আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


سَاَلَ سَآئِلٌۢ بِعَذَابٍ وَّاقِعٍ ۙ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
ছাআলা ছাইলুম বি‘আযা-বিওঁ ওয়াকি‘।
আল বায়ান:
এক প্রশ্নকারী জিজ্ঞাসা করল এমন আযাব সম্পর্কে, যা আপতিত হবে-*
তাইসিরুল কুরআন:
এক ব্যক্তি চাইল সে ‘আযাব যা অবশ্যই সংঘটিত হবে।
Sahih International:
A supplicant asked for a punishment bound to happen



لِّلْکٰفِرِیْنَ لَیْسَ لَهٗ دَافِعٌ ۙ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
লিলকা-ফিরীনা লাইছা লাহূদা-ফি‘।
আল বায়ান:
কাফিরদের উপর, যার কোন প্রতিরোধকারী নেই।
তাইসিরুল কুরআন:
কাফিরদের জন্য তা প্রতিরোধ করার কেউ নেই
Sahih International:
To the disbelievers; of it there is no preventer.



مِّنَ اللّٰهِ ذِی الْمَعَارِجِ ؕ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
মিনাল্লা-হি যিল মা‘আ-রিজ।
আল বায়ান:
ঊর্ধ্বারোহণের সোপানসমূহের অধিকারী আল্লাহর পক্ষ থেকে,
তাইসিরুল কুরআন:
(যে শাস্তি আসবে) আল্লাহর নিকট হতে যিনি আসমানে উঠার সিঁড়িগুলোর মালিক,
Sahih International:
[It is] from Allah, owner of the ways of ascent.



تَعْرُجُ الْمَلٰٓئِکَۃُ وَ الرُّوْحُ اِلَیْهِ فِیْ یَوْمٍ کَانَ مِقْدَارُهٗ خَمْسِیْنَ اَلْفَ سَنَۃٍ ۚ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
তা‘রুজুলমালাইকাতুওয়াররূহুইলাইহি ফী ইয়াওমিন কা-না মিকদা-রুহূখামছীনা আলফা ছানাহ।
আল বায়ান:
ফেরেশতাগণ ও রূহ এমন এক দিনে আল্লাহর পানে ঊর্ধ্বগামী হয়, যার পরিমাণ পঞ্চাশ হাজার বছর।
তাইসিরুল কুরআন:
ফেরেশতা এবং রূহ (অর্থাৎ জিবরীল) আল্লাহর দিকে আরোহণ করে এমন এক দিনে, যার পরিমাণ পঞ্চাশ হাজার বছর।
Sahih International:
The angels and the Spirit will ascend to Him during a Day the extent of which is fifty thousand years.



فَاصْبِرْ صَبْرًا جَمِیْلًا ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
ফাসবির সাবরান জামীলা-।
আল বায়ান:
অতএব তুমি উত্তমরূপে ধৈর্যধারণ কর।
তাইসিরুল কুরআন:
সুতরাং (হে নবী!) ধৈর্য ধর- সুন্দর সৌজন্যমূলক ধৈর্য।
Sahih International:
So be patient with gracious patience.



اِنَّهُمْ یَرَوْنَهٗ بَعِیْدًا ۙ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাহুম ইয়ারাওনাহূবা‘ঈদা।
আল বায়ান:
তারা তো এটিকে সুদূরপরাহত মনে করে।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা ঐ দিনটিকে সুদূর মনে করছে,
Sahih International:
Indeed, they see it [as] distant,



وَّ نَرٰىهُ قَرِیْبًا ؕ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া নারা-হু কারীবা- ।
আল বায়ান:
আর আমি দেখছি তা আসন্ন।
তাইসিরুল কুরআন:
কিন্তু আমি তা নিকটে দেখতে পাচ্ছি।
Sahih International:
But We see it [as] near.



