আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


اِقْرَاْ بِاسْمِ رَبِّکَ الَّذِیْ خَلَقَ ۚ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
ইকরা বিছমি রাব্বিকাল্লাযী খালাক।
আল বায়ান:
পড় তোমার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন।
তাইসিরুল কুরআন:
পাঠ কর তোমার প্রতিপালকের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন,
Sahih International:
Recite in the name of your Lord who created -



خَلَقَ الْاِنْسَانَ مِنْ عَلَقٍ ۚ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
খালাকাল ইনছা-না মিন ‘আলাক।
আল বায়ান:
তিনি সৃষ্টি করেছেন মানুষকে 'আলাক' থেকে।
তাইসিরুল কুরআন:
সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট-বাঁধা রক্তপিন্ড হতে।
Sahih International:
Created man from a clinging substance.



اِقْرَاْ وَ رَبُّکَ الْاَکْرَمُ ۙ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
ইকরা’ ওয়া রাব্বুকাল আকরাম
আল বায়ান:
পড়, আর তোমার রব মহামহিম।
তাইসিরুল কুরআন:
পাঠ কর, আর তোমার রব বড়ই অনুগ্রহশীল।
Sahih International:
Recite, and your Lord is the most Generous -



الَّذِیْ عَلَّمَ بِالْقَلَمِ ۙ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
অল্লাযী ‘আল্লামা বিলকালাম।
আল বায়ান:
যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন।
তাইসিরুল কুরআন:
যিনি শিক্ষা দিয়েছেন কলম দিয়ে,
Sahih International:
Who taught by the pen -



عَلَّمَ الْاِنْسَانَ مَا لَمْ یَعْلَمْ ؕ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
‘আল্লামাল ইনছা-না-মা-লাম ইয়া‘লাম।
আল বায়ান:
তিনি মানুষকে তা শিক্ষা দিয়েছেন, যা সে জানত না।
তাইসিরুল কুরআন:
শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না,
Sahih International:
Taught man that which he knew not.



کَلَّاۤ اِنَّ الْاِنْسَانَ لَیَطْغٰۤی ۙ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
কাল্লাইন্নাল ইনছা-না লাইয়াতগা।
আল বায়ান:
কখনো নয়, নিশ্চয় মানুষ সীমালঙ্ঘন করে থাকে।
তাইসিরুল কুরআন:
না (এমন আচরণ করা) মোটেই ঠিক নয়, মানুষ অবশ্যই সীমালঙ্ঘন করে,
Sahih International:
No! [But] indeed, man transgresses



اَنْ رَّاٰهُ اسْتَغْنٰی ﴿ؕ۷﴾
উচ্চারণ:
আররাআ-হুছ তাগনা-।
আল বায়ান:
কেননা সে নিজকে মনে করে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
তাইসিরুল কুরআন:
কারণ, সে নিজেকে অভাবমুক্ত মনে করে,
Sahih International:
Because he sees himself self-sufficient.



اِنَّ اِلٰی رَبِّکَ الرُّجْعٰی ؕ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
ইন্না ইলা-রাব্বিকার রুজ‘আ-।
আল বায়ান:
নিশ্চয় তোমার রবের দিকেই প্রত্যাবর্তন।
তাইসিরুল কুরআন:
নিঃসন্দেহে (সকলকে) ফিরে যেতে হবে তোমার প্রতিপালকের দিকে।
Sahih International:
Indeed, to your Lord is the return.



اَرَءَیْتَ الَّذِیْ یَنْهٰی ۙ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
আরাআইতাল্লাযী ইয়ানহা-
আল বায়ান:
তুমি কি তাকে দেখেছ যে নিষেধ করে।
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি কি তাকে (অর্থাৎ আবূ জাহলকে) দেখেছ যে নিষেধ করে,
Sahih International:
Have you seen the one who forbids



عَبْدًا اِذَا صَلّٰی ﴿ؕ۱۰﴾
উচ্চারণ:
‘আবদান ইযা-সাল্লা-।
আল বায়ান:
এক বান্দাকে, যখন সে সালাত আদায় করে?
তাইসিরুল কুরআন:
এক বান্দাহকে [অর্থাৎ রসূলুল্লাহ (সা.)-কে] যখন সে নামায আদায় করতে থাকে?
Sahih International:
A servant when he prays?



