আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


وَ الَّیْلِ اِذَا یَغْشٰی ۙ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাইলি ইযা-ইয়াগশা-।
আল বায়ান:
কসম রাতের, যখন তা ঢেকে দেয়।
তাইসিরুল কুরআন:
শপথ রাতের যখন তা (আলোকে) ঢেকে দেয়,
Sahih International:
By the night when it covers



وَ النَّهَارِ اِذَا تَجَلّٰی ۙ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়ান্নাহা-রি ইযা-তাজাল্লা-।
আল বায়ান:
কসম দিনের, যখন তা আলোকিত হয়।
তাইসিরুল কুরআন:
শপথ দিনের যখন তা উদ্ভাসিত হয়ে উঠে।
Sahih International:
And [by] the day when it appears



وَ مَا خَلَقَ الذَّکَرَ وَ الْاُنْثٰۤی ۙ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-খালাকায যাকারা ওয়াল উনছা।
আল বায়ান:
কসম তাঁর, যিনি নর ও নারী সৃষ্টি করেছেন।
তাইসিরুল কুরআন:
আর শপথ তাঁর যিনি সৃষ্টি করেছেন পুরুষ ও নারী,
Sahih International:
And [by] He who created the male and female,



اِنَّ سَعْیَکُمْ لَشَتّٰی ؕ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
ইন্না ছা‘ইয়াকুম লাশাত্তা-।
আল বায়ান:
নিশ্চয় তোমাদের কর্মপ্রচেষ্টা বিভিন্ন প্রকারের।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের চেষ্টা সাধনা অবশ্যই বিভিন্নমুখী।
Sahih International:
Indeed, your efforts are diverse.



فَاَمَّا مَنْ اَعْطٰی وَ اتَّقٰی ۙ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
ফাআম্মা-মান আ‘তা-ওয়াত্তাকা-।
আল বায়ান:
সুতরাং যে দান করেছে এবং তাকওয়া অবলম্বন করেছে,
তাইসিরুল কুরআন:
অতএব যে ব্যক্তি (আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য) দান করে ও (আল্লাহকে) ভয় করে,
Sahih International:
As for he who gives and fears Allah



وَ صَدَّقَ بِالْحُسْنٰی ۙ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া সাদ্দাকা বিলহুছনা-।
আল বায়ান:
আর উত্তমকে সত্য বলে বিশ্বাস করেছে,
তাইসিরুল কুরআন:
এবং উত্তম বিষয়কে সত্য মনে করে,
Sahih International:
And believes in the best [reward],



فَسَنُیَسِّرُهٗ لِلْیُسْرٰی ؕ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
ফাছানুইয়াছছিরুহূলিল ইউছরা-।
আল বায়ান:
আমি তার জন্য সহজ পথে চলা সুগম করে দেব।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তার জন্য সহজ পথে চলা সহজ করে দেব।
Sahih International:
We will ease him toward ease.



وَ اَمَّا مَنْۢ بَخِلَ وَ اسْتَغْنٰی ۙ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আম্মা-মাম বাখিলা ওয়াছতাগনা-।
আল বায়ান:
আর যে কার্পণ্য করেছে এবং নিজকে স্বয়ংসম্পূর্ণ মনে করেছে,
তাইসিরুল কুরআন:
আর যে ব্যক্তি কৃপণতা করে আর (আল্লাহর প্রতি) বেপরোয়া হয়,
Sahih International:
But as for he who withholds and considers himself free of need



وَ کَذَّبَ بِالْحُسْنٰی ۙ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কাযযাবা বিল হুছনা-।
আল বায়ান:
আর উত্তমকে মিথ্যা বলে মনে করেছে,
তাইসিরুল কুরআন:
আর যা উত্তম তা অমান্য করে,
Sahih International:
And denies the best [reward],



فَسَنُیَسِّرُهٗ لِلْعُسْرٰی ﴿ؕ۱۰﴾
উচ্চারণ:
ফাছানুইয়াছছিরুহূলিল‘উছরা-।
আল বায়ান:
আমি তার জন্য কঠিন পথে চলা সুগম করে দেব।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তার জন্য কঠিন পথ (অর্থাৎ অন্যায়, অসত্য, হিংসা ও হানাহানির পথ) সহজ করে দিব।
Sahih International:
We will ease him toward difficulty.



وَ مَا یُغْنِیْ عَنْهُ مَا لُهٗۤ اِذَا تَرَدّٰی ﴿ؕ۱۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-ইউগনী ‘আনহু মা-লুহূইযা-তারাদ্দা-।
আল বায়ান:
আর তার সম্পদ তার কোন কাজে আসবে না, যখন সে অধঃপতিত হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন সে ধ্বংস হবে (অর্থাৎ মরবে) তখন তার (সঞ্চিত) ধন-সম্পদ কোনই কাজে আসবে না।
Sahih International:
And what will his wealth avail him when he falls?



