আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


حٰمٓ ﴿ۚۛ۱﴾
উচ্চারণ:
হা-মীম।
আল বায়ান:
হা-মীম।
তাইসিরুল কুরআন:
হা-মীম।
Sahih International:
Ha, Meem.



وَ الْکِتٰبِ الْمُبِیْنِ ۙ﴿ۛ۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল কিতা-বিল মুবীন।
আল বায়ান:
সুস্পষ্ট কিতাবের কসম!
তাইসিরুল কুরআন:
সুস্পষ্ট কিতাবের কসম!
Sahih International:
By the clear Book,



اِنَّاۤ اَنْزَلْنٰهُ فِیْ لَیْلَۃٍ مُّبٰرَکَۃٍ اِنَّا کُنَّا مُنْذِرِیْنَ ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাআনযালনা-হূফী লাইলাতিম মুবা-রাকাতিন ইন্না-কুন্না-মুনযিরীন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আমি এটি নাযিল করেছি বরকতময় রাতে; নিশ্চয় আমি সতর্ককারী।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি একে অবতীর্ণ করেছি এক বরকতময় রাতে, (কেননা) আমি (মানুষকে) সতর্ককারী।
Sahih International:
Indeed, We sent it down during a blessed night. Indeed, We were to warn [mankind].



فِیْهَا یُفْرَقُ کُلُّ اَمْرٍ حَکِیْمٍ ۙ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
ফীহা-ইউফরাকুকুল্লুআমরিন হাকীম।
আল বায়ান:
সে রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়,
তাইসিরুল কুরআন:
এ রাতে প্রতিটি প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থির করা হয়
Sahih International:
On that night is made distinct every precise matter -



اَمْرًا مِّنْ عِنْدِنَا ؕ اِنَّا کُنَّا مُرْسِلِیْنَ ۚ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
আমরাম মিন ‘ইনদিনা- ইন্না-কুন্না-মুরছিলীন।
আল বায়ান:
আমার নির্দেশে। নিশ্চয় আমি রাসূল প্রেরণকারী।
তাইসিরুল কুরআন:
আমার আদেশক্রমে, আমিই প্রেরণকারী,
Sahih International:
[Every] matter [proceeding] from Us. Indeed, We were to send [a messenger]



رَحْمَۃً مِّنْ رَّبِّکَ ؕ اِنَّهٗ هُوَ السَّمِیْعُ الْعَلِیْمُ ۙ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
রাহমাতাম মির রাব্বিকা ইন্নাহূহুওয়াছ ছামী‘উল ‘আলীম।
আল বায়ান:
তোমার রবের কাছ থেকে রহমত হিসেবে; নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ স্বরূপ তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
Sahih International:
As mercy from your Lord. Indeed, He is the Hearing, the Knowing.



رَبِّ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ وَ مَا بَیْنَهُمَا ۘ اِنْ کُنْتُمْ مُّوْقِنِیْنَ ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
রাব্বিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিওয়া মা-বাইনাহুমা- । ইন কনতুম মূকিনীন।
আল বায়ান:
যিনি আসমানসমূহ, যমীন ও এ দু‘য়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর রব; যদি তোমরা দৃঢ় বিশ্বাস পোষণকারী হও।
তাইসিরুল কুরআন:
আকাশ ও পৃথিবী এবং এ দু’য়ের মাঝে যা কিছু আছে সব কিছুর যিনি প্রতিপালক, (তাঁর মর্যাদা যে কত মহান এ কথা উপলব্ধি করে নাও) যদি তোমরা সত্যিকারই বিশ্বাসী হয়ে থাক।
Sahih International:
Lord of the heavens and the earth and that between them, if you would be certain.



لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ یُحْیٖ وَ یُمِیْتُ ؕ رَبُّکُمْ وَ رَبُّ اٰبَآئِکُمُ الْاَوَّلِیْنَ ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া ইউহয়ী ওয়া ইউমীতু রাব্বুকুম ওয়া রাব্বুআ-বাইকুমুল আওওয়ালীন।
আল বায়ান:
তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই; তিনিই জীবন দান করেন এবং তিনিই মৃত্যু দেন। তিনি তোমাদের রব এবং তোমাদের পিতৃপুরুষদের রব।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই, তিনিই জীবিত করেন ও মৃত্যু ঘটান। তিনিই তোমাদের প্রতিপালক এবং তোমাদের পূর্ববর্তী তোমাদের পিতৃপুরুষদেরও প্রতিপালক।
Sahih International:
There is no deity except Him; He gives life and causes death. [He is] your Lord and the Lord of your first forefathers.



بَلْ هُمْ فِیْ شَکٍّ یَّلْعَبُوْنَ ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
বালহুম ফী শাক্কিইঁ ইয়াল‘আবূন।
আল বায়ান:
তারা বরং সন্দেহের বশবর্তী হয়ে খেলতামাশা করছে।
তাইসিরুল কুরআন:
কিন্তু তারা সংশয়ের মাঝে খেলায় মত্ত।
Sahih International:
But they are in doubt, amusing themselves.



