾
উচ্চারণ:
কুল ইন্নামাআদ‘ঊ রাববী ওয়ালাউশরিকুবিহীআহাদা-।
আল বায়ান:
বল, ‘নিশ্চয় আমি আমার রবকে ডাকি এবং তার সাথে কাউকে শরীক করি না’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল: আমি শুধু আমার প্রতিপালককেই ডাকি, আর অন্য কাউকে তাঁর অংশীদার গণ্য করি না।
Sahih International:
Say, [O Muhammad], "I only invoke my Lord and do not associate with Him anyone."



قُلْ اِنِّیْ لَاۤ اَمْلِکُ لَکُمْ ضَرًّا وَّ لَا رَشَدًا ﴿۲۱﴾
উচ্চারণ:
কুল ইন্নী লাআমলিকুলাকুম দাররাওঁ ওয়ালা-রাশাদা- ।
আল বায়ান:
বল, ‘নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য না কোন অকল্যাণ করার ক্ষমতা রাখি এবং না কোন কল্যাণ করার’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল- ‘আমি তোমাদের কোন ক্ষতি বা কল্যাণ করার ক্ষমতা রাখি না।
Sahih International:
Say, "Indeed, I do not possess for you [the power of] harm or right direction."



قُلْ اِنِّیْ لَنْ یُّجِیْرَنِیْ مِنَ اللّٰهِ اَحَدٌ ۬ۙ وَّ لَنْ اَجِدَ مِنْ دُوْنِهٖ مُلْتَحَدًا ﴿ۙ۲۲﴾
উচ্চারণ:
কুল ইন্নী লাইঁ ইউজীরানী মিনাল্লা-হি আহাদুওঁ ওয়া লান আজিদা মিন দূ নিহী মুলতাহাদা-।
আল বায়ান:
বল, ‘নিশ্চয় আল্লাহর কাছ থেকে কেউ আমাকে রক্ষা করতে পারবে না এবং তিনি ছাড়া কখনো আমি কোন আশ্রয়ও পাব না।
তাইসিরুল কুরআন:
বল- আল্লাহর (শাস্তি) থেকে কেউ আমাকে রক্ষা করতে পারবে না (যদি আমি তাঁর অবাধ্য হই) এবং তাঁর আশ্রয় ছাড়া আমি কোন আশ্রয়ও পাব না।
Sahih International:
Say, "Indeed, there will never protect me from Allah anyone [if I should disobey], nor will I find in other than Him a refuge.



اِلَّا بَلٰغًا مِّنَ اللّٰهِ وَ رِسٰلٰتِهٖ ؕ وَ مَنْ یَّعْصِ اللّٰهَ وَ رَسُوْلَهٗ فَاِنَّ لَهٗ نَارَ جَهَنَّمَ خٰلِدِیْنَ فِیْهَاۤ اَبَدًا ﴿ؕ۲۳﴾
উচ্চারণ:
ইল্লা-বালা-গাম মিনাল্লা-হি ওয়া রিছা-লা-তিহী ওয়া মাইঁ ইয়া‘সিল্লা-হা ওয়া রাছূলাহূ ফাইন্না লাহূনা-রা জাহান্নামা খা-লিদীনা ফীহাআবাদা- ।
আল বায়ান:
কেবল আল্লাহর বাণী ও তাঁর রিসালাত পৌঁছানোই দায়িত্ব। আর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অমান্য করে, তার জন্য রয়েছে জাহান্নামের আগুন। তাতে তারা চিরস্থায়ী হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহর বাণী পৌঁছানো ও তাঁর পায়গাম প্রচার করাই আমার কাজ। যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে অমান্য করে, তার জন্য আছে জাহান্নামের আগুন; তাতে তারা চিরকাল থাকবে।
Sahih International:
But [I have for you] only notification from Allah, and His messages." And whoever disobeys Allah and His Messenger - then indeed, for him is the fire of Hell; they will abide therein forever.



حَتّٰۤی اِذَا رَاَوْا مَا یُوْعَدُوْنَ فَسَیَعْلَمُوْنَ مَنْ اَضْعَفُ نَاصِرًا وَّ اَقَلُّ عَدَدًا ﴿۲۴﴾
উচ্চারণ:
হাত্তা ইয়া- রাআও মা- ইঊ‘আদূনা ফাছাইয়া‘লামূনা মান আদ‘আফুনা-সিরাওঁ ওয়া আকাল্লু‘আদাদা- ।
আল বায়ান:
অবশেষে যখন তারা তা প্রত্যক্ষ করবে, যে সম্পর্কে তাদেরকে সাবধান করা হয়েছিল। তখন তারা জানতে পারবে যে, সাহায্যকারী হিসেবে কে অধিকতর দুর্বল এবং সংখ্যায় কারা সবচেয়ে কম।
তাইসিরুল কুরআন:
অবশেষে তারা যখন প্রতিশ্রুত শাস্তি দেখতে পাবে, তখন তারা জানতে পারবে যে, সাহায্যকারী হিসেবে কে সবচেয়ে দুর্বল, আর সংখ্যায় কারা সবচেয়ে কম।
Sahih International:
[The disbelievers continue] until, when they see that which they are promised, then they will know who is weaker in helpers and less in number.



