আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


یٰۤاَیُّهَا النَّبِیُّ لِمَ تُحَرِّمُ مَاۤ اَحَلَّ اللّٰهُ لَکَ ۚ تَبْتَغِیْ مَرْضَاتَ اَزْوَاجِکَ ؕ وَ اللّٰهُ غَفُوْرٌ رَّحِیْمٌ ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআইয়ুহান্নাবিইয়ুলিমা তুহাররিমুমাআহাল্লাল্লা-হু লাকা তাবতাগী মারদা-তা আযওয়া-জিকা ওয়াল্লা-হু গাফূরুর রাহীম।
আল বায়ান:
হে নবী, আল্লাহ তোমার জন্য যা হালাল করেছেন তোমার স্ত্রীদের সন্তুষ্টি কামনায় তুমি কেন তা হারাম করছ? আর আল্লাহ অতীব ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
তাইসিরুল কুরআন:
হে নবী! আল্লাহ যা তোমার জন্য হালাল করেছেন তা তুমি কেন হারাম করছ? (এর দ্বারা) তুমি তোমার স্ত্রীদের সন্তুষ্টি পেতে চাও, (আল্লাহ তোমার এ ত্রুটি ক্ষমা করে দিলেন কেননা) আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু।
Sahih International:
O Prophet, why do you prohibit [yourself from] what Allah has made lawful for you, seeking the approval of your wives? And Allah is Forgiving and Merciful.



قَدْ فَرَضَ اللّٰهُ لَکُمْ تَحِلَّۃَ اَیْمَانِکُمْ ۚ وَ اللّٰهُ مَوْلٰىکُمْ ۚ وَ هُوَ الْعَلِیْمُ الْحَکِیْمُ ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
কাদ ফারাদাল্লা-হু লাকুম তাহিল্লাতা আইমা-নিকুম ওয়াল্লা-হু মাওলা-কুম ওয়া হুওয়াল ‘আলীমুল হাকীম।
আল বায়ান:
নিশ্চয় তোমাদের জন্য শপথ হতে মুক্তির বিধান দিয়েছেন; আর আল্লাহ তোমাদের অভিভাবক এবং তিনি সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাবান।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহ তোমাদের জন্য নিজেদের কসমের বাধ্যবাধকতা থেকে নিস্কৃতি পাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন, আল্লাহ তোমাদের মালিক-মনিব-রক্ষক, আর তিনি সর্বজ্ঞাতা, মহা প্রজ্ঞার অধিকারী।
Sahih International:
Allah has already ordained for you [Muslims] the dissolution of your oaths. And Allah is your protector, and He is the Knowing, the Wise.



وَ اِذْ اَسَرَّ النَّبِیُّ اِلٰی بَعْضِ اَزْوَاجِهٖ حَدِیْثًا ۚ فَلَمَّا نَبَّاَتْ بِهٖ وَ اَظْهَرَهُ اللّٰهُ عَلَیْهِ عَرَّفَ بَعْضَهٗ وَ اَعْرَضَ عَنْۢ بَعْضٍ ۚ فَلَمَّا نَبَّاَهَا بِهٖ قَالَتْ مَنْ اَنْۢبَاَکَ هٰذَا ؕ قَالَ نَبَّاَنِیَ الْعَلِیْمُ الْخَبِیْرُ ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযআছাররান্নাবিইয়ুইলা-বা‘দিআযওয়া-জিহী হাদীছান ফালাম্মা-নাব্বাআত বিহী ওয়া আজহারাহুল্লা-হু আলাইহি ‘আররাফা বা‘দাহূওয়াআ‘রাদা ‘আম বা‘দিন ফালাম্মা-নাব্বাআহা-বিহী কা-লাত মান আম্বাআকা হা-যা- কা-লা নাব্বাআনিয়াল ‘আলীমুল খাবীর।
আল বায়ান:
আর যখন নবী তার এক স্ত্রীকে গোপনে একটি কথা বলেছিলেন; অতঃপর যখন সে (স্ত্রী) অন্যকে তা জানিয়ে দিল এবং আল্লাহ তার (নবীর) কাছে এটি প্রকাশ করে দিলেন, তখন নবী কিছুটা তার স্ত্রীকে অবহিত করল আর কিছু এড়িয়ে গেল। যখন সে তাকে বিষয়টি জানাল তখন সে বলল, ‘আপনাকে এ সংবাদ কে দিল?’ সে বলল, ‘মহাজ্ঞানী ও সর্বজ্ঞ আল্লাহ আমাকে জানিয়েছেন।’
তাইসিরুল কুরআন:
স্মরণ কর- যখন নবী তার স্ত্রীদের কোন একজনকে গোপনে একটি কথা বলেছিল। অতঃপর সে স্ত্রী যখন তা (অন্য একজনকে) জানিয়ে দিল, তখন আল্লাহ এ ব্যাপারটি নবীকে জানিয়ে দিলেন। তখন নবী (তার স্ত্রীর কাছে) কিছু কথার উল্লেখ করল আর কিছু কথা ছেড়ে দিল। নবী যখন তা তার স্ত্রীকে জানাল তখন সে বলল, ‘আপনাকে এটা কে জানিয়ে দিল?’’ নবী বলল, ‘‘আমাকে জানিয়ে দিলেন যিনি সর্বজ্ঞাতা, ওয়াকিফহাল।’’
Sahih International:
And [remember] when the Prophet confided to one of his wives a statement; and when she informed [another] of it and Allah showed it to him, he made known part of it and ignored a part. And when he informed her about it, she said, "Who told you this?" He said, "I was informed by the Knowing, the Acquainted."