فَارْتَقِبْ یَوْمَ تَاْتِی السَّمَآءُ بِدُخَانٍ مُّبِیْنٍ ﴿ۙ۱۰﴾
উচ্চারণ:
ফারতাকিব ইয়াওমা তা’তিছ ছামাউ বিদুখা-নিম মুবীন।
আল বায়ান:
অতএব অপেক্ষা কর সেদিনের যেদিন স্পষ্ট ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হবে আকাশ।
তাইসিরুল কুরআন:
অতএব তুমি অপেক্ষা কর সে দিনের যেদিন আকাশ ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হবে যা সুস্পষ্ট (ভাবে দেখা যাবে)।
Sahih International:
Then watch for the Day when the sky will bring a visible smoke.



یَّغْشَی النَّاسَ ؕ هٰذَا عَذَابٌ اَلِیْمٌ ﴿۱۱﴾
উচ্চারণ:
ইয়াগশান্না-ছা হা-যা-‘আযা-বুন আলীম।
আল বায়ান:
যা মানুষদেরকে আচ্ছন্ন করে ফেলবে: এটি যন্ত্রণাদায়ক আযাব।
তাইসিরুল কুরআন:
(যা) মানুষকে ঢেকে নেবে, তা হবে ভয়াবহ শাস্তি।
Sahih International:
Covering the people; this is a painful torment.



رَبَّنَا اکْشِفْ عَنَّا الْعَذَابَ اِنَّا مُؤْمِنُوْنَ ﴿۱۲﴾
উচ্চারণ:
রাব্বানাকশিফ ‘আন্নাল ‘আযা-বা ইন্না-মু’মিনূন।
আল বায়ান:
(তখন তারা বলবে) ‘হে আমাদের রব, আমাদের থেকে আযাব দূর করুন; নিশ্চয় আমরা মুমিন হব।’
তাইসিরুল কুরআন:
(তখন তারা আরয করবে)- হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের থেকে শাস্তি সরিয়ে দিন, আমরা ঈমান আনলাম।
Sahih International:
[They will say], "Our Lord, remove from us the torment; indeed, we are believers."



اَنّٰی لَهُمُ الذِّکْرٰی وَ قَدْ جَآءَهُمْ رَسُوْلٌ مُّبِیْنٌ ﴿ۙ۱۳﴾
উচ্চারণ:
আন্না-লাহুমুযযিকরা-ওয়াকাদ জাআহুম রাছূলুম মুবীন।
আল বায়ান:
এখন কীভাবে তারা উপদেশ গ্রহণ করবে, অথচ ইতঃপূর্বে তাদের কাছে সুস্পষ্টভাবে বর্ণনাকারী রাসূল এসেছিল?
তাইসিরুল কুরআন:
তারা কীভাবে উপদেশ গ্রহণ করবে? তাদের কাছে তো এসেছে সুস্পষ্ট বর্ণনাকারী এক রসূল।
Sahih International:
How will there be for them a reminder [at that time]? And there had come to them a clear Messenger.



ثُمَّ تَوَلَّوْا عَنْهُ وَ قَالُوْا مُعَلَّمٌ مَّجْنُوْنٌ ﴿ۘ۱۴﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা তাওয়াল্লাও ‘আনহু ওয়া কা-লূমু‘আল্লামুম মাজনূন।
আল বায়ান:
তারপর তারা তাঁর দিক থেকে বিমুখ হয়েছিল এবং বলেছিল ‘এ শিক্ষাপ্রাপ্ত পাগল’।
তাইসিরুল কুরআন:
এখন তারা তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে আর তারা বলছে (সে হল এক) পাগল- যাকে শিখিয়ে দেয়া হয়েছে।
Sahih International:
Then they turned away from him and said, "[He was] taught [and is] a madman."



اِنَّا کَاشِفُوا الْعَذَابِ قَلِیْلًا اِنَّکُمْ عَآئِدُوْنَ ﴿ۘ۱۵﴾
উচ্চারণ:
ইন্না-কা-শিফুল ‘আযা-বি কালীলান ইন্নাকুম ‘আইদূন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আমি ক্ষণকালের জন্য আযাব দূর করব; নিশ্চয় তোমরা পূর্বাবস্থায় ফিরে যাবে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি কিছুকালের জন্য ‘আযাব সরিয়ে নেব, তখন তোমরা আগে যা করছিলে তাই আবার করবে।
Sahih International:
Indeed, We will remove the torment for a little. Indeed, you [disbelievers] will return [to disbelief].



