আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


وَ النّٰزِعٰتِ غَرْقًا ۙ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়ান্না-যি‘আ-তি গারকা-।
আল বায়ান:
কসম নির্মমভাবে (কাফিরদের রূহ) উৎপাটনকারীদের।*
তাইসিরুল কুরআন:
শপথ সেই ফেরেশতাদের যারা (পাপীদের আত্মা) নির্মমভাবে টেনে বের করে,
Sahih International:
By those [angels] who extract with violence



وَّ النّٰشِطٰتِ نَشْطًا ۙ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়ান্না-শিতা-তি নাশতা-।
আল বায়ান:
আর কসম সহজভাবে বন্ধনমুক্তকারীদের।
তাইসিরুল কুরআন:
আর যারা (নেককারদের আত্মা) খুবই সহজভাবে বের করে,
Sahih International:
And [by] those who remove with ease



وَّ السّٰبِحٰتِ سَبْحًا ۙ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়াছছা-বিহা-তি ছাবহা-।
আল বায়ান:
আর কসম দ্রুতগতিতে সন্তরণকারীদের।
তাইসিরুল কুরআন:
শপথ সেই ফেরেশতাদের যারা দ্রুতগতিতে সাঁতার কাটে,
Sahih International:
And [by] those who glide [as if] swimming



فَالسّٰبِقٰتِ سَبْقًا ۙ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
ফাছছা-বিকা-তি ছাবকা-।
আল বায়ান:
আর দ্রুতবেগে অগ্রসরমানদের।
তাইসিরুল কুরআন:
আর (আল্লাহর নির্দেশ পালনের জন্য) ক্ষিপ্র গতিতে এগিয়ে যায়,
Sahih International:
And those who race each other in a race



فَالْمُدَبِّرٰتِ اَمْرًا ۘ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
ফাল মুদাব্বিরা-তি আমরা-।
আল বায়ান:
অতঃপর কসম সকল কার্যনির্বাহকারীদের।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর সব কাজের ব্যবস্থা করে।
Sahih International:
And those who arrange [each] matter,



یَوْمَ تَرْجُفُ الرَّاجِفَۃُ ۙ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
ইয়াওমা তারজুফুররা-জিফাহ।
আল বায়ান:
সেদিন কম্পনকারী* প্রকম্পিত করবে।
তাইসিরুল কুরআন:
সেদিন ভূকম্পন প্রকম্পিত করবে,
Sahih International:
On the Day the blast [of the Horn] will convulse [creation],



تَتْبَعُهَا الرَّادِفَۃُ ؕ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
তাতবা‘উহার রা-দিফাহ।
আল বায়ান:
তাকে অনুসরণ করবে পরবর্তী কম্পনকারী।*
তাইসিরুল কুরআন:
তারপর আসবে আরেকটি ভূকম্পন।
Sahih International:
There will follow it the subsequent [one].



قُلُوْبٌ یَّوْمَئِذٍ وَّاجِفَۃٌ ۙ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
কূলূবুইঁ ইয়াওমাইযিওঁ ওয়া-জিফাহ।
আল বায়ান:
সেদিন অনেক হৃদয় ভীত-সন্ত্রস্ত হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
কত হৃদয় সে দিন ভয়ে ভীত হয়ে পড়বে,
Sahih International:
Hearts, that Day, will tremble,



اَبْصَارُهَا خَاشِعَۃٌ ۘ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
আবসা-রুহা-খা-শি‘আহ।
আল বায়ান:
তাদের দৃষ্টিসমূহ নত হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের দৃষ্টি নত হবে,
Sahih International:
Their eyes humbled.



یَقُوْلُوْنَ ءَاِنَّا لَمَرْدُوْدُوْنَ فِی الْحَافِرَۃِ ﴿ؕ۱۰﴾
উচ্চারণ:
ইয়াকূ লূনা আ ইন্না-লামারদূদূনা ফিল হা-ফিরাহ।
আল বায়ান:
তারা বলে, ‘আমরা কি পূর্বাবস্থায় প্রত্যাবর্তিত হবই,
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলে, ‘আমাদেরকে কি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে?
Sahih International:
They are [presently] saying, "Will we indeed be returned to [our] former state [of life]?



ءَ اِذَا کُنَّا عِظَامًا نَّخِرَۃً ﴿ؕ۱۱﴾
উচ্চারণ:
আইযা-কুন্না-‘ইজা-মান নাখিরাহ।
আল বায়ান:
যখন আমরা চূর্ণ-বিচূর্ণ হাড় হয়ে যাব’?
তাইসিরুল কুরআন:
আমরা যখন পচা-গলা হাড় হয়ে যাব (তখনও)?’
Sahih International:
Even if we should be decayed bones?



