আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


وَ الْمُرْسَلٰتِ عُرْفًا ۙ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল মুরছালা- তি ‘উরফা- ।
আল বায়ান:
কসম কল্যাণের উদ্দেশ্যে প্রেরিত বাতাসের,
তাইসিরুল কুরআন:
পর পর পাঠানো বাতাসের শপথ যা উপকার সাধন করে,
Sahih International:
By those [winds] sent forth in gusts



فَالْعٰصِفٰتِ عَصْفًا ۙ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
ফাল ‘আ- সিফা- তি ‘আসফা- ।
আল বায়ান:
আর প্রচন্ড বেগে প্রবাহিত ঝঞ্ঝার।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর তা প্রচন্ড ঝড়ের বেগে বইতে থাকে,
Sahih International:
And the winds that blow violently



وَّ النّٰشِرٰتِ نَشْرًا ۙ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়ান্না- শিরা- তি নাশরা- ।
আল বায়ান:
কসম মেঘমালা ও বৃষ্টি বিক্ষিপ্তকারী বায়ুর,
তাইসিরুল কুরআন:
শপথ সেই বায়ুর যা (মেঘমালাকে) ছড়িয়ে দেয় দূর দূরান্তে,
Sahih International:
And [by] the winds that spread [clouds]



فَالْفٰرِقٰتِ فَرْقًا ۙ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
ফালফা- রিকা- তি ফারকা- ।
আল বায়ান:
আর সুস্পষ্টরূপে পার্থক্যকারীর (আল-কুরআনের আয়াতের)।
তাইসিরুল কুরআন:
আর বিচ্ছিন্নকারী বাতাসের শপথ যা (মেঘমালাকে) বিচ্ছিন্ন করে,
Sahih International:
And those [angels] who bring criterion



فَالْمُلْقِیٰتِ ذِکْرًا ۙ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
ফাল মুলকিয়া-তি যিকরা- ।
আল বায়ান:
অতঃপর কসম, উপদেশগ্রন্থ আনয়নকারী (ফেরেশতাদের),
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর (মানুষের অন্তরে) পৌঁছে দেয় (আল্লাহর) স্মরণ,
Sahih International:
And those [angels] who deliver a message



عُذْرًا اَوْ نُذْرًا ۙ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
‘উযরান আও নুযরা- ।
আল বায়ান:
অজুহাত দূরকারী ও সতর্ককারী।
তাইসিরুল কুরআন:
(বিশ্বাসী লোকদেরকে) ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ দেয়ার জন্য আর (কাফিরদেরকে) সতর্ক করার জন্য।
Sahih International:
As justification or warning,



اِنَّمَا تُوْعَدُوْنَ لَوَاقِعٌ ؕ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
ইন্নামা- তূ‘আদূনা লাওয়া-কি‘।
আল বায়ান:
তোমাদেরকে যা কিছুর ওয়াদা দেয়া হয়েছে তা অবশ্যই ঘটবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদেরকে যার ও‘য়াদা দেয়া হয়েছে তা অবশ্যই সংঘটিত হবে।
Sahih International:
Indeed, what you are promised is to occur.



فَاِذَا النُّجُوْمُ طُمِسَتْ ۙ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
ফাইযান নুজূমুতুমিছাত।
আল বায়ান:
যখন তারকারাজি আলোহীন হবে,
তাইসিরুল কুরআন:
যখন নক্ষত্ররাজির আলো বিলুপ্ত হবে,
Sahih International:
So when the stars are obliterated



وَ اِذَا السَّمَآءُ فُرِجَتْ ۙ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযাছছামাউ ফুরিজাত।
আল বায়ান:
আর আকাশ বিদীর্ণ হবে,
তাইসিরুল কুরআন:
যখন আকাশ বিদীর্ণ হবে,
Sahih International:
And when the heaven is opened



وَ اِذَا الْجِبَالُ نُسِفَتْ ﴿ۙ۱۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযাল জিবা-লুনুছিফাত।
আল বায়ান:
আর যখন পাহাড়গুলি চূর্ণবিচূর্ণ হবে,
তাইসিরুল কুরআন:
যখন পবর্তমালা ধুনিত হবে।
Sahih International:
And when the mountains are blown away



وَ اِذَا الرُّسُلُ اُقِّتَتْ ﴿ؕ۱۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযাররুছুলুউককিতাত।
আল বায়ান:
আর যখন রাসূলদেরকে নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত করা হবে;
তাইসিরুল কুরআন:
যখন (হাশরের মাঠে) রসূলগণের একত্রিত হওয়ার সময় এসে পড়বে।
Sahih International:
And when the messengers' time has come...