یَوْمَ نَبْطِشُ الْبَطْشَۃَ الْکُبْرٰی ۚ اِنَّا مُنْتَقِمُوْنَ ﴿۱۶﴾
উচ্চারণ:
ইয়াওমা নাবতিশুল বাতশাতাল কুবরা- ইন্না-মুনতাকিমূন।
আল বায়ান:
সেদিন আমি প্রবলভাবে পাকড়াও করব; নিশ্চয় আমি হব প্রতিশোধ গ্রহণকারী।
তাইসিরুল কুরআন:
যেদিন আমি তোমাদেরকে ভীষণভাবে পাকড়াও করব, সেদিন আমি আবশ্যই প্রতিশোধ নেব।
Sahih International:
The Day We will strike with the greatest assault, indeed, We will take retribution.



وَ لَقَدْ فَتَنَّا قَبْلَهُمْ قَوْمَ فِرْعَوْنَ وَ جَآءَهُمْ رَسُوْلٌ کَرِیْمٌ ﴿ۙ۱۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ ফাতান্না-কাবলাহুম কাওমা ফির‘আওনা ওয়া জাআহুম রাছূলুন কারীম।
আল বায়ান:
আর অবশ্যই এদের পূর্বে আমি ফির‘আউনের কওমকে পরীক্ষা করেছিলাম এবং তাদের কাছে এসেছিল এক সম্মানিত রাসূল,
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের পূর্বে আমি ফেরাউন জাতিকে পরীক্ষা করেছিলাম। তাদের কাছে এসেছিল এক সম্মানিত রসূল।
Sahih International:
And We had already tried before them the people of Pharaoh, and there came to them a noble messenger,



اَنْ اَدُّوْۤا اِلَیَّ عِبَادَ اللّٰهِ ؕ اِنِّیْ لَکُمْ رَسُوْلٌ اَمِیْنٌ ﴿ۙ۱۸﴾
উচ্চারণ:
আন আদ্দূইলাইইয়া ‘ইবা-দাল্লা-হি ইন্নী লাকুম রাছূলুন আমীন।
আল বায়ান:
(সে বলেছিল) ‘আল্লাহর বান্দাদেরকে আমার কাছে ফিরিয়ে দাও; নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসূল।’
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলেছিল- আল্লাহর বান্দাদেরকে আমার কাছে অর্পণ কর। আমি তোমাদের জন্য প্রেরিত বিশ্বস্ত রসূল।
Sahih International:
[Saying], "Render to me the servants of Allah. Indeed, I am to you a trustworthy messenger,"



وَّ اَنْ لَّا تَعْلُوْا عَلَی اللّٰهِ ۚ اِنِّیْۤ اٰتِیْکُمْ بِسُلْطٰنٍ مُّبِیْنٍ ﴿ۚ۱۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আল্লা-তা‘লূ‘আল্লাল্লা-হি ইন্নীআ-তীকুম বিছুলতা-নিম মুবীন।
আল বায়ান:
‘আর আল্লাহর বিরুদ্ধে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করো না। নিশ্চয় আমি তোমাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে আসব।’
তাইসিরুল কুরআন:
আর আল্লাহর বিরুদ্ধে ঔদ্ধত্য দেখাইও না, আমি তোমাদের কাছে (আমার রসূল হওয়ার) সুস্পষ্ট প্রমাণ পেশ করছি।
Sahih International:
And [saying], "Be not haughty with Allah. Indeed, I have come to you with clear authority.



وَ اِنِّیْ عُذْتُ بِرَبِّیْ وَ رَبِّکُمْ اَنْ تَرْجُمُوْنِ ﴿۫۲۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্নী ‘উযতুবিরাববী ওয়া রাব্বিকুম আন তার জুমূন।
আল বায়ান:
আর তোমাদের প্রস্তরাঘাত থেকে আমি আমার রব ও তোমাদের রবের কাছে আশ্রয় চাচ্ছি।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি আমার ও তোমাদের প্রতিপালকের নিকট আশ্রয় গ্রহণ করছি যাতে তোমরা আমাকে পাথরের আঘাতে হত্যা না কর।
Sahih International:
And indeed, I have sought refuge in my Lord and your Lord, lest you stone me.



وَ اِنْ لَّمْ تُؤْمِنُوْا لِیْ فَاعْتَزِلُوْنِ ﴿۲۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইল্লাম তু’মিনূলী ফা‘তাযিলূন।
আল বায়ান:
‘আর তোমরা যদি আমার উপর বিশ্বাস না রাখ, তবে আমাকে ছেড়ে যাও।’
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা যদি আমার প্রতি বিশ্বাস না আনো, কমপক্ষে আমার কাছ থেকে দূরে থাক।
Sahih International:
But if you do not believe me, then leave me alone."



فَدَعَا رَبَّهٗۤ اَنَّ هٰۤؤُلَآءِ قَوْمٌ مُّجْرِمُوْنَ ﴿ؓ۲۲﴾
উচ্চারণ:
ফাদা‘আ-রাব্বাহূআন্না হাউলাই কাওমুম মুজরিমূন।
আল বায়ান:
অতঃপর সে তার রবকে ডেকে বলল, ‘নিশ্চয় এরা এক অপরাধী সম্প্রদায়।’
তাইসিরুল কুরআন:
(কিন্তু তারা ছিল আক্রমণমুখী) তখন সে তার পালনকর্তার নিকট দু‘আ করল- এরা অপরাধী জাতি।
Sahih International:
And [finally] he called to his Lord that these were a criminal people.