اِنْ تَتُوْبَاۤ اِلَی اللّٰهِ فَقَدْ صَغَتْ قُلُوْبُکُمَا ۚ وَ اِنْ تَظٰهَرَا عَلَیْهِ فَاِنَّ اللّٰهَ هُوَ مَوْلٰىهُ وَ جِبْرِیْلُ وَ صَالِحُ الْمُؤْمِنِیْنَ ۚ وَ الْمَلٰٓئِکَۃُ بَعْدَ ذٰلِکَ ظَهِیْرٌ ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
ইন তাতূবাইলাল্লা-হি ফাকাদ সাগাত কুলূবুকুমা- ওয়া ইন তাজা-হারা-‘আলাইহি ফাইন্নাল্লা-হা হুওয়া মাওলা-হু ওয়া জিবরীলুওয়া সা-লিহুল মু’মিনীনা ওয়াল মালাইকাতুবা‘দা যা-লিকা জাহীর।
আল বায়ান:
যদি তোমরা উভয়ে আল্লাহর কাছে তওবা কর (তবে তা তোমাদের জন্য উত্তম)। কারণ তোমাদের উভয়ের অন্তর বাঁকা হয়েছে, আর তোমরা যদি তার বিরুদ্ধে পরস্পরকে সাহায্য কর তবে আল্লাহই তার অভিভাবক এবং জিব্রীল ও সৎকর্মশীল মু’মিনরাও। তাছাড়া অন্যান্য ফেরেশতারাও তার সাহায্যকারী।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা দু’জন যদি অনুশোচনাভরে আল্লাহর দিকে ফিরে আস (তবে তা তোমাদের জন্য উত্তম), তোমাদের অন্তর (অন্যায়ের দিকে) ঝুঁকে পড়েছে, তোমরা যদি নবীর বিরুদ্ধে একে অপরকে সহযোগিতা কর, তবে (জেনে রেখ) আল্লাহ তার মালিক-মনিব-রক্ষক। আর এ ছাড়াও জিবরীল, নেককার মু’মিনগণ আর ফেরেশতাগণও তার সাহায্যকারী।
Sahih International:
If you two [wives] repent to Allah, [it is best], for your hearts have deviated. But if you cooperate against him - then indeed Allah is his protector, and Gabriel and the righteous of the believers and the angels, moreover, are [his] assistants.