لِاَیِّ یَوْمٍ اُجِّلَتْ ﴿ؕ۱۲﴾
উচ্চারণ:
লিআইয়ি ইয়াওমিন উজ্জিলাত।
আল বায়ান:
কোন্ দিনের জন্য এসব স্থগিত করা হয়েছিল?
তাইসিরুল কুরআন:
(এ সব বিষয়) কোন দিনের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে?
Sahih International:
For what Day was it postponed?



لِیَوْمِ الْفَصْلِ ﴿ۚ۱۳﴾
উচ্চারণ:
লিইয়াওমিল ফাসল;
আল বায়ান:
বিচার দিনের জন্য।
তাইসিরুল কুরআন:
চূড়ান্ত ফয়সালার দিনের জন্য।
Sahih International:
For the Day of Judgement.



وَ مَاۤ اَدْرٰىکَ مَا یَوْمُ الْفَصْلِ ﴿ؕ۱۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামাআদরা-কা মা- ইয়াওমুল ফাসল।
আল বায়ান:
আর কিসে তোমাকে জানাবে বিচার দিবস কী?
তাইসিরুল কুরআন:
সেই চূড়ান্ত ফয়সালার দিনটি কী তা তোমাকে কিসে জানাবে?
Sahih International:
And what can make you know what is the Day of Judgement?



وَیْلٌ یَّوْمَئِذٍ لِّلْمُکَذِّبِیْنَ ﴿۱۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়াইলুইঁ ইয়াওমাইযিল লিলমুকাযযিবীন।
আল বায়ান:
মিথ্যারোপকারীদের জন্য সেদিনের দুর্ভোগ!
তাইসিরুল কুরআন:
সে দিন দুর্ভোগ সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের জন্য।
Sahih International:
Woe, that Day, to the deniers.



اَلَمْ نُهْلِکِ الْاَوَّلِیْنَ ﴿ؕ۱۶﴾
উচ্চারণ:
আলাম নুহলিকিল আওওয়ালীন।
আল বায়ান:
আমি কি পূর্ববর্তীদেরকে ধ্বংস করিনি?
তাইসিরুল কুরআন:
আমি কি আগেকার লোকেদেরকে ধ্বংস করে দেইনি?
Sahih International:
Did We not destroy the former peoples?



ثُمَّ نُتْبِعُهُمُ الْاٰخِرِیْنَ ﴿۱۷﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা নুতবি‘উহুমুল আ-খিরীন।
আল বায়ান:
তারপর পরবর্তীদেরকে তাদের অনুসারী বানাই।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর পরবর্তী লোকেদেরকেও আমি তাদের অনুগামী করব।
Sahih International:
Then We will follow them with the later ones.



کَذٰلِکَ نَفْعَلُ بِالْمُجْرِمِیْنَ ﴿۱۸﴾
উচ্চারণ:
কাযা-লিকা নাফ‘আলুবিলমুজরিমীন।
আল বায়ান:
অপরাধীদের সাথে আমি এমনই করে থাকি।
তাইসিরুল কুরআন:
অপরাধীদের প্রতি আমি এরকমই করে থাকি।
Sahih International:
Thus do We deal with the criminals.



وَیْلٌ یَّوْمَئِذٍ لِّلْمُکَذِّبِیْنَ ﴿۱۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়াইলুইঁ ইয়াওমাইযিল লিলমুকাযযিবীন।
আল বায়ান:
মিথ্যারোপকারীদের জন্য সেদিনের ধ্বংস!
তাইসিরুল কুরআন:
সে দিন দুর্ভোগ সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের জন্য।
Sahih International:
Woe, that Day, to the deniers.



اَلَمْ نَخْلُقْکُّمْ مِّنْ مَّآءٍ مَّهِیْنٍ ﴿ۙ۲۰﴾
উচ্চারণ:
আলাম নাখলুককুম মিম মাইম্মাহীন।
আল বায়ান:
আমি কি তোমাদেরকে তুচ্ছ পানি দিয়ে সৃষ্টি করিনি?
তাইসিরুল কুরআন:
আমি কি নগণ্য পানি থেকে তোমাদেরকে সৃষ্টি করিনি?
Sahih International:
Did We not create you from a liquid disdained?