فَاَسْرِ بِعِبَادِیْ لَیْلًا اِنَّکُمْ مُّتَّبَعُوْنَ ﴿ۙ۲۳﴾
উচ্চারণ:
ফাআছরি বি‘ইবা-দী লাইলান ইন্নাকুম মুত্তাবা‘ঊন।
আল বায়ান:
(আল্লাহ বললেন) ‘তাহলে আমার বান্দাদের নিয়ে রাতে বেরিয়ে পড়; নিশ্চয় তোমাদের পশ্চাদ্ধাবন করা হবে’।
তাইসিরুল কুরআন:
(তখন আমি বললাম) তুমি আমার বান্দাহদেরকে নিয়ে রাতের বেলায় বের হয়ে পড়, তোমাদের পিছু ধাওয়া করা হবে।
Sahih International:
[Allah said], "Then set out with My servants by night. Indeed, you are to be pursued.



وَ اتْرُکِ الْبَحْرَ رَهْوًا ؕ اِنَّهُمْ جُنْدٌ مُّغْرَقُوْنَ ﴿۲۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়াতরুকিল বাহরা রাহওয়া- ইন্নাহুম জনদুম মুগরাকূন।
আল বায়ান:
আর সমুদ্রকে রেখে দাও শান্ত, নিশ্চয় তারা হবে এক ডুবন্ত বাহিনী’।
তাইসিরুল কুরআন:
(মূসা বানী ইসরাঈলকে নিয়ে সমুদ্র পার হয়ে গিয়ে সমুদ্রকে আবার প্রবহমান করার জন্য স্বীয় লাঠি নিক্ষেপ করলে আল্লাহ বললেন) সমুদ্রকে স্থির থাকতে দাও, তারা (অর্থাৎ ফেরাউনী দল) এমন এক বাহিনী যারা নিমজ্জিত হবে।
Sahih International:
And leave the sea in stillness. Indeed, they are an army to be drowned."



کَمْ تَرَکُوْا مِنْ جَنّٰتٍ وَّ عُیُوْنٍ ﴿ۙ۲۵﴾
উচ্চারণ:
কাম তারাকূমিন জান্না-তিওঁ ওয়া ‘উইয়ূন।
আল বায়ান:
তারা অনেক বাগান ও ঝর্না রেখেছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা ছেড়ে গিয়েছিল কত উদ্যান আর ঝর্ণা,
Sahih International:
How much they left behind of gardens and springs



وَّ زُرُوْعٍ وَّ مَقَامٍ کَرِیْمٍ ﴿ۙ۲۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া যুরূ‘ইওঁ ওয়া মাকা-মিন কারীম।
আল বায়ান:
শ্যামল শস্যক্ষেত ও সুরম্য বাসস্থান,
তাইসিরুল কুরআন:
শস্য ক্ষেত, আর অভিজাত স্থান,
Sahih International:
And crops and noble sites



وَّ نَعْمَۃٍ کَانُوْا فِیْهَا فٰکِهِیْنَ ﴿ۙ۲۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া না‘মাতিন কা-নূফীহা-ফা-কিহীন।
আল বায়ান:
আর নানা বিলাস-সামগ্রী, যাতে তারা আনন্দ উপভোগ করত।
তাইসিরুল কুরআন:
আর বিলাস সামগ্রী- যা নিয়ে তারা আনন্দ করত।
Sahih International:
And comfort wherein they were amused.



کَذٰلِکَ ۟ وَ اَوْرَثْنٰهَا قَوْمًا اٰخَرِیْنَ ﴿۲۸﴾
উচ্চারণ:
কাযা-লিকা ওয়া আওরাছনা-হা-কাওমান আ-খারীন।
আল বায়ান:
এমনটিই হয়েছিল এবং আমি এগুলোর উত্তরাধিকারী করেছিলাম অন্য কওমকে।
তাইসিরুল কুরআন:
এমনটাই হয়েছিল, অতঃপর আমি অন্য জাতির লোকদেরকে সে সবের উত্তরাধিকারী করে দিয়েছিলাম।
Sahih International:
Thus. And We caused to inherit it another people.



فَمَا بَکَتْ عَلَیْهِمُ السَّمَآءُ وَ الْاَرْضُ وَ مَا کَانُوْا مُنْظَرِیْنَ ﴿۲۹﴾
উচ্চারণ:
ফামা-বাকাত ‘আলাইহিমুছ ছামাউ ওয়াল আরদুওয়ামা-কা-নূমুনজারীন।
আল বায়ান:
অতঃপর আসমান ও যমীন তাদের জন্য কাঁদেনি এবং তারা অবকাশপ্রাপ্ত ছিল না।
তাইসিরুল কুরআন:
আসমান আর যমীন তাদের জন্য কাঁদেনি, আর তাদেরকে একটু অবসরও দেয়া হয়নি।
Sahih International:
And the heaven and earth wept not for them, nor were they reprieved.