یَوْمَ تَکُوْنُ السَّمَآءُ کَالْمُهْلِ ۙ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
ইয়াওমা তাকূনুছ ছামা-উ কালমুহল, ।
আল বায়ান:
সেদিন আসমান হয়ে যাবে গলিত ধাতুর ন্যায়।
তাইসিরুল কুরআন:
সেদিন আকাশ হবে গলিত রূপার মত,
Sahih International:
On the Day the sky will be like murky oil,



وَ تَکُوْنُ الْجِبَالُ کَالْعِهْنِ ۙ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া তাকূনুল জিবা-লুকাল‘ইহন।
আল বায়ান:
এবং পর্বতসমূহ হয়ে যাবে রঙিন পশমের ন্যায়।
তাইসিরুল কুরআন:
আর পাহাড়গুলো হবে রঙ্গীণ পশমের মত,
Sahih International:
And the mountains will be like wool,



وَ لَا یَسْـَٔلُ حَمِیْمٌ حَمِیْمًا ﴿ۚۖ۱۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা-ইয়াছআলুহামীমুন হামীমা- ।
আল বায়ান:
আর অন্তরঙ্গ বন্ধু অন্তরঙ্গ বন্ধুকে জিজ্ঞাসা করবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
বন্ধু বন্ধুর খবর নিবে না,
Sahih International:
And no friend will ask [anything of] a friend,



یُّبَصَّرُوْنَهُمْ ؕ یَوَدُّ الْمُجْرِمُ لَوْ یَفْتَدِیْ مِنْ عَذَابِ یَوْمِئِذٍۭ بِبَنِیْهِ ﴿ۙ۱۱﴾
উচ্চারণ:
ইউবাসসারূনাহুম ইয়াওয়াদ্দুল মুজরিমুলাও ইয়াফতাদী মিন ‘আযা- বি ইয়াওমিইযিম ব্বিানীহ।
আল বায়ান:
তাদেরকে একে অপরের দৃষ্টিগোচর করা হবে। অপরাধী চাইবে যদি সে সেদিনের শাস্তি থেকে তার সন্তান-সন্ততিকে পণ হিসেবে দিয়ে মুক্তি পেতে,
তাইসিরুল কুরআন:
যদিও তাদেরকে রাখা হবে পরস্পরের দৃষ্টির সামনে, অপরাধী সেদিনের ‘আযাব থেকে বাঁচার জন্য বিনিময়ে দিতে চাইবে তার সন্তানাদিকে,
Sahih International:
They will be shown each other. The criminal will wish that he could be ransomed from the punishment of that Day by his children



وَ صَاحِبَتِهٖ وَ اَخِیْهِ ﴿ۙ۱۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া সা-হিবাতিহী ওয়া আখীহ।
আল বায়ান:
আর তার স্ত্রী ও ভাইকে,
তাইসিরুল কুরআন:
তার স্ত্রী ও ভাইকে,
Sahih International:
And his wife and his brother



وَ فَصِیْلَتِهِ الَّتِیْ تُــْٔوِیْهِ ﴿ۙ۱۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ফাসীলাতিহিল্লাতী তু’বীহ।
আল বায়ান:
আর তার জ্ঞাতি-গোষ্ঠীকে, যারা তাকে আশ্রয় দিত।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তার আত্মীয় গোষ্ঠীকে যারা তাকে আশ্রয় দিত,
Sahih International:
And his nearest kindred who shelter him



وَ مَنْ فِی الْاَرْضِ جَمِیْعًا ۙ ثُمَّ یُنْجِیْهِ ﴿ۙ۱۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মান ফিল আরদিজামী‘আন ছু ম্মা ইউনজীহ।
আল বায়ান:
আর যমীনে যারা আছে তাদের সবাইকে, যাতে এটি তাকে রক্ষা করে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর দুনিয়ার সব্বাইকে, যাতে তা তাকে রক্ষা করতে পারে।
Sahih International:
And whoever is on earth entirely [so] then it could save him.



کَلَّا ؕ اِنَّهَا لَظٰی ﴿ۙ۱۵﴾
উচ্চারণ:
কাল্লা- ইন্নাহা-লাজা- ।
আল বায়ান:
কখনো নয়! এটিতো লেলিহান আগুন।
তাইসিরুল কুরআন:
না, কক্ষনো নয়, ওটা জ্বলন্ত অগ্নিশিখা,
Sahih International:
No! Indeed, it is the Flame [of Hell],



نَزَّاعَۃً لِّلشَّوٰی ﴿ۚۖ۱۶﴾
উচ্চারণ:
নাযযা‘আতাল লিশশাওয়া-।
আল বায়ান:
যা মাথার চামড়া খসিয়ে নেবে।
তাইসিরুল কুরআন:
যা চামড়া তুলে দিবে,
Sahih International:
A remover of exteriors.



