আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


اِذَا السَّمَآءُ انْفَطَرَتْ ۙ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
ইযাছ ছামাউন ফাতারাত।
আল বায়ান:
যখন আসমান বিদীর্ণ হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন আসমান ফেটে যাবে,
Sahih International:
When the sky breaks apart



وَ اِذَا الْکَوَاکِبُ انْتَثَرَتْ ۙ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযাল কাওয়া-কিবুন তাছারাত।
আল বায়ান:
আর যখন নক্ষত্রগুলো ঝরে পড়বে।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন তারকাগুলো বিক্ষিপ্ত হয়ে (ঝরে) পড়বে,
Sahih International:
And when the stars fall, scattering,



وَ اِذَا الْبِحَارُ فُجِّرَتْ ﴿ۙ۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযাল বিহা-রু ফুজ্জিরাত।
আল বায়ান:
আর যখন সমুদ্রগুলোকে একাকার করা হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
সমুদ্রকে যখন উত্তাল করে তোলা হবে,
Sahih International:
And when the seas are erupted



وَ اِذَا الْقُبُوْرُ بُعْثِرَتْ ۙ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযাল কুবূরু বু‘ছিরাত।
আল বায়ান:
আর যখন কবরগুলো উন্মোচিত হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন কবরস্থ মানুষদেরকে উঠানো হবে,
Sahih International:
And when the [contents of] graves are scattered,



عَلِمَتْ نَفْسٌ مَّا قَدَّمَتْ وَ اَخَّرَتْ ؕ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
‘আলিমাত নাফছুম মা-কাদ্দামাত ওয়া আখখারাত।
আল বায়ান:
তখন প্রত্যেকে জানতে পারবে, সে যা আগে পাঠিয়েছে এবং যা পিছনে রেখে গেছে।
তাইসিরুল কুরআন:
তখন প্রত্যেকে জেনে নিবে সে কী আগে পাঠিয়েছিল, আর কী পেছনে ছেড়ে এসেছিল।
Sahih International:
A soul will [then] know what it has put forth and kept back.



یٰۤاَیُّهَا الْاِنْسَانُ مَا غَرَّکَ بِرَبِّکَ الْکَرِیْمِ ۙ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআইয়ূহাল ইনছা-নুমা-গাররাকা বিরাব্বিকাল কারীম।
আল বায়ান:
হে মানুষ, কিসে তোমাকে তোমার মহান রব সম্পর্কে ধোঁকা দিয়েছে?
তাইসিরুল কুরআন:
হে মানুষ! কিসে তোমাকে তোমার মহান প্রতিপালক সম্পর্কে ধোঁকায় ফেলে দিয়েছে?
Sahih International:
O mankind, what has deceived you concerning your Lord, the Generous,



الَّذِیْ خَلَقَکَ فَسَوّٰىکَ فَعَدَلَکَ ۙ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
আল্লাযী খালাকাকা ফাছাওওয়া-কা ফা‘আদালাক।
আল বায়ান:
যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন অতঃপর তোমাকে সুসম করেছেন, তারপর তোমাকে সুসমঞ্জস করেছেন।
তাইসিরুল কুরআন:
যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাকে সুঠাম করেছেন, অতঃপর তোমাকে করেছেন ভারসাম্যপূর্ণ।
Sahih International:
Who created you, proportioned you, and balanced you?



فِیْۤ اَیِّ صُوْرَۃٍ مَّا شَآءَ رَکَّبَکَ ؕ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
ফীআইয়ি সূরাতিম মা- শাআ রাক্কাবাক।
আল বায়ান:
যে আকৃতিতে তিনি চেয়েছেন তোমাকে গঠন করেছেন।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি তোমাকে তাঁর ইচ্ছেমত আকৃতিতে গঠন করেছেন।
Sahih International:
In whatever form He willed has He assembled you.



کَلَّا بَلْ تُکَذِّبُوْنَ بِالدِّیْنِ ۙ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
কাল্লা-বাল তুকাযযিবূনা বিদ্দীন।
আল বায়ান:
কখনো নয়, তোমরা তো প্রতিদান দিবসকে অস্বীকার করে থাক।
তাইসিরুল কুরআন:
না (তোমাদের এই বিভ্রান্তি মোটেই সঠিক নয়), তোমরা তো (আখেরাতের) শাস্তি ও পুরস্কারকে অস্বীকার করে থাক;
Sahih International:
No! But you deny the Recompense.