وَ لَقَدْ نَجَّیْنَا بَنِیْۤ اِسْرَآءِیْلَ مِنَ الْعَذَابِ الْمُهِیْنِ ﴿ۙ۳۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালাকাদ নাজ্জাইনা-বানীইছরাঈলা মিনাল ‘আযা-বিল মুহীন।
আল বায়ান:
আর অবশ্যই আমি বনী ইসরাঈলকে লাঞ্ছনাদায়ক আযাব থেকে উদ্ধার করেছিলাম,
তাইসিরুল কুরআন:
আমি বানী ইসরাঈলকে রক্ষা করেছিলাম অপমানজনক শাস্তি হতে
Sahih International:
And We certainly saved the Children of Israel from the humiliating torment -



مِنْ فِرْعَوْنَ ؕ اِنَّهٗ کَانَ عَالِیًا مِّنَ الْمُسْرِفِیْنَ ﴿۳۱﴾
উচ্চারণ:
মিন ফির‘আওনা ইন্নাহূকা-না ‘আ-লিয়াম্মিনাল মুছরিফীন।
আল বায়ান:
ফির‘আউন থেকে, নিশ্চয় সে ছিল সীমালঙ্ঘনকারীদের শীর্ষস্থানীয়।
তাইসিরুল কুরআন:
ফেরাউনের। সে ছিল সীমালঙ্ঘনকারীদের শীর্ষে।
Sahih International:
From Pharaoh. Indeed, he was a haughty one among the transgressors.



وَ لَقَدِ اخْتَرْنٰهُمْ عَلٰی عِلْمٍ عَلَی الْعٰلَمِیْنَ ﴿ۚ۳۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদিখতারনা-হুম ‘আলা-‘ইলমিন ‘আলাল ‘আ-লামীন।
আল বায়ান:
আর আমি জ্ঞাতসারেই তাদেরকে সকল সৃষ্টির উপর নির্বাচিত করেছিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি জেনে বুঝেই বিশ্বজগতের উপর তাদেরকে (অর্থাৎ বানী ইসরাঈলকে) বেছে নিয়েছিলাম।
Sahih International:
And We certainly chose them by knowledge over [all] the worlds.



وَ اٰتَیْنٰهُمْ مِّنَ الْاٰیٰتِ مَا فِیْهِ بَلٰٓـؤٌا مُّبِیْنٌ ﴿۳۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আ-তাইনা-হুম মিনাল আ-য়া-তি মা-ফীহি বালাউম মুবীন।
আল বায়ান:
আর আমি তাদেরকে এমন নিদর্শনাবলী দিয়েছিলাম যাতে ছিল সুস্পষ্ট পরীক্ষা।
তাইসিরুল কুরআন:
এবং তাদেরকে আমি এমন নিদর্শনাবলী দিয়েছিলাম যাতে সুস্পষ্ট পরীক্ষা নিহিত ছিল।
Sahih International:
And We gave them of signs that in which there was a clear trial.



اِنَّ هٰۤؤُلَآءِ لَیَقُوْلُوْنَ ﴿ۙ۳۴﴾
উচ্চারণ:
ইন্না হাউলাই লাইয়াকূলূন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় তারা বলেই থাকে,
তাইসিরুল কুরআন:
এই কাফিররা বলে,
Sahih International:
Indeed, these [disbelievers] are saying,



اِنْ هِیَ اِلَّا مَوْتَتُنَا الْاُوْلٰی وَ مَا نَحْنُ بِمُنْشَرِیْنَ ﴿۳۵﴾
উচ্চারণ:
ইন হিয়া ইল্লা-মাওতাতুনাল ঊলা-ওয়ামা-নাহনুবিমুনশারীন।
আল বায়ান:
‘আমাদের প্রথম মৃত্যু ছাড়া আর কিছুই নেই এবং আমরা পুনরুত্থিত হবার নই’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমাদের প্রথম মৃত্যুর পর আর কিছু নাই আর আমরা পুনরুত্থিত হব না।
Sahih International:
"There is not but our first death, and we will not be resurrected.



فَاْتُوْا بِاٰبَآئِنَاۤ اِنْ کُنْتُمْ صٰدِقِیْنَ ﴿۳۶﴾
উচ্চারণ:
ফা’তূবিআ-বাইনাইন কনতুম সা-দিকীন।
আল বায়ান:
‘যদি তোমরা সত্যবাদী হও, তবে আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে নিয়ে এসো’।
তাইসিরুল কুরআন:
(মৃত্যুর পর মানুষকে পুনরুত্থিত করা হবে- তোমাদের এ কথায়) তোমরা যদি সত্য হও, তাহলে আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে হাজির কর।
Sahih International:
Then bring [back] our forefathers, if you should be truthful."