اَرَءَیْتَ اِنْ کَانَ عَلَی الْهُدٰۤی ﴿ۙ۱۱﴾
উচ্চারণ:
আরাআইতা ইন কা-না ‘আলাল হুদা।
আল বায়ান:
তুমি কি দেখেছ, যদি সে হিদায়াতের উপর থাকে,
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি কি ভেবে দেখেছ (যাকে নিষেধ করা হচ্ছে) সে যদি সৎ পথে থাকে,
Sahih International:
Have you seen if he is upon guidance



اَوْ اَمَرَ بِالتَّقْوٰی ﴿ؕ۱۲﴾
উচ্চারণ:
আও আমারা বিত্তাকাওয়া-।
আল বায়ান:
অথবা তাকওয়ার নির্দেশ দেয়?
তাইসিরুল কুরআন:
আর তাকওয়া অবলম্বনের নির্দেশ দেয় (তাহলে তার এ কাজগুলো কেমন মনে কর?)
Sahih International:
Or enjoins righteousness?



اَرَءَیْتَ اِنْ کَذَّبَ وَ تَوَلّٰی ﴿ؕ۱۳﴾
উচ্চারণ:
আরাআইতা ইন কাযযাবা ওয়া তাওয়াল্লা-।
আল বায়ান:
যদি সে মিথ্যারোপ করে এবং মুখ ফিরিয়ে নেয়?
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার কী ধারণা যদি সে (অর্থাৎ নিষেধকারী ব্যক্তি) সত্যকে অস্বীকার করে আর মুখ ফিরিয়ে নেয় (তাহলে তার এ কাজ কেমন মনে কর?)
Sahih International:
Have you seen if he denies and turns away -



اَلَمْ یَعْلَمْ بِاَنَّ اللّٰهَ یَرٰی ﴿ؕ۱۴﴾
উচ্চারণ:
আলাম ইয়া‘লাম বিআন্নাল্লা-হা ইয়ারা-।
আল বায়ান:
সে কি জানেনা যে, নিঃসন্দেহে আল্লাহ দেখেন?
তাইসিরুল কুরআন:
সে কি জানে না যে, আল্লাহ দেখেন?
Sahih International:
Does he not know that Allah sees?



کَلَّا لَئِنْ لَّمْ یَنْتَهِ ۬ۙ لَنَسْفَعًۢا بِالنَّاصِیَۃِ ﴿ۙ۱۵﴾
উচ্চারণ:
কাল্লা-লাইল্লাম ইয়ানতাহি লানাছফা‘আম বিন্না-সিয়াহ।
আল বায়ান:
কখনো নয়, যদি সে বিরত না হয়, তবে আমি তাকে কপালের সম্মুখভাগের চুল ধরে টেনে- হিঁচড়ে নিয়ে যাব।
তাইসিরুল কুরআন:
না, (সে যা করতে চায়) তা কক্ষনো করতে পারবে না, সে যদি বিরত না হয় তাহলে আমি অবশ্যই তার মাথার সামনের চুলগুচ্ছ ধরে হেঁচড়ে নিয়ে যাব-
Sahih International:
No! If he does not desist, We will surely drag him by the forelock -



نَاصِیَۃٍ کَاذِبَۃٍ خَاطِئَۃٍ ﴿ۚ۱۶﴾
উচ্চারণ:
না-সিয়াতিন কা-যিবাতিন খা-তিআহ।
আল বায়ান:
মিথ্যাবাদী, পাপিষ্ঠ কপাল।
তাইসিরুল কুরআন:
মিথ্যাচারী পাপাচারী চুলগুচ্ছ
Sahih International:
A lying, sinning forelock.



فَلْیَدْعُ نَادِیَهٗ ﴿ۙ۱۷﴾
উচ্চারণ:
ফালইয়াদ‘উ নাদিয়াহ,
আল বায়ান:
অতএব, সে তার সভাসদদের আহবান করুক।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই সে তার সভাষদদের ডাকুক।
Sahih International:
Then let him call his associates;



سَنَدْعُ الزَّبَانِیَۃَ ﴿ۙ۱۸﴾
উচ্চারণ:
ছানাদ‘উযযাবা-নিয়াহ।
আল বায়ান:
অচিরেই আমি ডেকে নেব জাহান্নামের প্রহরীদেরকে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমিও ‘আযাবের ফেরেশতাদেরকে ডাকব,
Sahih International:
We will call the angels of Hell.



کَلَّا ؕ لَا تُطِعْهُ وَ اسْجُدْ وَ اقْتَرِبْ ﴿ٛ۱۹﴾
উচ্চারণ:
কাল্লা- লা-তুতি‘হু ওয়াছজু দ ওয়াকতারিব (ছিজদাহ-১৪)।
আল বায়ান:
কখনো নয়, তুমি তার আনুগত্য করবে না। আর সিজদা কর এবং নৈকট্য লাভ কর।[সাজদাহ]
তাইসিরুল কুরআন:
না, তুমি কক্ষনো তার অনুসরণ করো না, তুমি সাজদাহ কর আর (আল্লাহর) নৈকট্য লাভ কর।[সাজদাহ]
Sahih International:
No! Do not obey him. But prostrate and draw near [to Allah].






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।