اِنَّ عَلَیْنَا لَلْهُدٰی ﴿۫ۖ۱۲﴾
উচ্চারণ:
ইন্না ‘আলাইনা-লালহুদা-।
আল বায়ান:
নিশ্চয় পথ প্রদর্শন করাই আমার দায়িত্ব।
তাইসিরুল কুরআন:
সঠিক পথ দেখানো অবশ্যই আমারই কাজ
Sahih International:
Indeed, [incumbent] upon Us is guidance.



وَ اِنَّ لَنَا لَلْاٰخِرَۃَ وَ الْاُوْلٰی ﴿۱۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্না লানা-লালআ-খিরাতা ওয়ালঊলা-।
আল বায়ান:
আর অবশ্যই আমার অধিকারে পরকাল ও ইহকাল।
তাইসিরুল কুরআন:
আর পরকাল ও ইহকালের একমাত্র মালিক আমি।
Sahih International:
And indeed, to Us belongs the Hereafter and the first [life].



فَاَنْذَرْتُکُمْ نَارًا تَلَظّٰی ﴿ۚ۱۴﴾
উচ্চারণ:
ফাআনযারতুকুম না-রান তালাজ্জা-।
আল বায়ান:
অতএব আমি তোমাদের সতর্ক করে দিয়েছি লেলিহান আগুন সম্পর্কে,
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই আমি তোমাদেরকে দাউ দাউ ক’রে জ্বলা আগুন সম্পর্কে সতর্ক করে দিচ্ছি।
Sahih International:
So I have warned you of a Fire which is blazing.



لَا یَصْلٰىهَاۤ اِلَّا الْاَشْقَی ﴿ۙ۱۵﴾
উচ্চারণ:
লা-ইয়াসলা-হাইল্লাল আশকা-
আল বায়ান:
তাতে নিতান্ত হতভাগা ছাড়া কেউ প্রবেশ করবে না;
তাইসিরুল কুরআন:
চরম হতভাগা ছাড়া কেউ তাতে প্রবেশ করবে না।
Sahih International:
None will [enter to] burn therein except the most wretched one.



الَّذِیْ کَذَّبَ وَ تَوَلّٰی ﴿ؕ۱۶﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযী কাযযাবা ওয়া তাওয়াল্লা-।
আল বায়ান:
যে অস্বীকার করেছে এবং মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
যে অস্বীকার করে ও মুখ ফিরিয়ে নেয়
Sahih International:
Who had denied and turned away.



وَ سَیُجَنَّبُهَا الْاَتْقَی ﴿ۙ۱۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ছাইউজান্নাবুহাল আতকা-।
আল বায়ান:
আর তা থেকে দূরে রাখা হবে পরম মুত্তাকীকে।
তাইসিরুল কুরআন:
তাত্থেকে দূরে রাখা হবে এমন ব্যক্তিকে যে আল্লাহকে খুব বেশি ভয় করে,
Sahih International:
But the righteous one will avoid it -



الَّذِیْ یُؤْتِیْ مَالَهٗ یَتَزَکّٰی ﴿ۚ۱۸﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযী ইউ’তী মা-লাহূইয়াতাযাক্কা-।
আল বায়ান:
যে তার সম্পদ দান করে আত্ম-শুদ্ধির উদ্দেশ্যে,
তাইসিরুল কুরআন:
যে পবিত্রতা অর্জনের উদ্দেশে নিজের ধন-সম্পদ দান করে,
Sahih International:
[He] who gives [from] his wealth to purify himself



وَ مَا لِاَحَدٍ عِنْدَهٗ مِنْ نِّعْمَۃٍ تُجْزٰۤی ﴿ۙ۱۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-লিআহাদিন ‘ইনদাহূমিন নি‘মাতিন তুজযা।
আল বায়ান:
আর তার প্রতি কারো এমন কোন অনুগ্রহ নেই, যার প্রতিদান দিতে হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
(সে দান করে) তার প্রতি কারো অনুগ্রহের প্রতিদান হিসেবে নয়,
Sahih International:
And not [giving] for anyone who has [done him] a favor to be rewarded



اِلَّا ابْتِغَآءَ وَجْهِ رَبِّهِ الْاَعْلٰی ﴿ۚ۲۰﴾
উচ্চারণ:
ইল্লাবতিগাআ ওয়াজহি রাব্বিহিল আ‘লা-।
আল বায়ান:
কেবল তার মহান রবের সন্তুষ্টির প্রত্যাশায়।
তাইসিরুল কুরআন:
একমাত্র তার মহান প্রতিপালকের চেহারা (সন্তোষ) লাভের আশায়।
Sahih International:
But only seeking the countenance of his Lord, Most High.



وَ لَسَوْفَ یَرْضٰی ﴿۲۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাছাওফা ইয়ারদা-।
আল বায়ান:
আর অচিরেই সে সন্তোষ লাভ করবে।
তাইসিরুল কুরআন:
সে অবশ্যই অতি শীঘ্র (আল্লাহর নি‘মাত পেয়ে) সন্তুষ্ট হয়ে যাবে।
Sahih International:
And he is going to be satisfied.






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।