اَهُمْ خَیْرٌ اَمْ قَوْمُ تُبَّعٍ ۙ وَّ الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ ؕ اَهْلَکْنٰهُمْ ۫ اِنَّهُمْ کَانُوْا مُجْرِمِیْنَ ﴿۳۷﴾
উচ্চারণ:
আহুম খাইরুন আম কাওমুতুব্বা‘ইওঁ ওয়াল্লাযীনা মিন কাবলিহিম আহলাকনা-হুম ইন্নাহুম কা-নূমুজরিমীন।
আল বায়ান:
তারা কি শ্রেষ্ঠ না তুব্বা সম্প্রদায় এবং তাদের পূর্বে যারা ছিল তারা? আমি তাদেরকে ধ্বংস করেছিলাম। নিশ্চয় তারা ছিল অপরাধী।
তাইসিরুল কুরআন:
এরাই শ্রেষ্ঠ, না তুব্বা সম্প্রদায় আর তাদের আগে যারা ছিল তারা? আমিতো ওদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছি। তারা ছিল অপরাধী।
Sahih International:
Are they better or the people of Tubba' and those before them? We destroyed them, [for] indeed, they were criminals.



وَ مَا خَلَقْنَا السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَ وَ مَا بَیْنَهُمَا لٰعِبِیْنَ ﴿۳۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-খালাকনাছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা ওয়ামা বাইনাহুমা-লা-‘ইবীন।
আল বায়ান:
আর আমি আসমানসমূহ, যমীন এবং এতদোভয়ের মধ্যে যা কিছু আছে তা খেলাচ্ছলে সৃষ্টি করিনি।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি আকাশ, যমীন আর এদের মাঝে যা আছে সে সব খেল-তামাশার ফলে সৃষ্টি করিনি।
Sahih International:
And We did not create the heavens and earth and that between them in play.



مَا خَلَقْنٰهُمَاۤ اِلَّا بِالْحَقِّ وَ لٰکِنَّ اَکْثَرَهُمْ لَا یَعْلَمُوْنَ ﴿۳۹﴾
উচ্চারণ:
মা-খালাকনা-হুমাইল্লা বিলহাক্কিওয়ালা-কিন্না আকছারাহুম লা-ইয়া‘লামূন।
আল বায়ান:
আমি এ দু’টোকে যথাযথভাবেই সৃষ্টি করেছি, কিন্তু তাদের অধিকাংশই তা জানে না।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি ওদু’টিকে সত্যিকার উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছি। কিন্তু তাদের অধিকাংশই (তা) জানে না।
Sahih International:
We did not create them except in truth, but most of them do not know.



اِنَّ یَوْمَ الْفَصْلِ مِیْقَاتُهُمْ اَجْمَعِیْنَ ﴿ۙ۴۰﴾
উচ্চারণ:
ইন্না ইয়াওমাল ফাসলি মীকা-তুহুম আজমা‘ঈন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় ফয়সালার দিনটি তাদের সকলের জন্যই নির্ধারিত সময়।
তাইসিরুল কুরআন:
ফয়সালার দিনটি তাদের সবারই নির্ধারিত সময় ।
Sahih International:
Indeed, the Day of Judgement is the appointed time for them all -



یَوْمَ لَا یُغْنِیْ مَوْلًی عَنْ مَّوْلًی شَیْئًا وَّ لَا هُمْ یُنْصَرُوْنَ ﴿ۙ۴۱﴾
উচ্চারণ:
ইয়াওমা লা-ইউগনী মাওলান ‘আম মাওলান শাইআওঁ ওয়ালা-হুম ইউনসারূন।
আল বায়ান:
সেদিন এক বন্ধু অপর বন্ধুর কোন কাজে আসবে না এবং তারা সাহায্যপ্রাপ্তও হবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
যেদিন বন্ধু বন্ধুর কোন উপকারে আসবে না, আর তাদেরকে সাহায্যও করা হবে না।
Sahih International:
The Day when no relation will avail a relation at all, nor will they be helped -



اِلَّا مَنْ رَّحِمَ اللّٰهُ ؕ اِنَّهٗ هُوَ الْعَزِیْزُ الرَّحِیْمُ ﴿۴۲﴾
উচ্চারণ:
ইল্লা-মার রাহিমাল্লা-হু ইন্নাহূহুওয়াল ‘আযীযুর রাহীম।
আল বায়ান:
সে ছাড়া, যার প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ করেন। নিশ্চয় তিনিই মহাপরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
তাইসিরুল কুরআন:
তবে আল্লাহ যার প্রতি রহমত করবেন তার কথা আলাদা। তিনি মহাপরাক্রান্ত, বড়ই দয়ালু।
Sahih International:
Except those [believers] on whom Allah has mercy. Indeed, He is the Exalted in Might, the Merciful.