فَجَعَلْنٰهُ فِیْ قَرَارٍ مَّکِیْنٍ ﴿ۙ۲۱﴾
উচ্চারণ:
ফাজা‘আলনা-হু ফী কারা-রিম মাকীন।
আল বায়ান:
অতঃপর তা আমি রেখেছি সুরক্ষিত আধারে
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর আমি তা রেখেছি এক সুসংরক্ষিত স্থানে।
Sahih International:
And We placed it in a firm lodging



اِلٰی قَدَرٍ مَّعْلُوْمٍ ﴿ۙ۲۲﴾
উচ্চারণ:
ইলা- কাদারিমমা‘লূম।
আল বায়ান:
একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
একটা নির্ধারিত সময় পর্যন্ত,
Sahih International:
For a known extent.



فَقَدَرْنَا ٭ۖ فَنِعْمَ الْقٰدِرُوْنَ ﴿۲۳﴾
উচ্চারণ:
ফাকাদারনা- ফানি‘মাল কা-দিরূন।
আল বায়ান:
অতঃপর আমি পরিমাপ করেছি। আর আমিই উত্তম পরিমাপকারী।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর আমি তাকে গঠন করেছি সুসামঞ্জস্যপূর্ণরূপে, আমি কতই না উত্তম ক্ষমতার অধিকারী!
Sahih International:
And We determined [it], and excellent [are We] to determine.



وَیْلٌ یَّوْمَئِذٍ لِّلْمُکَذِّبِیْنَ ﴿۲۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়াইলুইঁ ইয়াওমাইযিল লিলমুকাযযিবীন।
আল বায়ান:
মিথ্যারোপকারীদের জন্য সেদিনের দুর্ভোগ!
তাইসিরুল কুরআন:
সে দিন দুর্ভোগ সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের জন্য।
Sahih International:
Woe, that Day, to the deniers.



اَلَمْ نَجْعَلِ الْاَرْضَ کِفَاتًا ﴿ۙ۲۵﴾
উচ্চারণ:
আলাম নাজ ‘আলিল আরদা কিফা-তা- ।
আল বায়ান:
আমি কি ভূমিকে ধারণকারী বানাইনি
তাইসিরুল কুরআন:
আমি কি পৃথিবীকে (সব কিছুকে টেনে গুটিয়ে) ধারণকারীরূপে সৃষ্টি করিনি?
Sahih International:
Have We not made the earth a container



اَحْیَآءً وَّ اَمْوَاتًا ﴿ۙ۲۶﴾
উচ্চারণ:
আহইয়াআওঁ ওয়া আমওয়া-তা- ।
আল বায়ান:
জীবিত ও মৃতদেরকে?
তাইসিরুল কুরআন:
জীবিত ও মৃতদেরকে (ভাল আর মন্দকে নেককার আর পাপাচারীকে)।
Sahih International:
Of the living and the dead?



وَّ جَعَلْنَا فِیْهَا رَوَاسِیَ شٰمِخٰتٍ وَّ اَسْقَیْنٰکُمْ مَّآءً فُرَاتًا ﴿ؕ۲۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া জা‘আলনা-ফীহা-রাওয়া-ছিয়া শা-মিখা-তিওঁ ওয়া আছকাইনা-কুমমাআন ফুরাতা- ।
আল বায়ান:
আর এখানে স্থাপন করেছি সুদৃঢ় ও সুউচ্চ পর্বত এবং তোমাদেরকে পান করিয়েছি সুপেয় পানি।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমি তাতে স্থাপন করেছি অনড় সুউচ্চ পবর্তমালা আর তোমাদেরকে পান করিয়েছি সুমিষ্ট সুপেয় পানি।
Sahih International:
And We placed therein lofty, firmly set mountains and have given you to drink sweet water.



وَیْلٌ یَّوْمَئِذٍ لِّلْمُکَذِّبِیْنَ ﴿۲۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়াইলুইঁ ইয়াওমাইযিল লিলমুকাযযিবীন ।
আল বায়ান:
মিথ্যারোপকারীদের জন্য সেদিনের দুর্ভোগ!
তাইসিরুল কুরআন:
সেদিন দুর্ভোগ সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের জন্য।
Sahih International:
Woe, that Day, to the deniers.