تَدْعُوْا مَنْ اَدْبَرَ وَ تَوَلّٰی ﴿ۙ۱۷﴾
উচ্চারণ:
তাদ‘উ মান আদবারা ওয়া তাওয়াল্লা- ।
আল বায়ান:
জাহান্নাম তাকে ডাকবে যে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করেছিল এবং মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল ।
তাইসিরুল কুরআন:
জাহান্নাম সেই ব্যক্তিকে ডাকবে যে পেছনে ফিরে গিয়েছিল এবং সত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল।
Sahih International:
It invites he who turned his back [on truth] and went away [from obedience]



وَ جَمَعَ فَاَوْعٰی ﴿۱۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া জামা‘আ ফাআও‘আ- ।
আল বায়ান:
আর সম্পদ জমা করেছিল, অতঃপর তা সংরক্ষণ করে রেখেছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
সে মালধন জমা করত, অতঃপর তা আগলে রাখত,
Sahih International:
And collected [wealth] and hoarded.



اِنَّ الْاِنْسَانَ خُلِقَ هَلُوْعًا ﴿ۙ۱۹﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল ইনছা-না খুলিকা হালূ‘আ- ।
আল বায়ান:
নিশ্চয় মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে অস্থির করে।
তাইসিরুল কুরআন:
মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে খুবই অস্থির-মনা করে,
Sahih International:
Indeed, mankind was created anxious:



اِذَا مَسَّهُ الشَّرُّ جَزُوْعًا ﴿ۙ۲۰﴾
উচ্চারণ:
ইযা- মাছছাহুশশাররু জাযূ‘আ- ।
আল বায়ান:
যখন তাকে বিপদ স্পর্শ করে তখন সে হয়ে পড়ে অতিমাত্রায় উৎকন্ঠিত।
তাইসিরুল কুরআন:
বিপদ তাকে স্পর্শ করলে সে হয় উৎকণ্ঠিত,
Sahih International:
When evil touches him, impatient,



وَّ اِذَا مَسَّهُ الْخَیْرُ مَنُوْعًا ﴿ۙ۲۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযা-মাছছাহুল খাইরু মানূ‘আ- ।
আল বায়ান:
আর যখন কল্যাণ তাকে স্পর্শ করে তখন সে হয়ে পড়ে অতিশয় কৃপণ।
তাইসিরুল কুরআন:
কল্যাণ তাকে স্পর্শ করলে সে হয়ে পড়ে অতি কৃপণ,
Sahih International:
And when good touches him, withholding [of it],



اِلَّا الْمُصَلِّیْنَ ﴿ۙ۲۲﴾
উচ্চারণ:
ইল্লাল মুসাল্লীন।
আল বায়ান:
সালাত আদায়কারীগণ ছাড়া,
তাইসিরুল কুরআন:
তবে নামায আদায়কারীরা এ রকম নয়,
Sahih International:
Except the observers of prayer -



الَّذِیْنَ هُمْ عَلٰی صَلَاتِهِمْ دَآئِمُوْنَ ﴿۪ۙ۲۳﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযীনা হুম ‘আলা-সালা-তিহিম দাইমূন।
আল বায়ান:
যারা তাদের সালাতের ক্ষেত্রে নিয়মিত।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা তাদের নামাযে স্থির সংকল্প
Sahih International:
Those who are constant in their prayer



وَ الَّذِیْنَ فِیْۤ اَمْوَالِهِمْ حَقٌّ مَّعْلُوْمٌ ﴿۪ۙ۲۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনা ফীআমওয়া-লিহিম হাক্কুম মা‘লূম।
আল বায়ান:
আর যাদের ধন-সম্পদে রয়েছে নির্ধারিত হক,
তাইসিরুল কুরআন:
যাদের ধন-সম্পদে একটা সুবিদিত অধিকার আছে,
Sahih International:
And those within whose wealth is a known right



لِّلسَّآئِلِ وَ الْمَحْرُوْمِ ﴿۪ۙ۲۵﴾
উচ্চারণ:
লিছছাইলি ওয়াল মাহরূম।
আল বায়ান:
যাচঞাকারী ও বঞ্চিতের,
তাইসিরুল কুরআন:
প্রার্থী এবং বঞ্চিতদের,
Sahih International:
For the petitioner and the deprived -



وَ الَّذِیْنَ یُصَدِّقُوْنَ بِیَوْمِ الدِّیْنِ ﴿۪ۙ۲۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লায়ীনা ইউসাদ্দিকূনা বিইয়াওমিদ্দীন।
আল বায়ান:
আর যারা প্রতিফল-দিবসকে সত্য বলে বিশ্বাস করে।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা বিচার দিবসকে সত্য মানে।
Sahih International:
And those who believe in the Day of Recompense



