আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


لَاۤ اُقْسِمُ بِهٰذَا الْبَلَدِ ۙ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
লাউকছিমুবিহা-যাল বালাদ।
আল বায়ান:
আমি কসম করছি এই নগরীর।
তাইসিরুল কুরআন:
(কাফিররা বলছে দুনিয়ার জীবনই সবকিছু) না, আমি এই (মক্কা) নগরের শপথ করছি (যে নগরে সকলেই নিরাপদ),
Sahih International:
I swear by this city, Makkah -



وَ اَنْتَ حِلٌّۢ بِهٰذَا الْبَلَدِ ۙ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আনতা হিল্লুম বিহা-যাল বালাদ।
আল বায়ান:
আর তুমি এই নগরীতে মুক্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তুমি এই নগরের হালালকারী।
Sahih International:
And you, [O Muhammad], are free of restriction in this city -



وَ وَالِدٍ وَّ مَا وَلَدَ ۙ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ওয়া-লিদিওঁ ওয়ামা-ওয়ালাদ।
আল বায়ান:
কসম জনকের এবং যা সে জন্ম দেয়।
তাইসিরুল কুরআন:
শপথ জন্মদাতা (আদম)-এর আর যা সে জন্ম দিয়েছে (সেই সমস্ত মানুষের),
Sahih International:
And [by] the father and that which was born [of him],



لَقَدْ خَلَقْنَا الْاِنْسَانَ فِیْ کَبَدٍ ؕ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
লাকাদ খালাকনাল ইনছা-না ফী কাবাদ।
আল বায়ান:
নিঃসন্দেহে আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি কষ্ট- ক্লেশের মধ্যে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি অত্যন্ত কষ্ট ও শ্রমের মাঝে, (দুনিয়ার প্রত্যেকটি মানুষ কোন না কোন কষ্টের মধ্যে পতিত আছে)।
Sahih International:
We have certainly created man into hardship.



اَیَحْسَبُ اَنْ لَّنْ یَّقْدِرَ عَلَیْهِ اَحَدٌ ۘ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়াহছাবুআল্লাইঁ ইয়াকদিরা ‘আলাইহি আহাদ।
আল বায়ান:
সে কি ধারণা করছে যে, কেউ কখনো তার উপর ক্ষমতাবান হবে না?
তাইসিরুল কুরআন:
সে কি মনে করে যে তার উপর কেউ ক্ষমতাবান নেই?
Sahih International:
Does he think that never will anyone overcome him?



یَقُوْلُ اَهْلَکْتُ مَالًا لُّبَدًا ؕ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
ইয়াকূ লুআহলাকতুমা-লাল লুবাদা-।
আল বায়ান:
সে বলে, ‘আমি প্রচুর ধন-সম্পদ নিঃশেষ করেছি’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে (গর্বের সঙ্গে) বলে যে, আমি প্রচুর ধন-সম্পদ উড়িয়েছি।
Sahih International:
He says, "I have spent wealth in abundance."



اَیَحْسَبُ اَنْ لَّمْ یَرَهٗۤ اَحَدٌ ؕ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
আইয়াহছাবুআল্লাম ইয়ারাহূআহাদ।
আল বায়ান:
সে কি ধারণা করছে যে, কেউ তাকে দেখেনি?
তাইসিরুল কুরআন:
সে কি মনে করে যে তাকে কেউ দেখেনি?
Sahih International:
Does he think that no one has seen him?



اَلَمْ نَجْعَلْ لَّهٗ عَیْنَیْنِ ۙ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
আলাম নাজ‘আল্লাহূ‘আইনাইন।
আল বায়ান:
আমি কি তার জন্য দু’টি চোখ বানাইনি?
তাইসিরুল কুরআন:
আমি কি তাকে দু’টো চোখ দিইনি?
Sahih International:
Have We not made for him two eyes?



وَ لِسَانًا وَّ شَفَتَیْنِ ۙ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লিছা-নাওঁ ওয়া শাফাতাইন।
আল বায়ান:
আর একটি জিহবা ও দু’টি ঠোঁট?
তাইসিরুল কুরআন:
আর একটা জিহবা আর দু’টো ঠোঁট?
Sahih International:
And a tongue and two lips?



وَ هَدَیْنٰهُ النَّجْدَیْنِ ﴿ۚ۱۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া হাদাইনা-হুন্নাজদাঈন।
আল বায়ান:
আর আমি তাকে দু’টি পথ প্রদর্শন করেছি।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমি তাকে (পাপ ও পুণ্যের) দু’টো পথ দেখিয়েছি।
Sahih International:
And have shown him the two ways?