اِنْطَلِقُوْۤا اِلٰی مَا کُنْتُمْ بِهٖ تُکَذِّبُوْنَ ﴿ۚ۲۹﴾
উচ্চারণ:
ইনতালিকূইলা- মা- কুনতুম বিহী তুকাযযিবূন।
আল বায়ান:
(তাদেরকে বলা হবে), তোমরা যা অস্বীকার করতে সেদিকে গমন কর।
তাইসিরুল কুরআন:
(তাদেরকে বলা হবে) ‘চলো তার দিকে তোমরা যাকে মিথ্যে ব’লে প্রত্যাখ্যান করতে।
Sahih International:
[They will be told], "Proceed to that which you used to deny.



اِنْطَلِقُوْۤا اِلٰی ظِلٍّ ذِیْ ثَلٰثِ شُعَبٍ ﴿ۙ۳۰﴾
উচ্চারণ:
ইনতালিকূইলা-জিলিলন যী ছালা-ছিশু‘আব।
আল বায়ান:
যাও তিন শাখা বিশিষ্ট আগুনের ছায়ায়,
তাইসিরুল কুরআন:
‘চলো সেই (ধোঁয়ার) ছায়ার দিকে যার আছে তিনটি শাখা (অর্থাৎ ডানে, বামে, উপরে সব দিক থেকেই ঘিরে ধরবে),
Sahih International:
Proceed to a shadow [of smoke] having three columns



لَّا ظَلِیْلٍ وَّ لَا یُغْنِیْ مِنَ اللَّهَبِ ﴿ؕ۳۱﴾
উচ্চারণ:
লা- জালীলিওঁ ওয়ালা- ইউগনী মিনাল্লাহাব।
আল বায়ান:
যা ছায়াদানকারী নয় এবং তা জাহান্নামের জ্বলন্ত অগ্নিশিখার মোকাবেলায় কোন কাজেও আসবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
যা শীতল নয়, আর তা লেলিহান অগ্নিশিখা থেকে বাঁচাতেও পারবে না।
Sahih International:
[But having] no cool shade and availing not against the flame."



اِنَّهَا تَرْمِیْ بِشَرَرٍ کَالْقَصْرِ ﴿ۚ۳۲﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাহা- তারমী বিশারারিন কাল কাসরি।
আল বায়ান:
নিশ্চয় তা (জাহান্নাম) ছড়াবে প্রাসাদসম স্ফুলিঙ্গ।
তাইসিরুল কুরআন:
সে আগুন প্রাসাদের ন্যায় (বিশাল) স্ফুলিঙ্গ উৎক্ষেপ করবে,
Sahih International:
Indeed, it throws sparks [as huge] as a fortress,



کَاَنَّهٗ جِمٰلَتٌ صُفْرٌ ﴿ؕ۳۳﴾
উচ্চারণ:
কাআন্নাহূজিমা-লাতুন সুফর।
আল বায়ান:
তা যেন হলুদ উষ্ট্রী।
তাইসিরুল কুরআন:
যেন হলুদ রঙ্গের উটের সারি,
Sahih International:
As if they were yellowish [black] camels.



وَیْلٌ یَّوْمَئِذٍ لِّلْمُکَذِّبِیْنَ ﴿۳۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়াইলুইঁ ইয়াওমাইযিল লিলমুকাযযিবীন ।
আল বায়ান:
মিথ্যারোপকারীদের জন্য সেদিনের দুর্ভোগ!
তাইসিরুল কুরআন:
সেদিন দুর্ভোগ সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের জন্য।
Sahih International:
Woe, that Day, to the deniers.



هٰذَا یَوْمُ لَا یَنْطِقُوْنَ ﴿ۙ۳۵﴾
উচ্চারণ:
হা-যা- ইয়াওমুলা- ইয়ানতিকূন।
আল বায়ান:
এটা এমন দিন যেদিন তারা কথা বলবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
এদিন এমন যে, কেউ কথা বলতে পারবে না,
Sahih International:
This is a Day they will not speak,



وَ لَا یُؤْذَنُ لَهُمْ فَیَعْتَذِرُوْنَ ﴿۳۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা- ইউ’যানুলাহুম ফাইয়া‘তাযিরূন।
আল বায়ান:
আর তাদেরকে অজুহাত পেশ করার অনুমতিও দেয়া হবে না ।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদেরকে কোন ওজর পেশ করারও সুযোগ দেয়া হবে না।
Sahih International:
Nor will it be permitted for them to make an excuse.