وَ الَّذِیْنَ هُمْ مِّنْ عَذَابِ رَبِّهِمْ مُّشْفِقُوْنَ ﴿ۚ۲۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনা হুম মিন ‘আযা-বি রাব্বিহিম মুশফিকূন।
আল বায়ান:
আর যারা তাদের রবের আযাব সম্পর্কে ভীত-সন্ত্রস্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা তাদের প্রতিপালকের শাস্তি সম্পর্কে ভীত কম্পিত,
Sahih International:
And those who are fearful of the punishment of their Lord -



اِنَّ عَذَابَ رَبِّهِمْ غَیْرُ مَاْمُوْنٍ ﴿۲۸﴾
উচ্চারণ:
ইন্না ‘আযা-বা রাব্বিহিম গাইরু মা’মূন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় তাদের রবের আযাব থেকে কেউ নিরাপদ নয়।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের প্রতিপালকের শাস্তি এমন যে তাত্থেকে নিজেকে নিরাপদ ভাবা যায় না,
Sahih International:
Indeed, the punishment of their Lord is not that from which one is safe -



وَ الَّذِیْنَ هُمْ لِفُرُوْجِهِمْ حٰفِظُوْنَ ﴿ۙ۲۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনাহুম লিফুরূজিহিম হা-ফিজূ ন।
আল বায়ান:
আর যারা তাদের যৌনাংগসমূহের হিফাযতকারী।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা নিজেদের লজ্জাস্থান সংরক্ষণ করে
Sahih International:
And those who guard their private parts



اِلَّا عَلٰۤی اَزْوَاجِهِمْ اَوْ مَا مَلَکَتْ اَیْمَانُهُمْ فَاِنَّهُمْ غَیْرُ مَلُوْمِیْنَ ﴿ۚ۳۰﴾
উচ্চারণ:
ইল্লা-‘আলাআযওয়া-জিহিম আও মা-মালাকাত আইমা-নুহুম ফাইন্নাহুম গাইরু মালূমীন।
আল বায়ান:
তবে তাদের স্ত্রী ও তাদের ডান হাত যাদের মালিক হয়েছে সে দাসীগণের ক্ষেত্র ছাড়া। তাহলে তারা সে ক্ষেত্রে নিন্দনীয় হবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের স্ত্রী অথবা অধিকারভুক্ত দাসী ছাড়া, কেননা তাতে তারা তিরস্কৃত হবে না,
Sahih International:
Except from their wives or those their right hands possess, for indeed, they are not to be blamed -



فَمَنِ ابْتَغٰی وَرَآءَ ذٰلِکَ فَاُولٰٓئِکَ هُمُ الْعٰدُوْنَ ﴿ۚ۳۱﴾
উচ্চারণ:
ফামানিবতাগা-ওয়ারা-আ যা-লিকা ফাউলাইকা হুমুল ‘আ-দূন।
আল বায়ান:
তবে যে কেউ এদের বাইরে অন্যকে কামনা করে, তারাই তো সীমালংঘনকারী।
তাইসিরুল কুরআন:
তবে এর বাইরে যারা অন্য কাউকে কামনা করবে, তারাই সীমালঙ্ঘনকারী।
Sahih International:
But whoever seeks beyond that, then they are the transgressors -



وَ الَّذِیْنَ هُمْ لِاَمٰنٰتِهِمْ وَ عَهْدِهِمْ رٰعُوْنَ ﴿۪ۙ۳۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনা হুম লিআমা-না-তিহিম ওয়া ‘আহদিহিম রা-‘ঊন।
আল বায়ান:
আর যারা নিজদের আমানত ও ওয়াদা রক্ষাকারী,
তাইসিরুল কুরআন:
যারা তাদের আমানাত ও ও‘য়াদা রক্ষা করে,
Sahih International:
And those who are to their trusts and promises attentive



وَ الَّذِیْنَ هُمْ بِشَهٰدٰتِهِمْ قَآئِمُوْنَ ﴿۪ۙ۳۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনা হুম বিশাহা-দা-তিহিম কাইমূন।
আল বায়ান:
আর যারা তাদের সাক্ষ্যদানে অটল,
তাইসিরুল কুরআন:
যারা তাদের সাক্ষ্যদানে (সত্যতার উপর) সুপ্রতিষ্ঠিত,
Sahih International:
And those who are in their testimonies upright



