আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


وَ السَّمَآءِ ذَاتِ الْبُرُوْجِ ۙ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়াছ ছামাই যা-তিল বুরূজ।
আল বায়ান:
কক্ষপথ বিশিষ্ট আসমানের কসম,
তাইসিরুল কুরআন:
শপথ গ্রহ-নক্ষত্র শোভিত আকাশের
Sahih International:
By the sky containing great stars



وَ الْیَوْمِ الْمَوْعُوْدِ ۙ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল ইয়াওমিল মাও‘ঊদ।
আল বায়ান:
আর ওয়াদাকৃত দিনের কসম,
তাইসিরুল কুরআন:
আর সেদিনের যার ও‘য়াদা করা হয়েছে,
Sahih International:
And [by] the promised Day



وَ شَاهِدٍ وَّ مَشْهُوْدٍ ؕ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া শা-হিদিওঁ ওয়া মাশহূদ।
আল বায়ান:
আর কসম সাক্ষ্যদাতার এবং যার ব্যাপারে সাক্ষ্য দেয়া হবে তার,
তাইসিরুল কুরআন:
আর যে দেখে আর যা দেখা যায় তার শপথ
Sahih International:
And [by] the witness and what is witnessed,



قُتِلَ اَصْحٰبُ الْاُخْدُوْدِ ۙ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
কুতিলা আসহা-বুল উখদূদ ।
আল বায়ান:
ধ্বংস হয়েছে গর্তের অধিপতিরা,
তাইসিরুল কুরআন:
ধ্বংস হয়েছে গর্ত ওয়ালারা
Sahih International:
Cursed were the companions of the trench



النَّارِ ذَاتِ الْوَقُوْدِ ۙ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
আন্না-রি যা-তিল ওয়াকূদ।
আল বায়ান:
(যাতে ছিল) ইন্ধনপূর্ণ আগুন।
তাইসিরুল কুরআন:
(যে গর্তে) দাউ দাউ করে জ্বলা ইন্ধনের আগুন ছিল,
Sahih International:
[Containing] the fire full of fuel,



اِذْ هُمْ عَلَیْهَا قُعُوْدٌ ۙ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
ইযহুম ‘আলাইহা-কু‘ঊদ।
আল বায়ান:
যখন তারা তার কিনারায় উপবিষ্ট ছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন তারা গর্তের কিনারায় বসে ছিল
Sahih International:
When they were sitting near it



وَّ هُمْ عَلٰی مَا یَفْعَلُوْنَ بِالْمُؤْمِنِیْنَ شُهُوْدٌ ؕ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া হুম ‘আলা-মা-ইয়াফ‘আলূনা বিলমু’মিনীনা শুহূদ।
আল বায়ান:
আর তারা মুমিনদের সাথে যা করছিল তার প্রত্যক্ষদর্শী।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তারা মু’মিনদের সাথে যা করছিল তা দেখছিল
Sahih International:
And they, to what they were doing against the believers, were witnesses.



وَ مَا نَقَمُوْا مِنْهُمْ اِلَّاۤ اَنْ یُّؤْمِنُوْا بِاللّٰهِ الْعَزِیْزِ الْحَمِیْدِ ۙ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মা-নাকামূমিনহুম ইল্লাআইঁ ইউ’মিনূবিল্লা-হিল ‘আযীযিল হামীদ।
আল বায়ান:
আর তারা তাদেরকে নির্যাতন করেছিল শুধুমাত্র এ কারণে যে, তারা মহাপরাক্রমশালী প্রশংসিত আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা তাদেরকে নির্যাতন করেছিল একমাত্র এই কারণে যে, তারা মহাপরাক্রান্ত প্রসংসিত আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছিল।
Sahih International:
And they resented them not except because they believed in Allah, the Exalted in Might, the Praiseworthy,