اِنَّ شَجَرَتَ الزَّقُّوْمِ ﴿ۙ۴۳﴾
উচ্চারণ:
ইন্না শাজারাতাযযাক্কূম।
আল বায়ান:
নিশ্চয় যাক্কূম বৃক্ষ
তাইসিরুল কুরআন:
নিশ্চয়ই যাক্কুম গাছ (হবে)
Sahih International:
Indeed, the tree of zaqqum



طَعَامُ الْاَثِیْمِ ﴿ۖۛۚ۴۴﴾
উচ্চারণ:
তা‘আ-মুল আছীম।
আল বায়ান:
পাপীর খাদ্য;
তাইসিরুল কুরআন:
পাপীর খাদ্য
Sahih International:
Is food for the sinful.



کَالْمُهْلِ ۚۛ یَغْلِیْ فِی الْبُطُوْنِ ﴿ۙ۴۵﴾
উচ্চারণ:
কালমুহলি ইয়াগলী ফিলবুতূন।
আল বায়ান:
গলিত তামার মত, উদরসমূহে ফুটতে থাকবে।
তাইসিরুল কুরআন:
গলিত তামার মত পেটে ফুটতে থাকবে।
Sahih International:
Like murky oil, it boils within bellies



کَغَلْیِ الْحَمِیْمِ ﴿۴۶﴾
উচ্চারণ:
কাগালইল হামীম।
আল বায়ান:
ফুটন্ত পানির মত
তাইসিরুল কুরআন:
ফুটন্ত পানির মত,
Sahih International:
Like the boiling of scalding water.



خُذُوْهُ فَاعْتِلُوْهُ اِلٰی سَوَآءِ الْجَحِیْمِ ﴿٭ۖ۴۷﴾
উচ্চারণ:
খুযূহু ফা‘তিলূহু ইলা-ছাওয়াইল জাহীম।
আল বায়ান:
(বলা হবে) ‘ওকে ধর, অতঃপর তাকে জাহান্নামের মধ্যস্থলে টেনে নিয়ে যাও’।
তাইসিরুল কুরআন:
(বলা হবে) ওকে ধর, আর ওকে টেনে নিয়ে যাও জাহান্নামের আগুনের মাঝখানে।
Sahih International:
[It will be commanded], "Seize him and drag him into the midst of the Hellfire,



ثُمَّ صُبُّوْا فَوْقَ رَاْسِهٖ مِنْ عَذَابِ الْحَمِیْمِ ﴿ؕ۴۸﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা সুববূফাওকা রা’ছিহী মিন ‘আযা-বিল হামীম।
আল বায়ান:
তারপর তার মাথার উপর ফুটন্ত পানির আযাব ঢেলে দাও।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর তার মাথার উপর ফুটন্ত পানি ঢেলে ‘আযাব দাও।
Sahih International:
Then pour over his head from the torment of scalding water."



ذُقْ ۚۙ اِنَّکَ اَنْتَ الْعَزِیْزُ الْکَرِیْمُ ﴿۴۹﴾
উচ্চারণ:
যুক ইন্নাকা আনতাল ‘আযীযুল কারীম।
আল বায়ান:
(বলা হবে) ‘তুমি আস্বাদন কর, নিশ্চয় তুমিই সম্মানিত, অভিজাত’।
তাইসিরুল কুরআন:
(বলা হবে) গ্রহণ কর স্বাদ-তুমি তো ছিলে ক্ষমতাশালী, সম্মানী।
Sahih International:
[It will be said], "Taste! Indeed, you are the honored, the noble!



اِنَّ هٰذَا مَا کُنْتُمْ بِهٖ تَمْتَرُوْنَ ﴿۵۰﴾
উচ্চারণ:
ইন্না হা-যা-মা-কুনতুম বিহী তামতারূন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় এটা তা-ই যে বিষয়ে তোমরা সন্দেহ করতে।
তাইসিরুল কুরআন:
এ হল তাই যাতে তোমরা সন্দেহ করতে।
Sahih International:
Indeed, this is what you used to dispute."



اِنَّ الْمُتَّقِیْنَ فِیْ مَقَامٍ اَمِیْنٍ ﴿ۙ۵۱﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল মুত্তাকীনা ফী মাকা-মিন আমীন।
আল বায়ান:
নিশ্চয় মুত্তাকীরা থাকবে নিরাপদ স্থানে,
তাইসিরুল কুরআন:
নিশ্চয়ই মুত্তাকীরা থাকবে নিরাপদ স্থানে,
Sahih International:
Indeed, the righteous will be in a secure place;



فِیْ جَنّٰتٍ وَّ عُیُوْنٍ ﴿ۚۙ۵۲﴾
উচ্চারণ:
ফী জান্না-তিওঁ ওয়া ‘উইঊন।
আল বায়ান:
বাগ-বাগিচা ও ঝর্নাধারার মধ্যে,
তাইসিরুল কুরআন:
বাগান আর ঝরণার মাঝে
Sahih International:
Within gardens and springs,



یَّلْبَسُوْنَ مِنْ سُنْدُسٍ وَّ اِسْتَبْرَقٍ مُّتَقٰبِلِیْنَ ﴿ۚۙ۵۳﴾
উচ্চারণ:
ইয়ালবাছূনা মিন ছুনদুছিওঁ ওয়া ইছতাবরাকিম মুতাকা-বিলীন।
আল বায়ান:
তারা পরিধান করবে পাতলা ও পুরু রেশমী বস্ত্র এবং বসবে মুখোমুখী হয়ে।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা পরিধান করবে পাতলা ও পুরু রেশমী কাপড়, আর বসবে মুখোমুখী হয়ে।
Sahih International:
Wearing [garments of] fine silk and brocade, facing each other.