عَسٰی رَبُّهٗۤ اِنْ طَلَّقَکُنَّ اَنْ یُّبْدِلَهٗۤ اَزْوَاجًا خَیْرًا مِّنْکُنَّ مُسْلِمٰتٍ مُّؤْمِنٰتٍ قٰنِتٰتٍ تٰٓئِبٰتٍ عٰبِدٰتٍ سٰٓئِحٰتٍ ثَیِّبٰتٍ وَّ اَبْکَارًا ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
‘আছা-রাব্বুহইন তাল্লাকাকুন্না আইঁ ইউবদিলাহূ আযওয়া-জান খাইরাম মিনকুন্না মুছলিমাতিম মু’মিনা-তিন কা-নিতা-তিন তাইবা-তিন ‘আ-বিদা-তিন ছাইহা-তিন ছাইয়িবাতিওঁ ওয়া আবকা-রা-।
আল বায়ান:
সে যদি তোমাদেরকে তালাক দেয়, তবে আশা করা যায় তার রব তোমাদের পরিবর্তে তোমাদের চাইতে উত্তম স্ত্রী তাকে দিবেন, যারা মুসলিম, মুমিনা, অনুগত, তাওবাকারী, ‘ইবাদতকারী, সিয়াম পালনকারী, অকুমারী ও কুমারী।
তাইসিরুল কুরআন:
নবী যদি তোমাদের সবাইকে তালাক দিয়ে দেয় তবে সম্ভবতঃ তার প্রতিপালক তোমাদের পরিবর্তে তাকে দিবেন তোমাদের চেয়ে উত্তম স্ত্রী- যারা হবে আত্মসমপর্ণকারিণী মু’মিনা অনুগতা, তাওবাহকারিণী, ‘ইবাদাতকারিণী, রোযা পালনকারিণী, অকুমারী ও কুমারী।
Sahih International:
Perhaps his Lord, if he divorced you [all], would substitute for him wives better than you - submitting [to Allah], believing, devoutly obedient, repentant, worshipping, and traveling - [ones] previously married and virgins.



یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا قُوْۤا اَنْفُسَکُمْ وَ اَهْلِیْکُمْ نَارًا وَّ قُوْدُهَا النَّاسُ وَ الْحِجَارَۃُ عَلَیْهَا مَلٰٓئِکَۃٌ غِلَاظٌ شِدَادٌ لَّا یَعْصُوْنَ اللّٰهَ مَاۤ اَمَرَهُمْ وَ یَفْعَلُوْنَ مَا یُؤْمَرُوْنَ ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূকূআনফুছাকুমওয়াআহলীকুমনা-রাওঁ ওয়াকূ দুহান্না-ছু ওয়াল হিজা-রাতু‘আলাইহা-মালাইকাতুনগিলা-জু নশিদা-দুল লা-ইয়া‘সূনাল্লা-হা মা আমারাহুম ওয়া ইয়াফ‘আলূনা মা-ইউ’মারূন।
আল বায়ান:
হে ঈমানদারগণ, তোমরা নিজেদেরকে ও তোমাদের পরিবার-পরিজনকে আগুন হতে বাঁচাও যার জ্বালানি হবে মানুষ ও পাথর; যেখানে রয়েছে নির্মম ও কঠোর ফেরেশতাকূল, আল্লাহ তাদেরকে যে নির্দেশ দিয়েছেন তারা সে ব্যাপারে তার অবাধ্য হয় না। আর তারা তা-ই করে যা তাদেরকে আদেশ করা হয়।
তাইসিরুল কুরআন:
হে মু’মিনগণ! তোমরা তোমাদের নিজেদেরকে আর তোমাদের পরিবার-পরিজনকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা কর যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর, যাতে মোতায়েন আছে পাষাণ হৃদয় কঠোর স্বভাব ফেরেশতা। আল্লাহ যা আদেশ করেন, তা তারা অমান্য করে না, আর তারা তাই করে, তাদেরকে যা করার জন্য আদেশ দেয়া হয়।
Sahih International:
O you who have believed, protect yourselves and your families from a Fire whose fuel is people and stones, over which are [appointed] angels, harsh and severe; they do not disobey Allah in what He commands them but do what they are commanded.



یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ کَفَرُوْا لَا تَعْتَذِرُوا الْیَوْمَ ؕ اِنَّمَا تُجْزَوْنَ مَا کُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা কাফারূলা-তা‘তাযিরুল ইয়াওমা ইন্নামা-তুজযাওনা মা-কুনতুম তা‘মালূন।
আল বায়ান:
হে কাফিরগণ, আজ তোমরা ওজর পেশ করো না; তোমরা যে ‘আমল করতে তার প্রতিফলই তোমাদেরকে দেয়া হচ্ছে।
তাইসিরুল কুরআন:
(সেখানে বলা হবে) ওহে যারা কুফুরী করেছ! আজ ওযর পেশ করো না, তোমরা যা করতে তোমাদেরকে তারই প্রতিফল দেয়া হবে।
Sahih International:
O you who have disbelieved, make no excuses that Day. You will only be recompensed for what you used to do.



یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا تُوْبُوْۤا اِلَی اللّٰهِ تَوْبَۃً نَّصُوْحًا ؕ عَسٰی رَبُّکُمْ اَنْ یُّکَفِّرَ عَنْکُمْ سَیِّاٰتِکُمْ وَ یُدْخِلَکُمْ جَنّٰتٍ تَجْرِیْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُ ۙ یَوْمَ لَا یُخْزِی اللّٰهُ النَّبِیَّ وَ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا مَعَهٗ ۚ نُوْرُهُمْ یَسْعٰی بَیْنَ اَیْدِیْهِمْ وَ بِاَیْمَانِهِمْ یَقُوْلُوْنَ رَبَّنَاۤ اَتْمِمْ لَنَا نُوْرَنَا وَ اغْفِرْ لَنَا ۚ اِنَّکَ عَلٰی کُلِّ شَیْءٍ قَدِیْرٌ ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূতূবূইলাল্লা-হি তাওবাতান নাসূহা ‘আছা-রাব্বুকুম আইঁ ইউকাফফিরা ‘আনকুম ছাইয়িআ-তিকুম ওয়া ইউদখিলাকুম জান্না-তিন তাজরী মিন তাহতিহাল আনহা-রু ইয়াওমা লা-ইউখযিল্লা-হুন নাবিইইয়া ওয়াল্লাযীনা আ-মানূ মা‘আহূ নূরুহুম ইয়াছ‘আ-বাইনা আইদীহিম ওয়া বিআইমা-নিহিম ইয়াকূলূনা রাব্বানা আতমিম লানা-নূরানা-ওয়াগফিরলানা- ইন্নাকা ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর।
আল বায়ান:
হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহর কাছে তাওবা কর, খাঁটি তাওবা; আশা করা যায় তোমাদের রব তোমাদের পাপসমূহ মোচন করবেন এবং তোমাদেরকে এমন জান্নাতসমূহে প্রবেশ করাবেন যার পাদদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত, নবী ও তার সাথে যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে সেদিন আল্লাহ লাঞ্ছিত করবেন না। তাদের আলো তাদের সামনে ও ডানে ধাবিত হবে। তারা বলবে, ‘হে আমাদের রব, আমাদের জন্য আমাদের আলো পূর্ণ করে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন; নিশ্চয় আপনি সর্ববিষয়ে সর্বক্ষমতাবান।’
তাইসিরুল কুরআন:
ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা আল্লাহর কাছে তাওবাহ কর- আন্তরিক তাওবাহ। সম্ভবতঃ তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের মন্দ কাজগুলোকে তোমাদের থেকে মুছে দিবেন, আর তোমাদেরকে দাখিল করবেন জান্নাতে যার তলদেশ দিয়ে বয়ে চলেছে ঝর্ণাধারা। সে দিন আল্লাহ নবীকে আর তার সঙ্গে যারা ঈমান এনেছিল তাদেরকে লজ্জিত করবেন না। (সেদিনের ভয়াবহ অন্ধকার থেকে মু’মিনদের রক্ষার ব্যবস্থা হিসেবে) তাদের নূর দৌড়াতে থাকবে তাদের সামনে আর তাদের ডান পাশে। তারা বলবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের নূরকে আমাদের জন্য পরিপূর্ণ করে দাও আর আমাদেরকে ক্ষমা কর; তুমি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।’
Sahih International:
O you who have believed, repent to Allah with sincere repentance. Perhaps your Lord will remove from you your misdeeds and admit you into gardens beneath which rivers flow [on] the Day when Allah will not disgrace the Prophet and those who believed with him. Their light will proceed before them and on their right; they will say, "Our Lord, perfect for us our light and forgive us. Indeed, You are over all things competent."