فَلَا اقْتَحَمَ الْعَقَبَۃَ ﴿۫ۖ۱۱﴾
উচ্চারণ:
ফালাকতাহামাল ‘আকাবাহ।
আল বায়ান:
তবে সে বন্ধুর গিরিপথটি অতিক্রম করতে সচেষ্ট হয়নি।
তাইসিরুল কুরআন:
(মানুষকে এত গুণবৈশিষ্ট্য ও মেধা দেয়া সত্ত্বেও) সে (ধর্মের) দুর্গম গিরি পথে প্রবেশ করল না।
Sahih International:
But he has not broken through the difficult pass.



وَ مَاۤ اَدْرٰىکَ مَا الْعَقَبَۃُ ﴿ؕ۱۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামাআদরা-কা মাল ‘আকাবাহ।
আল বায়ান:
আর কিসে তোমাকে জানাবে, বন্ধুর গিরিপথটি কি?
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি কি জান দুর্গম গিরিপথ কী?
Sahih International:
And what can make you know what is [breaking through] the difficult pass?



فَکُّ رَقَبَۃٍ ﴿ۙ۱۳﴾
উচ্চারণ:
ফাক্কুরাকাবাহ ।
আল বায়ান:
তা হচ্ছে, দাস মুক্তকরণ।
তাইসিরুল কুরআন:
(তা হচ্ছে) দাসমুক্তি।
Sahih International:
It is the freeing of a slave



اَوْ اِطْعٰمٌ فِیْ یَوْمٍ ذِیْ مَسْغَبَۃٍ ﴿ۙ۱۴﴾
উচ্চারণ:
আও ইত‘আ-মুন ফী ইয়াওমিন যী মাছগাবাহ ।
আল বায়ান:
অথবা খাদ্য দান করা দুর্ভিক্ষের দিনে।
তাইসিরুল কুরআন:
অথবা দুর্ভিক্ষের দিনে খাদ্য দান
Sahih International:
Or feeding on a day of severe hunger



یَّتِیْمًا ذَا مَقْرَبَۃٍ ﴿ۙ۱۵﴾
উচ্চারণ:
ইয়াতীমান যা-মাকরাবাহ।
আল বায়ান:
ইয়াতীম আত্মীয়-স্বজনকে।
তাইসিরুল কুরআন:
নিকটাত্মীয় ইয়াতীমকে,
Sahih International:
An orphan of near relationship



اَوْ مِسْکِیْنًا ذَا مَتْرَبَۃٍ ﴿ؕ۱۶﴾
উচ্চারণ:
আও মিছকীনান যা-মাতরাবাহ।
আল বায়ান:
অথবা ধূলি-মলিন মিসকীনকে।
তাইসিরুল কুরআন:
অথবা দারিদ্র-ক্লিষ্ট মিসকীনকে।
Sahih International:
Or a needy person in misery



ثُمَّ کَانَ مِنَ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ تَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ وَ تَوَاصَوْا بِالْمَرْحَمَۃِ ﴿ؕ۱۷﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা কা-না মিনাল্লাযীনা আ-মানূওয়াতাওয়া-সাও বিসসাবরি ওয়াতাওয়া-সাও বিল মারহামাহ।
আল বায়ান:
অতঃপর সে তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়, যারা ঈমান এনেছে এবং পরস্পরকে উপদেশ দেয় ধৈর্যধারণের, আর পরস্পরকে উপদেশ দেয় দয়া-অনুগ্রহের।
তাইসিরুল কুরআন:
তদুপরি সে মু’মিনদের মধ্যে শামিল হয় আর পরস্পরকে ধৈর্য ধারণের ও দয়া প্রদর্শনের উপদেশ দেয়।
Sahih International:
And then being among those who believed and advised one another to patience and advised one another to compassion.



اُولٰٓئِکَ اَصْحٰبُ الْمَیْمَنَۃِ ﴿ؕ۱۸﴾
উচ্চারণ:
উলাইকা আসহা-বুল মাইমানাহ।
আল বায়ান:
তারাই সৌভাগ্যবান।
তাইসিরুল কুরআন:
তারাই ডানপন্থী (সৌভাগ্যবান লোক)।
Sahih International:
Those are the companions of the right.



وَ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا بِاٰیٰتِنَا هُمْ اَصْحٰبُ الْمَشْـَٔمَۃِ ﴿ؕ۱۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনা কাফারূবিআ-য়া-তিনা-হুম আসহা-বুল মাশআমাহ।
আল বায়ান:
আর যারা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে তারাই দুর্ভাগা।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যারা আমার আয়াতকে অস্বীকার করে তারাই বামপন্থী (হতভাগা)।
Sahih International:
But they who disbelieved in Our signs - those are the companions of the left.



عَلَیْهِمْ نَارٌ مُّؤْصَدَۃٌ ﴿۲۰﴾
উচ্চারণ:
‘আলাইহিম না-রুম মু’সাদাহ।
আল বায়ান:
তাদের উপর থাকবে অবরুদ্ধ আগুন।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদেরকে আচ্ছন্ন করবে অবরুদ্ধকারী আগুন।
Sahih International:
Over them will be fire closed in.






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।