قُلْ اِنْ اَدْرِیْۤ اَقَرِیْبٌ مَّا تُوْعَدُوْنَ اَمْ یَجْعَلُ لَهٗ رَبِّیْۤ اَمَدًا ﴿۲۵﴾
উচ্চারণ:
কুল ইন আদরীআকারীবুম মা-তূ‘আদূনা আম ইয়াজ‘আলুলাহূরাববীআমাদা-।
আল বায়ান:
বল, ‘আমি জানি না তোমাদেরকে যার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে, তা কি নিকটবর্তী নাকি এর জন্য আমার রব কোন দীর্ঘ মেয়াদ নির্ধারণ করবেন’।
তাইসিরুল কুরআন:
বল- ‘আমি জানি না তোমাদেরকে যার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে তা কি নিকটবর্তী, না তার জন্য আমার প্রতিপালক কোন দীর্ঘ মেয়াদ নির্দিষ্ট করবেন।’
Sahih International:
Say, "I do not know if what you are promised is near or if my Lord will grant for it a [long] period."



عٰلِمُ الْغَیْبِ فَلَا یُظْهِرُ عَلٰی غَیْبِهٖۤ اَحَدًا ﴿ۙ۲۶﴾
উচ্চারণ:
‘আ-লিমুলগাইবি ফালা-ইউজহিরু ‘আলা- গাইবিহীআহাদা-।
আল বায়ান:
তিনি অদৃশ্যের জ্ঞানী, আর তিনি তাঁর অদৃশ্যের জ্ঞান কারো কাছে প্রকাশ করেন না।
তাইসিরুল কুরআন:
একমাত্র তিনিই অদৃশ্যের জ্ঞানী, তিনি তাঁর অদৃশ্যের জ্ঞান কারো কাছে প্রকাশ করেন না।
Sahih International:
[He is] Knower of the unseen, and He does not disclose His [knowledge of the] unseen to anyone



اِلَّا مَنِ ارْتَضٰی مِنْ رَّسُوْلٍ فَاِنَّهٗ یَسْلُکُ مِنْۢ بَیْنِ یَدَیْهِ وَ مِنْ خَلْفِهٖ رَصَدًا ﴿ۙ۲۷﴾
উচ্চারণ:
ইল্লা-মানিরতাদা-মিররাছূলিন ফাইন্নাহূইয়াছলুকুমিম বাইনি ইয়াদাইহি ওয়া মিন খালফিহী রাসাদা- ।
আল বায়ান:
তবে তাঁর মনোনীত রাসূল ছাড়া। আর তিনি তখন তার সামনে ও তার পিছনে প্রহরী নিযুক্ত করবেন।
তাইসিরুল কুরআন:
তাঁর মনোনীত রসূল ব্যতীত। কেননা তিনি তখন তাঁর রসূলের আগে-পিছে পাহারাদার নিযুক্ত করেন।
Sahih International:
Except whom He has approved of messengers, and indeed, He sends before each messenger and behind him observers



لِّیَعْلَمَ اَنْ قَدْ اَبْلَغُوْا رِسٰلٰتِ رَبِّهِمْ وَ اَحَاطَ بِمَا لَدَیْهِمْ وَ اَحْصٰی کُلَّ شَیْءٍ عَدَدًا ﴿۲۸﴾
উচ্চারণ:
লিইয়া‘লামা আন কাদ আবলাগূরিছা-লা-তি রাব্বিহিম ওয়া আহা-তাবিমা-লাদাইহিম ওয়াআহসা- কুল্লা শাইয়িন ‘আদাদা- ।
আল বায়ান:
যাতে তিনি এটা জানতে পারেন যে, তারা* তাদের রবের রিসালাত পৌঁছিয়েছে কিনা। আর তাদের কাছে যা রয়েছে, তা তিনি পরিবেষ্টন করে রেখেছেন এবং তিনি প্রতিটি বস্তু গুণে গুণে হিসাব করে রেখেছেন।
তাইসিরুল কুরআন:
এটা জানার জন্য যে, রসূলগণ তাদের প্রতিপালকের বাণী সত্যিই পৌঁছে দিয়েছে কিনা। রসূলদের কাছে যা আছে তা তিনি (স্বীয় জ্ঞান দ্বারা) পরিবেষ্টন করে রেখেছেন আর প্রত্যেকটি জিনিসকে গুণে গুণে রেখেছেন।
Sahih International:
That he may know that they have conveyed the messages of their Lord; and He has encompassed whatever is with them and has enumerated all things in number.






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।