وَیْلٌ یَّوْمَئِذٍ لِّلْمُکَذِّبِیْنَ ﴿۳۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়াইলুইঁ ইয়াওমাইযিল লিলমুকাযযিবীন ।
আল বায়ান:
মিথ্যারোপকারীদের জন্য সেদিনের ধ্বংস!
তাইসিরুল কুরআন:
সেদিন দুর্ভোগ সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের জন্য।
Sahih International:
Woe, that Day, to the deniers.



هٰذَا یَوْمُ الْفَصْلِ ۚ جَمَعْنٰکُمْ وَ الْاَوَّلِیْنَ ﴿۳۸﴾
উচ্চারণ:
হা-যা- ইয়াওমুল ফাসলি জামা‘না-কুম ওয়াল আওওয়ালীন।
আল বায়ান:
এটি ফয়সালার দিন; তোমাদেরকে ও পূর্ববর্তীদেরকে আমি একত্র করেছি।
তাইসিরুল কুরআন:
এটা চূড়ান্ত ফয়সালার দিন, আমি একত্রিত করেছি তোমাদেরকে আর আগের লোকেদেরকে।
Sahih International:
This is the Day of Judgement; We will have assembled you and the former peoples.



فَاِنْ کَانَ لَکُمْ کَیْدٌ فَکِیْدُوْنِ ﴿۳۹﴾
উচ্চারণ:
ফাইন কা-না লাকুম কাইদুন ফাকীদূন।
আল বায়ান:
তোমাদের কোন কৌশল থাকলে আমার বিরুদ্ধে প্রয়োগ কর।
তাইসিরুল কুরআন:
এক্ষণে তোমাদের কাছে যদি কোন কৌশল থাকে তাহলে তা আমার বিরুদ্ধে প্রয়োগ কর।
Sahih International:
So if you have a plan, then plan against Me.



وَیْلٌ یَّوْمَئِذٍ لِّلْمُکَذِّبِیْنَ ﴿۴۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়াইলুইঁ ইয়াওমাইযিল লিলমুকাযযিবীন ।
আল বায়ান:
মিথ্যারোপকারীদের জন্য সেদিনের দুর্ভোগ!
তাইসিরুল কুরআন:
সেদিন দুর্ভোগ সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের জন্য।
Sahih International:
Woe, that Day, to the deniers.



اِنَّ الْمُتَّقِیْنَ فِیْ ظِلٰلٍ وَّ عُیُوْنٍ ﴿ۙ۴۱﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল মুত্তাকীনা ফী জিলালিওঁ ওয়া‘উয়ূন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় মুত্তাকীরা থাকবে ছায়া ও ঝর্ণাবহুল স্থানে,
তাইসিরুল কুরআন:
মুত্তাকীরা থাকবে ছায়া আর ঝর্ণাধারার মাঝে,
Sahih International:
Indeed, the righteous will be among shades and springs



وَّ فَوَاکِهَ مِمَّا یَشْتَهُوْنَ ﴿ؕ۴۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ফাওয়া-কিহা মিম্মা- ইয়াশতাহূন।
আল বায়ান:
আর নিজদের বাসনানুযায়ী ফলমূল-এর মধ্যে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তাদের জন্য থাকবে ফলমূল- যেটি তাদের মন চাইবে।
Sahih International:
And fruits from whatever they desire,



کُلُوْا وَ اشْرَبُوْا هَنِیْٓــًٔۢا بِمَا کُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ ﴿۴۳﴾
উচ্চারণ:
কুলূওয়াশরাবূহানীআম বিমা- কুনতুম তা‘মালূন।
আল বায়ান:
(তাদেরকে বলা হবে) ‘তোমরা যে আমল করতে তার প্রতিদানস্বরূপ তৃপ্তির সাথে পানাহার কর;
তাইসিরুল কুরআন:
(তাদেরকে বলা হবে) ‘তোমরা তৃপ্তির সঙ্গে খাও আর পান কর, তোমরা যে ‘আমাল করেছিলে তার পুরস্কারস্বরূপ।
Sahih International:
[Being told], "Eat and drink in satisfaction for what you used to do."