وَ اِنَّ عَلَیْکُمْ لَحٰفِظِیْنَ ﴿ۙ۱۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্না ‘আলাইকুম লাহা-ফিজীন।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় তোমাদের উপর সংরক্ষকগণ রয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
অবশ্যই তোমাদের উপর নিযুক্ত আছে তত্ত্বাবধায়কগণ;
Sahih International:
And indeed, [appointed] over you are keepers,



کِرَامًا کَاتِبِیْنَ ﴿ۙ۱۱﴾
উচ্চারণ:
কিরা-মান কা-তিবীন।
আল বায়ান:
সম্মানিত লেখকবৃন্দ।
তাইসিরুল কুরআন:
সম্মানিত লেখকগণ (যারা লিপিবদ্ধ করছে তোমাদের কার্যকলাপ),
Sahih International:
Noble and recording;



یَعْلَمُوْنَ مَا تَفْعَلُوْنَ ﴿۱۲﴾
উচ্চারণ:
ইয়া‘লামূনা মা-তাফ‘আলূন।
আল বায়ান:
তারা জানে, যা তোমরা কর।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা জানে তোমরা যা কর।
Sahih International:
They know whatever you do.



اِنَّ الْاَبْرَارَ لَفِیْ نَعِیْمٍ ﴿ۚ۱۳﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাল আবরা-রা লাফী না‘ঈম।
আল বায়ান:
নিশ্চয় সৎকর্মপরায়ণরা থাকবে সুখ- স্বাচ্ছন্দ্যে।
তাইসিরুল কুরআন:
নেককারগণ থাকবে নানান নি‘মাতের মাঝে
Sahih International:
Indeed, the righteous will be in pleasure,



وَ اِنَّ الْفُجَّارَ لَفِیْ جَحِیْمٍ ﴿ۚۖ۱۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইন্নাল ফুজ্জা-রা লাফী জাহীম।
আল বায়ান:
আর নিশ্চয় অন্যায়কারীরা থাকবে প্রজ্জ্বলিত আগুনে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর পাপীরা থাকবে জাহান্নামে,
Sahih International:
And indeed, the wicked will be in Hellfire.



یَّصْلَوْنَهَا یَوْمَ الدِّیْنِ ﴿۱۵﴾
উচ্চারণ:
ইয়াসলাওনাহা-ইয়াওমাদ্দীন।
আল বায়ান:
তারা সেখানে প্রবেশ করবে প্রতিদান দিবসে।
তাইসিরুল কুরআন:
কর্মফলের দিন তারা তাতে প্রবেশ করবে।
Sahih International:
They will [enter to] burn therein on the Day of Recompense,



وَ مَا هُمْ عَنْهَا بِغَآئِبِیْنَ ﴿ؕ۱۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-হুম ‘আনহা-বিগাইবীন।
আল বায়ান:
আর তারা সেখান থেকে অনুপস্থিত থাকতে পারবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা সেখান থেকে কক্ষনো উধাও হয়ে যেতে পারবে না।
Sahih International:
And never therefrom will they be absent.



وَ مَاۤ اَدْرٰىکَ مَا یَوْمُ الدِّیْنِ ﴿ۙ۱۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামাআদরা-কা মা-ইয়াওমুদ্দীন।
আল বায়ান:
আর কিসে তোমাকে জানাবে প্রতিদান দিবস কী?
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি কি জান কর্মফলের দিনটি কী?
Sahih International:
And what can make you know what is the Day of Recompense?



ثُمَّ مَاۤ اَدْرٰىکَ مَا یَوْمُ الدِّیْنِ ﴿ؕ۱۸﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা মাআদরা-কা মা-ইয়াওমুদ্দীন।
আল বায়ান:
তারপর বলছি, কিসে তোমাকে জানাবে প্রতিদান দিবস কী?
তাইসিরুল কুরআন:
আবার বলি, তুমি কি জান কর্মফলের দিনটি কী ?
Sahih International:
Then, what can make you know what is the Day of Recompense?



یَوْمَ لَا تَمْلِکُ نَفْسٌ لِّنَفْسٍ شَیْئًا ؕ وَ الْاَمْرُ یَوْمَئِذٍ لِّلّٰهِ ﴿۱۹﴾
উচ্চারণ:
ইয়াওমা লা-তামলিকুনাফছুল লিনাফছিন শাইআওঁ ওয়াল আমরু ইয়াওমাইযিল লিল্লা-হি।
আল বায়ান:
সেদিন কোন মানুষ অন্য মানুষের জন্য কোন কিছুর ক্ষমতা রাখবে না। আর সেদিন সকল বিষয় হবে আল্লাহর কর্তৃত্বে।
তাইসিরুল কুরআন:
সেদিন কোন মানুষ অপরের জন্য কিছু করার সামর্থ্য রাখবে না, সেদিন সকল কর্তৃত্ব থাকবে একমাত্র আল্লাহরই (ইখতিয়ারে)।
Sahih International:
It is the Day when a soul will not possess for another soul [power to do] a thing; and the command, that Day, is [entirely] with Allah.






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।