قَالُوْا تِلْکَ اِذًا کَرَّۃٌ خَاسِرَۃٌ ﴿ۘ۱۲﴾
উচ্চারণ:
কা-লূতিলকা ইযান কাররাতুন খা-ছিরাহ।
আল বায়ান:
তারা বলে, ‘তাহলে তা তো এক ক্ষতিকর প্রত্যাবর্তন’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলে, ‘অবস্থা যদি তাই হয় তাহলে এই ফিরিয়ে আনাটাতো সর্বনাশের ব্যাপার হবে।’
Sahih International:
They say, "That, then, would be a losing return."



فَاِنَّمَا هِیَ زَجْرَۃٌ وَّاحِدَۃٌ ﴿ۙ۱۳﴾
উচ্চারণ:
ফাইন্নামা-হিয়া যাজরাতুওঁ ওয়া-হিদাহ ।
আল বায়ান:
আর ওটা তো কেবল এক বিকট আওয়াজ।
তাইসিরুল কুরআন:
ওটা তো কেবল একটা বিকট আওয়াজ,
Sahih International:
Indeed, it will be but one shout,



فَاِذَا هُمْ بِالسَّاهِرَۃِ ﴿ؕ۱۴﴾
উচ্চারণ:
ফাইযা-হুম বিছছা-হিরাহ।
আল বায়ান:
তৎক্ষনাৎ তারা ভূ-পৃষ্ঠে উপস্থিত হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
সহসাই তারা খোলা ময়দানে আবির্ভূত হবে।
Sahih International:
And suddenly they will be [alert] upon the earth's surface.



هَلْ اَتٰىکَ حَدِیْثُ مُوْسٰی ﴿ۘ۱۵﴾
উচ্চারণ:
হাল আতা-কা হাদীছুমূছা-।
আল বায়ান:
মূসার বৃত্তান্ত তোমার কাছে পৌঁছেছে কি?
তাইসিরুল কুরআন:
মূসার বৃত্তান্ত তোমার কাছে পৌঁছেছে কি?
Sahih International:
Has there reached you the story of Moses? -



اِذْ نَادٰىهُ رَبُّهٗ بِالْوَادِ الْمُقَدَّسِ طُوًی ﴿ۚ۱۶﴾
উচ্চারণ:
ইযনা-দা-হু রাব্বুহূবিলওয়া-দিল মুকাদ্দাছি তুওয়া-।
আল বায়ান:
যখন তার রব তাকে পবিত্র তুওয়া উপত্যকায় ডেকেছিলেন,
তাইসিরুল কুরআন:
যখন তার প্রতিপালক তাকে পবিত্র তুয়া প্রান্তরে ডাক দিয়ে বলেছিলেন
Sahih International:
When his Lord called to him in the sacred valley of Tuwa,



اِذْهَبْ اِلٰی فِرْعَوْنَ اِنَّهٗ طَغٰی ﴿۫ۖ۱۷﴾
উচ্চারণ:
ইযহাব ইলা-ফির‘আওনা ইন্নাহূতাগা-।
আল বায়ান:
‘ফির‘আউনের কাছে যাও, নিশ্চয় সে সীমালংঘন করেছে’।
তাইসিরুল কুরআন:
‘ফেরাউনের কাছে যাও, সে সীমালঙ্ঘন করেছে,
Sahih International:
"Go to Pharaoh. Indeed, he has transgressed.



فَقُلْ هَلْ لَّکَ اِلٰۤی اَنْ تَزَکّٰی ﴿ۙ۱۸﴾
উচ্চারণ:
ফাকুল হাল্লাকা ইলাআন তাযাক্কা-।
আল বায়ান:
অতঃপর বল ‘তোমার কি ইচ্ছা আছে যে, তুমি পবিত্র হবে’?
তাইসিরুল কুরআন:
তাকে জিজ্ঞেস কর, ‘তুমি কি পবিত্রতা অবলম্বন করতে ইচ্ছুক?
Sahih International:
And say to him, 'Would you [be willing to] purify yourself



وَ اَهْدِیَکَ اِلٰی رَبِّکَ فَتَخْشٰی ﴿ۚ۱۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আহদিয়াকা ইলা-রাব্বিকা ফাতাখশা-।
আল বায়ান:
‘আর আমি তোমাকে তোমার রবের দিকে পথ দেখাব, যাতে তুমি তাঁকে ভয় কর?’
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমি তোমাকে তোমার প্রতিপালকের দিকে পথ দেখাই যাতে তুমি তাঁকে ভয় কর?’
Sahih International:
And let me guide you to your Lord so you would fear [Him]?'"