وَ الَّذِیْنَ هُمْ عَلٰی صَلَاتِهِمْ یُحَافِظُوْنَ ﴿ؕ۳۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাযীনা হুম ‘আলা-সালা-তিহিম ইউহা-ফিজূ ন।
আল বায়ান:
আর যারা নিজদের সালাতের হিফাযত করে,
তাইসিরুল কুরআন:
যারা তাদের নামাযে যত্নবান,
Sahih International:
And those who [carefully] maintain their prayer:



اُولٰٓئِکَ فِیْ جَنّٰتٍ مُّکْرَمُوْنَ ﴿ؕ۳۵﴾
উচ্চারণ:
উলাইকা ফী জান্না-তিম মুকরামূন।
আল বায়ান:
তারাই জান্নাতসমূহে সম্মানিত হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তারাই হবে জান্নাতে সম্মানিত।
Sahih International:
They will be in gardens, honored.



فَمَالِ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا قِبَلَکَ مُهْطِعِیْنَ ﴿ۙ۳۶﴾
উচ্চারণ:
ফামা-লিল্লাযীনা কাফারূ কিবালাকা মুহতি‘ঈন।
আল বায়ান:
কাফিরদের কী হল যে, তারা তোমার দিকে ছুটছে,
তাইসিরুল কুরআন:
কাফিরদের কী হল যে, তারা তোমার দিকে ছুটে আসছে (তোমার কুরআন পাঠ শুনে তোমাকে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করার জন্য),
Sahih International:
So what is [the matter] with those who disbelieve, hastening [from] before you, [O Muhammad],



عَنِ الْیَمِیْنِ وَ عَنِ الشِّمَالِ عِزِیْنَ ﴿۳۷﴾
উচ্চারণ:
‘আনিল ইয়ামীনি ওয়া‘আনিশশিমা-লি ‘ইযীন।
আল বায়ান:
ডানে ও বামে দলে দলে?
তাইসিরুল কুরআন:
ডান দিক আর বাম দিক থেকে দলে দলে,
Sahih International:
[To sit] on [your] right and [your] left in separate groups?



اَیَطْمَعُ کُلُّ امْرِیًٴ مِّنْهُمْ اَنْ یُّدْخَلَ جَنَّۃَ نَعِیْمٍ ﴿ۙ۳۸﴾
উচ্চারণ:
আইয়াতমা‘উ কুল্লুম রিইম মিনহুম আইঁ ইউদখালা জান্নাতা না‘ঈম।
আল বায়ান:
তাদের প্রত্যেক ব্যক্তি কি আশা করে যে, তাকে প্রাচুর্যময় জান্নাতে দাখিল করা হবে?
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের প্রত্যেকেই কি এই লোভ করে যে, তাকে নি‘মাত-ভরা জান্নাতে দাখিলা করা হবে?
Sahih International:
Does every person among them aspire to enter a garden of pleasure?



کَلَّا ؕ اِنَّا خَلَقْنٰهُمْ مِّمَّا یَعْلَمُوْنَ ﴿۳۹﴾
উচ্চারণ:
কাল্লা ইন্না- খালাকনা-হুম মিম্মা-ইয়া‘লামূন।
আল বায়ান:
কখনো নয়, নিশ্চয় আমি তাদেরকে সৃষ্টি করেছি তারা যা জানে তা থেকে।
তাইসিরুল কুরআন:
কক্ষনো না, আমি তাদেরকে কী থেকে সৃষ্টি করেছি তা তারা জানে (এমন নগণ্য বস্তু থেকে সৃষ্ট মানুষ কেবল মানুষ হয়ে জন্ম নেয়ার কারণেই জান্নাতে চলে যাবে এ রকম লোভ করা বড়ই অবিবেচনাপ্রসূত ব্যাপার)।
Sahih International:
No! Indeed, We have created them from that which they know.