اِنَّا کَذٰلِکَ نَجْزِی الْمُحْسِنِیْنَ ﴿۴۴﴾
উচ্চারণ:
ইন্না- কাযা-লিকা নাজযিল মুহছিনীন।
আল বায়ান:
সৎকর্মশীলদের আমরা এমন-ই প্রতিদান দিয়ে থাকি।
তাইসিরুল কুরআন:
সৎকর্মশীলদেরকে আমি এভাবেই প্রতিফল দিয়ে থাকি।
Sahih International:
Indeed, We thus reward the doers of good.



وَیْلٌ یَّوْمَئِذٍ لِّلْمُکَذِّبِیْنَ ﴿۴۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়াইলুইঁ ইয়াওমাইযিল লিলমুকাযযিবীন ।
আল বায়ান:
মিথ্যারোপকারীদের জন্য সেদিনের দুর্ভোগ!
তাইসিরুল কুরআন:
সেদিন দুর্ভোগ সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের জন্য।
Sahih International:
Woe, that Day, to the deniers.



کُلُوْا وَ تَمَتَّعُوْا قَلِیْلًا اِنَّکُمْ مُّجْرِمُوْنَ ﴿۴۶﴾
উচ্চারণ:
কুলূওয়া তামাত্তা‘ঊ কালীলান ইন্নাকুম মুজরিমূন।
আল বায়ান:
(হে কাফিররা!) তোমরা আহার কর এবং ভোগ কর ক্ষণকাল; নিশ্চয় তোমরা অপরাধী।
তাইসিরুল কুরআন:
(ওহে সত্য প্রত্যাখ্যানকারীরা!) তোমরা অল্প কিছুকাল খেয়ে নাও আর ভোগ করে নাও, তোমরা তো অপরাধী।
Sahih International:
[O disbelievers], eat and enjoy yourselves a little; indeed, you are criminals.



وَیْلٌ یَّوْمَئِذٍ لِّلْمُکَذِّبِیْنَ ﴿۴۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়াইলুইঁ ইয়াওমাইযিল লিলমুকাযযিবীন ।
আল বায়ান:
মিথ্যারোপকারীদের জন্য সেদিনের ধ্বংস!
তাইসিরুল কুরআন:
সেদিন দুর্ভোগ সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের জন্য।
Sahih International:
Woe, that Day, to the deniers.



وَ اِذَا قِیْلَ لَهُمُ ارْکَعُوْا لَا یَرْکَعُوْنَ ﴿۴۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযা- কীলা লাহুমুরকা‘ঊ লা-ইয়ারকা‘ঊন।
আল বায়ান:
তাদেরকে যখন বলা হয় ‘রুকূ‘ কর,’ তখন তারা রুকূ‘ করত না।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদেরকে যখন বলা হয় (আল্লাহর সম্মুখে) নত হও, (তাঁর আদেশসমূহ পালনের মাধ্যমে) তখন তারা নত হয় না।
Sahih International:
And when it is said to them, "Bow [in prayer]," they do not bow.



وَیْلٌ یَّوْمَئِذٍ لِّلْمُکَذِّبِیْنَ ﴿۴۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়াইলুইঁ ইয়াওমাইযিল লিলমুকাযযিবীন ।
আল বায়ান:
মিথ্যারোপকারীদের জন্য সেদিনের দুর্ভোগ!
তাইসিরুল কুরআন:
সেদিন দুর্ভোগ সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের জন্য।
Sahih International:
Woe, that Day, to the deniers.



فَبِاَیِّ حَدِیْثٍۭ بَعْدَهٗ یُؤْمِنُوْنَ ﴿۵۰﴾
উচ্চারণ:
ফাবিআইয়ি হাদীছিম বা‘দাহূইউ’মিনূন।
আল বায়ান:
সুতরাং কুরআনের পরিবর্তে আর কোন্ বাণীর প্রতি তারা ঈমান আনবে?
তাইসিরুল কুরআন:
তাহলে কুরআনের পর (তার চেয়ে উত্তম) আর কোন্ কিতাব আছে যার উপর তারা ঈমান আনবে?
Sahih International:
Then in what statement after the Qur'an will they believe?






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।