کَذٰلِکَ ۟ وَ زَوَّجْنٰهُمْ بِحُوْرٍ عِیْنٍ ﴿ؕ۵۴﴾
উচ্চারণ:
কাযা-লিকা ওয়া যাওওয়াজনা-হুম বিহূরিন ‘ঈন।
আল বায়ান:
এরূপই ঘটবে, আর আমি তাদেরকে বিয়ে দেব ডাগর নয়না হূরদের সাথে।
তাইসিরুল কুরআন:
এ রকমই হবে, আর তাদের বিয়ে দিয়ে দেব ডাগর ডাগর সুন্দর উজ্জ্বল চোখওয়ালা কুমারীদের (হুরদের) সাথে।
Sahih International:
Thus. And We will marry them to fair women with large, [beautiful] eyes.



یَدْعُوْنَ فِیْهَا بِکُلِّ فَاکِهَۃٍ اٰمِنِیْنَ ﴿ۙ۵۵﴾
উচ্চারণ:
ইয়াদ‘ঊনা ফীহা-বিকুল্লি ফা-কিহাতিন আ-মিনীন।
আল বায়ান:
সেখানে তারা প্রশান্তচিত্তে সকল প্রকারের ফলমূল আনতে বলবে।
তাইসিরুল কুরআন:
সেখানে তারা পূর্ণ শান্তি ও নিরাপত্তার সাথে নানান ফলমূল আনতে বলবে।
Sahih International:
They will call therein for every [kind of] fruit - safe and secure.



لَا یَذُوْقُوْنَ فِیْهَا الْمَوْتَ اِلَّا الْمَوْتَۃَ الْاُوْلٰی ۚ وَ وَقٰهُمْ عَذَابَ الْجَحِیْمِ ﴿ۙ۵۶﴾
উচ্চারণ:
লা-ইয়াযূকূনা ফীহাল মাওতা ইল্লাল মাওতাতাল ঊলা- ওয়া ওয়াকা-হুম ‘আযা-বাল জাহীম।
আল বায়ান:
প্রথম মৃত্যুর পর সেখানে তারা আর মৃত্যু আস্বাদন করবে না। আর তিনি তাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করবেন।
তাইসিরুল কুরআন:
সেখানে তারা মৃত্যু আস্বাদন করবে না (সেই) প্রথম মৃত্যুর পর, আর তিনি তাদেরকে আগুনের শাস্তি থেকে রক্ষা করবেন
Sahih International:
They will not taste death therein except the first death, and He will have protected them from the punishment of Hellfire



فَضْلًا مِّنْ رَّبِّکَ ؕ ذٰلِکَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِیْمُ ﴿۵۷﴾
উচ্চারণ:
ফাদলাম মির রাব্বিকা যা-লিকা হুওয়াল ফাওযুল ‘আজীম।
আল বায়ান:
তোমার রবের অনুগ্রহস্বরূপ, এটাই তো মহা সাফল্য।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ স্বরূপ, এটাই হল মহা সাফল্য।
Sahih International:
As bounty from your Lord. That is what is the great attainment.



فَاِنَّمَا یَسَّرْنٰهُ بِلِسَانِکَ لَعَلَّهُمْ یَتَذَکَّرُوْنَ ﴿۵۸﴾
উচ্চারণ:
ফাইন্নামা-ইয়াছছারনা-হু বিলিছা-নিকা লা‘আল্লাহুম ইয়াতাযাক্কারূন।
আল বায়ান:
অতঃপর আমি তো তোমার ভাষায় কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তোমার ভাষায় কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।
Sahih International:
And indeed, We have eased the Qur'an in your tongue that they might be reminded.



فَارْتَقِبْ اِنَّهُمْ مُّرْتَقِبُوْنَ ﴿۵۹﴾
উচ্চারণ:
ফারতাকিব ইন্নাহুম মুরতাকিবূন।
আল বায়ান:
অতএব তুমি অপেক্ষা কর, তারাও অপেক্ষাকারী।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই তুমি অপেক্ষা কর (তাদের পরিণতি দেখার জন্য) তারাও অপেক্ষা করছে (তোমাদের পরিণতি দেখার জন্য)।
Sahih International:
So watch, [O Muhammad]; indeed, they are watching [for your end].






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।