الَّذِیْ لَهٗ مُلْکُ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ ؕ وَ اللّٰهُ عَلٰی کُلِّ شَیْءٍ شَهِیْدٌ ؕ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযী লাহূমুলকুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়াল্লা-হু ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন শাহীদ।
আল বায়ান:
আসমানসমূহ ও যমীনের রাজত্ব যার। আর আল্লাহ প্রতিটি বিষয়ের প্রত্যক্ষদর্শী।
তাইসিরুল কুরআন:
আসমান ও যমীনের রাজ্বত্ব যাঁর, আর সেই আল্লাহ সব কিছুর প্রত্যক্ষদর্শী।
Sahih International:
To whom belongs the dominion of the heavens and the earth. And Allah, over all things, is Witness.



اِنَّ الَّذِیْنَ فَتَنُوا الْمُؤْمِنِیْنَ وَ الْمُؤْمِنٰتِ ثُمَّ لَمْ یَتُوْبُوْا فَلَهُمْ عَذَابُ جَهَنَّمَ وَ لَهُمْ عَذَابُ الْحَرِیْقِ ﴿ؕ۱۰﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল্লাযীনা ফাতানুলমু’মিনীন ওয়াল মু’মিনা-তি ছু ম্মা লাম ইয়াতূবূফালাহুম ‘আযা-বু জাহান্নামা ওয়া লাহুম ‘আযা-বুল হারীক।
আল বায়ান:
নিশ্চয় যারা মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদেরকে আযাব দেয়, তারপর তাওবা করে না, তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আযাব। আর তাদের জন্য রয়েছে আগুনে দগ্ধ হওয়ার আযাব।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা মু’মিন পুরুষ ও নারীদের প্রতি যুলম পীড়ন চালায় অতঃপর তাওবাহ করে না, তাদের জন্য আছে জাহান্নামের শাস্তি, আর আছে আগুনে দগ্ধ হওয়ার যন্ত্রণা।
Sahih International:
Indeed, those who have tortured the believing men and believing women and then have not repented will have the punishment of Hell, and they will have the punishment of the Burning Fire.



اِنَّ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ لَهُمْ جَنّٰتٌ تَجْرِیْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُ ۬ؕؑ ذٰلِکَ الْفَوْزُ الْکَبِیْرُ ﴿ؕ۱۱﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি লাহুম জান্না-তুন তাজরী মিন তাহতিহাল আনহা-রু যা-লিকাল ফাওযুল কাবীর।
আল বায়ান:
নিশ্চয় যারা ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। যার তলদেশে প্রবাহিত হবে নহরসমূহ। এটাই বিরাট সফলতা।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা ঈমান আনে আর সৎকাজ করে তাদের জন্য আছে জান্নাত, যার পাদদেশ দিয়ে বয়ে চলেছে নির্ঝরিণী, এটা বিরাট সাফল্য।
Sahih International:
Indeed, those who have believed and done righteous deeds will have gardens beneath which rivers flow. That is the great attainment.



اِنَّ بَطْشَ رَبِّکَ لَشَدِیْدٌ ﴿ؕ۱۲﴾
উচ্চারণ:
ইন্না বাতশা রাব্বিকা লাশাদীদ।
আল বায়ান:
নিশ্চয় তোমার রবের পাকড়াও বড়ই কঠিন।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার প্রতিপালকের পাকড়াও অবশ্যই বড় কঠিন।
Sahih International:
Indeed, the vengeance of your Lord is severe.



اِنَّهٗ هُوَ یُبْدِئُ وَ یُعِیْدُ ﴿ۚ۱۳﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাহূহুওয়া ইউবদিউ ওয়া ইউ‘ঈদ।
আল বায়ান:
নিশ্চয় তিনি সৃষ্টির সূচনা করেন এবং তিনিই পুনরায় সৃষ্টি করবেন।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনিই প্রথমবার সৃষ্টি করেন অতঃপর সৃষ্টির আবর্তন ঘটান।
Sahih International:
Indeed, it is He who originates [creation] and repeats.