فَلَاۤ اُقْسِمُ بِرَبِّ الْمَشٰرِقِ وَ الْمَغٰرِبِ اِنَّا لَقٰدِرُوْنَ ﴿ۙ۴۰﴾
উচ্চারণ:
ফালাউকছিমুবিরাব্বিল মাশা-রিকিওয়াল মাগা-রিবি ইন্না- লাকা-দিরূন।
আল বায়ান:
অতএব, আমি উদয়স্থল ও অস্তাচলসমূহের রবের কসম করছি যে, আমি অবশ্যই সক্ষম!
তাইসিরুল কুরআন:
আমি শপথ করছি উদয়স্থানসমূহের ও অস্তাচলসমূহের রবেবর-আমি অবশ্যই সক্ষম,
Sahih International:
So I swear by the Lord of [all] risings and settings that indeed We are able



عَلٰۤی اَنْ نُّبَدِّلَ خَیْرًا مِّنْهُمْ ۙ وَ مَا نَحْنُ بِمَسْبُوْقِیْنَ ﴿۴۱﴾
উচ্চারণ:
‘আলাআন নুবাদ্দিলা খাইরাম মিনহুম ওয়ামা-নাহনুবিমাছবূকীন।
আল বায়ান:
তাদের চাইতে উত্তমদেরকে তাদের স্থলে নিয়ে আসতে এবং আমি অক্ষম নই।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের পরিবর্তে তাদের চেয়ে উৎকৃষ্ট মানুষ বানাতে, আমাকে পরাস্ত করবে এমন কেউ নেই।
Sahih International:
To replace them with better than them; and We are not to be outdone.



فَذَرْهُمْ یَخُوْضُوْا وَ یَلْعَبُوْا حَتّٰی یُلٰقُوْا یَوْمَهُمُ الَّذِیْ یُوْعَدُوْنَ ﴿ۙ۴۲﴾
উচ্চারণ:
ফাযারহুম ইয়াখূদূওয়া ইয়াল‘আবূহাত্তা-ইউলা-কূইয়াওমাহুমুল্লাযী ইঊ‘আদূন।
আল বায়ান:
অতএব তাদেরকে ছেড়ে দাও, তারা (বেহুদা কথায়) মত্ত থাকুক আর খেল-তামাশা করুক যতক্ষণ না তারা দেখা পায় সেদিনের, যার প্রতিশ্রুতি তাদেরকে দেয়া হয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই তাদেরকে অনর্থক কথাবার্তা ও খেল তামাশায় মত্ত থাকতে দাও যতক্ষণ না তারা তাদের সেদিনের সাক্ষাৎ লাভ করে যে দিনের ও‘য়াদা তাদেরকে দেয়া হয়েছিল।
Sahih International:
So leave them to converse vainly and amuse themselves until they meet their Day which they are promised -



یَوْمَ یَخْرُجُوْنَ مِنَ الْاَجْدَاثِ سِرَاعًا کَاَنَّهُمْ اِلٰی نُصُبٍ یُّوْفِضُوْنَ ﴿ۙ۴۳﴾
উচ্চারণ:
ইয়াওমা ইয়াখরুজূনা মিনাল আজদা-ছিছিরা-‘আন কাআন্নাহুম ইলা-নুসুবিইঁ ইঊফিদূন।
আল বায়ান:
যেদিন দ্রুতবেগে তারা কবর থেকে বের হয়ে আসবে, যেন তারা কোন লক্ষ্যের দিকে ছুটছে,
তাইসিরুল কুরআন:
যেদিন তারা কবর থেকে বের হবে দ্রুততার সাথে- যেন তারা কোন লক্ষ্যস্থলের দিকে ছুটে চলেছে।
Sahih International:
The Day they will emerge from the graves rapidly as if they were, toward an erected idol, hastening.



خَاشِعَۃً اَبْصَارُهُمْ تَرْهَقُهُمْ ذِلَّۃٌ ؕ ذٰلِکَ الْیَوْمُ الَّذِیْ کَانُوْا یُوْعَدُوْنَ ﴿۴۴﴾
উচ্চারণ:
খা-শি‘আতান আবসা-রুহুম তারহাকুহুম যিল্লাতুন যা-লিকাল ইয়াওমুল্লাযী কা-নূ ইঊ‘আদূ ন।
আল বায়ান:
অবনত চোখে। লাঞ্ছনা তাদেরকে আচ্ছন্ন করবে! এটিই সেদিন যার ওয়াদা তাদেরকে দেয়া হয়েছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের দৃষ্টি হবে অবনমিত, লাঞ্ছনা তাদেরকে আচ্ছন্ন করবে। এটাই হল সেই দিন যার ও‘য়াদা তাদেরকে দেয়া হচ্ছিল।
Sahih International:
Their eyes humbled, humiliation will cover them. That is the Day which they had been promised.






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।