یٰۤاَیُّهَا النَّبِیُّ جَاهِدِ الْکُفَّارَ وَ الْمُنٰفِقِیْنَ وَ اغْلُظْ عَلَیْهِمْ ؕ وَ مَاْوٰىهُمْ جَهَنَّمُ ؕ وَ بِئْسَ الْمَصِیْرُ ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআইয়ুহান্নাবিইয়ুজা-হিদিল কুফফা-রা ওয়াল মুনা-ফিকীনা ওয়াগলুজ‘আলাইহিম ওয়া মা’ওয়া-হুম জাহান্নামু ওয়া বি’ছাল মাসীর।
আল বায়ান:
‘হে নবী, কাফির ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ কর এবং তাদের ব্যাপারে কঠোর হও; আর তাদের আশ্রয়স্থল হবে জাহান্নাম এবং তা কত নিকৃষ্ট গন্তব্যস্থল!
তাইসিরুল কুরআন:
হে নবী! কাফির ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ কর, তাদের প্রতি কঠোর হও। তাদের ঠিকানা জাহান্নাম, কতই না নিকৃষ্ট সেই প্রত্যাবর্তনস্থল!
Sahih International:
O Prophet, strive against the disbelievers and the hypocrites and be harsh upon them. And their refuge is Hell, and wretched is the destination.



ضَرَبَ اللّٰهُ مَثَلًا لِّلَّذِیْنَ کَفَرُوا امْرَاَتَ نُوْحٍ وَّ امْرَاَتَ لُوْطٍ ؕ کَانَتَا تَحْتَ عَبْدَیْنِ مِنْ عِبَادِنَا صَالِحَیْنِ فَخَانَتٰهُمَا فَلَمْ یُغْنِیَا عَنْهُمَا مِنَ اللّٰهِ شَیْئًا وَّ قِیْلَ ادْخُلَا النَّارَ مَعَ الدّٰخِلِیْنَ ﴿۱۰﴾
উচ্চারণ:
দারাবাল্লা-হু মাছালালিলল্লাযীনা কাফারুমরাআতা নূহিওঁ ওয়ামরাআতা লূতিন কানাতা-তাহতা ‘আবদাইনি মিন ‘ইবা-দিনা-ছা-লিহাইনি ফাখা-নাতা-হুমা-ফালাম ইউগনিয়া-‘আনহুমা-মিনাল্লা-হি শাইআওঁ ওয়া কীলাদ খুলান্না-রা মা‘আদ্দা-খিলীন।
আল বায়ান:
যারা কুফরি করে তাদের জন্য আল্লাহ নূহের স্ত্রীর ও লূতের স্ত্রীর উদাহরণ পেশ করেন; তারা আমার বান্দাদের মধ্য হতে দু’জন সৎবান্দার অধীনে ছিল, কিন্তু তারা উভয়ে তাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল, অতঃপর আল্লাহর আযাব হতে রক্ষায় নূহ ও লূত তাদের কোন কাজে আসেনি। বলা হল, ‘তোমরা উভয়ে প্রবেশকারীদের সাথে জাহান্নামে প্রবেশ কর।’
তাইসিরুল কুরআন:
যারা কুফুরীর নীতি অবলম্বন করে তাদের ব্যাপারে আল্লাহ নূহের স্ত্রী আর লূতের স্ত্রীর দৃষ্টান্ত পেশ করছেন। এরা ছিল আমার দু’নেককার বান্দার অধীনে। কিন্তু তারা দু’জনেই তাদের স্বামীদ্বয়ের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল। ফলে নূহ ও লূত তাদেরকে আল্লাহর শাস্তি থেকে রক্ষা করতে পারল না। তাদেরকে বলা হল, ‘‘তোমরা দু’জন জাহান্নামে প্রবেশ কর (অন্যান্য) প্রবেশকারীদের সঙ্গে।’’
Sahih International:
Allah presents an example of those who disbelieved: the wife of Noah and the wife of Lot. They were under two of Our righteous servants but betrayed them, so those prophets did not avail them from Allah at all, and it was said, "Enter the Fire with those who enter."