وَ هُوَ الْغَفُوْرُ الْوَدُوْدُ ﴿ۙ۱۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া হুওয়াল গাফূরুল ওয়াদূদু।
আল বায়ান:
আর তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, প্রেমময়।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি ক্ষমাশীল, প্রেমময়,
Sahih International:
And He is the Forgiving, the Affectionate,



ذُو الْعَرْشِ الْمَجِیْدُ ﴿ۙ۱۵﴾
উচ্চারণ:
যুল ‘আরশিল মাজীদ।
আল বায়ান:
আরশের অধিপতি, মহান।
তাইসিরুল কুরআন:
‘আরশের অধিপতি, মহা সম্মানিত।
Sahih International:
Honorable Owner of the Throne,



فَعَّالٌ لِّمَا یُرِیْدُ ﴿ؕ۱۶﴾
উচ্চারণ:
ফা‘‘আ-লুলিলমা-ইউরীদ।
আল বায়ান:
তিনি তা-ই করেন যা চান ।
তাইসিরুল কুরআন:
যা করতে চান তাই করেন।
Sahih International:
Effecter of what He intends.



هَلْ اَتٰىکَ حَدِیْثُ الْجُنُوْدِ ﴿ۙ۱۷﴾
উচ্চারণ:
হাল আতা-কা হাদীছুল জুনূদ।
আল বায়ান:
তোমার কাছে কি সৈন্যবাহিনীর খবর পৌঁছেছে?
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার কাছে কি সৈন্য বাহিনীর খবর পৌছেছে?
Sahih International:
Has there reached you the story of the soldiers -



فِرْعَوْنَ وَ ثَمُوْدَ ﴿ؕ۱۸﴾
উচ্চারণ:
ফির‘আওনা ওয়া ছামূদ।
আল বায়ান:
ফির‘আউন ও সামূদের।
তাইসিরুল কুরআন:
ফেরাউন ও সামূদের? (আল্লাহর ক্ষমতার বিরুদ্ধে তাদের লোক-লস্কর কোন কাজে আসেনি)।
Sahih International:
[Those of] Pharaoh and Thamud?



بَلِ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا فِیْ تَکْذِیْبٍ ﴿ۙ۱۹﴾
উচ্চারণ:
বালিল্লাযীনা কাফারূফী তাকযীব ।
আল বায়ান:
বরং কাফিররা মিথ্যারোপে লিপ্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
তবুও কাফিররা সত্য প্রত্যাখ্যান করেই চলেছে।
Sahih International:
But they who disbelieve are in [persistent] denial,



وَّ اللّٰهُ مِنْ وَّرَآئِهِمْ مُّحِیْطٌ ﴿ۚ۲۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লা-হু মিওঁ ওয়ারাইহিম মুহীত।
আল বায়ান:
আর আল্লাহ তাদের অলক্ষ্যে তাদের পরিবেষ্টনকারী।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আল্লাহ আড়াল থেকে ওদেরকে ঘিরে রেখেছেন।
Sahih International:
While Allah encompasses them from behind.



بَلْ هُوَ قُرْاٰنٌ مَّجِیْدٌ ﴿ۙ۲۱﴾
উচ্চারণ:
বাল হুওয়া কুরআ-নুমমাজীদুন।
আল বায়ান:
বরং তা সম্মানিত কুরআন।
তাইসিরুল কুরআন:
(কাফিররা অমান্য করলেও এ কুরআনের কোনই ক্ষতি হবে না) বস্তুতঃ এটা সম্মানিত কুরআন,
Sahih International:
But this is an honored Qur'an



فِیْ لَوْحٍ مَّحْفُوْظٍ ﴿۲۲﴾
উচ্চারণ:
ফী লাওহিম মাহফূজ।
আল বায়ান:
সুরক্ষিত ফলকে (লিপিবদ্ধ)।
তাইসিরুল কুরআন:
সুরক্ষিত ফলকে লিপিবদ্ধ।
Sahih International:
[Inscribed] in a Preserved Slate.






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।