وَ ضَرَبَ اللّٰهُ مَثَلًا لِّلَّذِیْنَ اٰمَنُوا امْرَاَتَ فِرْعَوْنَ ۘ اِذْ قَالَتْ رَبِّ ابْنِ لِیْ عِنْدَکَ بَیْتًا فِی الْجَنَّۃِ وَ نَجِّنِیْ مِنْ فِرْعَوْنَ وَ عَمَلِهٖ وَ نَجِّنِیْ مِنَ الْقَوْمِ الظّٰلِمِیْنَ ﴿ۙ۱۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া দারাবাল্লা-হু মাছালালিলল্লাযীনা আ-মানুমরাআতা ফির‘আওনা । ইযকা-লাত রাব্ব্বিনি লী ‘ইনদাকা বাইতান ফিল জান্নাতি ওয়া নাজ্জিনী মিন ফির‘আওনা ওয়া ‘আমালিহী ওয়া নাজ্জিনী মিনাল কাওমিজ্জা-লিমীন।
আল বায়ান:
আর যারা ঈমান আনে তাদের জন্য আল্লাহ ফির‘আউনের স্ত্রীর উদাহরণ পেশ করেন, যখন সে বলেছিল, ‘হে আমার রব, আপনার কাছে আমার জন্য জান্নাতে একটি বাড়ি নির্মাণ করুন এবং আমাকে ফির‘আউন ও তার কর্ম হতে নাজাত দিন, আর আমাকে নাজাত দিন যালিম সম্প্রদায় হতে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যারা ঈমান আনে তাদের ব্যাপারে আল্লাহ ফেরাউনের স্ত্রীর দৃষ্টান্ত দিচ্ছেন। সে প্রার্থনা করেছিল, ‘‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমার জন্য তোমার নিকট জান্নাতে একটি ঘর বানিয়ে দাও আর আমাকে তুমি ফেরাউন ও তার (অন্যায়) কার্যকলাপ থেকে রক্ষা কর, উদ্ধার কর আমাকে যালিম সম্প্রদায় থেকে।’’
Sahih International:
And Allah presents an example of those who believed: the wife of Pharaoh, when she said, "My Lord, build for me near You a house in Paradise and save me from Pharaoh and his deeds and save me from the wrongdoing people."



وَ مَرْیَمَ ابْنَتَ عِمْرٰنَ الَّتِیْۤ اَحْصَنَتْ فَرْجَهَا فَنَفَخْنَا فِیْهِ مِنْ رُّوْحِنَا وَ صَدَّقَتْ بِکَلِمٰتِ رَبِّهَا وَ کُتُبِهٖ وَ کَانَتْ مِنَ الْقٰنِتِیْنَ ﴿۱۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মারইয়ামাবনাতা ‘ইমরা-নাল্লাতীআহসানাত ফারজাহা-ফানাফাখনা-ফীহি মিররূহিনাওয়া সাদ্দাকাত বিকালিমা-তি রাব্বিহা-ওয়া কুতুবিহী ওয়া কা-নাত মিনাল কা-নিতীন।
আল বায়ান:
(আল্লাহ আরো উদাহরণ পেশ করেন) ইমরান কন্যা মারয়াম-এর, যে নিজের সতীত্ব রক্ষা করেছিল, ফলে আমি তাতে আমার রূহ থেকে ফুঁকে দিয়েছিলাম। আর সে তার রবের বাণীসমূহ ও তাঁর কিতাবসমূহের সত্যতা স্বীকার করেছিল এবং সে ছিল অনুগতদের অন্তর্ভুক্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
আর (দৃষ্টান্ত দিচ্ছেন) ‘ইমরান-কন্যা মারইয়ামের যে তার লজ্জাস্থান সংরক্ষণ করেছিল, ফলে আমি তার মধ্যে আমার রূহ ফুঁকে দিয়েছিলাম। সে তার প্রতিপালকের বাণী ও তাঁর কিতাবসমূহে (তাওরাত, যবূর ও ইঞ্জীলে) বিশ্বাস স্থাপন করেছিল। সে ছিল অনুগত ও বিনতদের অন্তর্ভুক্ত।
Sahih International:
And [the example of] Mary, the daughter of 'Imran, who guarded her chastity, so We blew into [her garment] through Our angel, and she believed in the words of her Lord and His scriptures and was of the devoutly obedient.






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।