فَاَرٰىهُ الْاٰیَۃَ الْکُبْرٰی ﴿۫ۖ۲۰﴾
উচ্চারণ:
ফাআরা-হুল আ-য়াতাল কুবরা-।
আল বায়ান:
অতঃপর মূসা তাকে বিরাট নিদর্শন দেখাল।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর মূসা তাকে বিরাট নিদর্শন দেখাল।
Sahih International:
And he showed him the greatest sign,



فَکَذَّبَ وَ عَصٰی ﴿۫ۖ۲۱﴾
উচ্চারণ:
ফাকাযযাবা ওয়া‘আসা-।
আল বায়ান:
কিন্তু সে অস্বীকার করল এবং অমান্য করল।
তাইসিরুল কুরআন:
কিন্তু সে অস্বীকার করল ও অমান্য করল।
Sahih International:
But Pharaoh denied and disobeyed.



ثُمَّ اَدْبَرَ یَسْعٰی ﴿۫ۖ۲۲﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা আদবারা ইয়াছ‘আ-।
আল বায়ান:
তারপর সে ফাসাদ করার চেষ্টায় প্রস্থান করল।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর সে (আল্লাহর বিরুদ্ধে) জোর প্রচেষ্টা চালানোর জন্য (সত্যের) উল্টোপথে ফিরে গেল।
Sahih International:
Then he turned his back, striving.



فَحَشَرَ فَنَادٰی ﴿۫ۖ۲۳﴾
উচ্চারণ:
ফাহাশারা ফানা-দা-।
আল বায়ান:
অতঃপর সে লোকদেরকে একত্র করে ঘোষণা দিল।
তাইসিরুল কুরআন:
সে লোকদেরকে একত্রিত করল আর ঘোষণা দিল।
Sahih International:
And he gathered [his people] and called out



فَقَالَ اَنَا رَبُّکُمُ الْاَعْلٰی ﴿۫ۖ۲۴﴾
উচ্চারণ:
ফাকা-লা আনা রাব্বুকুমুল আ‘লা-।
আল বায়ান:
আর বলল, ‘আমিই তোমাদের সর্বোচ্চ রব’।
তাইসিরুল কুরআন:
সে বলল, ‘আমিই তোমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ রব’।
Sahih International:
And said, "I am your most exalted lord."



فَاَخَذَهُ اللّٰهُ نَکَالَ الْاٰخِرَۃِ وَ الْاُوْلٰی ﴿ؕ۲۵﴾
উচ্চারণ:
ফাআখাযাহুল্লা-হু নাকা-লাল আ-খিরাতি ওয়াল ঊলা-।
আল বায়ান:
অবশেষে আল্লাহ তাকে আখিরাত ও দুনিয়ার আযাবে পাকড়াও করলেন।
তাইসিরুল কুরআন:
পরিশেষে আল্লাহ তাকে আখেরাত ও দুনিয়ার ‘আযাবে পাকড়াও করলেন।
Sahih International:
So Allah seized him in exemplary punishment for the last and the first [transgression].



اِنَّ فِیْ ذٰلِکَ لَعِبْرَۃً لِّمَنْ یَّخْشٰی ﴿ؕ۲۶﴾
উচ্চারণ:
ইন্না ফী যা-লিকা লা‘ইবরাতাল লিমাইঁ ইয়াখশা-।
আল বায়ান:
নিশ্চয় যে ভয় করে তার জন্য এতে শিক্ষা রয়েছে।
তাইসিরুল কুরআন:
যে ভয় করে এমন প্রতিটি লোকের জন্য এতে অবশ্যই শিক্ষা আছে।
Sahih International:
Indeed in that is a warning for whoever would fear [Allah].



ءَاَنْتُمْ اَشَدُّ خَلْقًا اَمِ السَّمَآءُ ؕ بَنٰهَا ﴿ٝ۲۷﴾
উচ্চারণ:
আ আনতুম আশাদ্দুখালকান আমিছ ছামাউ বানা-হা-।
আল বায়ান:
তোমাদেরকে সৃষ্টি করা অধিক কঠিন, না আসমান সৃষ্টি? তিনি তা বানিয়েছেন।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের সৃষ্টি বেশি কঠিন না আকাশের? তিনি তো সেটা সৃষ্টি করেছেন।
Sahih International:
Are you a more difficult creation or is the heaven? Allah constructed it.



رَفَعَ سَمْکَهَا فَسَوّٰىهَا ﴿ۙ۲۸﴾
উচ্চারণ:
রাফা‘আ ছামকাহা-ফাছাওয়া-হা-।
আল বায়ান:
তিনি এর ছাদকে উচ্চ করেছেন এবং তাকে সুসম্পন্ন করেছেন।
তাইসিরুল কুরআন:
তার ছাদ অনেক উচ্চে তুলেছেন, অতঃপর তাকে ভারসাম্যপূর্ণ করেছেন।
Sahih International:
He raised its ceiling and proportioned it.



وَ اَغْطَشَ لَیْلَهَا وَ اَخْرَجَ ضُحٰهَا ﴿۪۲۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আগতাশা লাইলাহা-ওয়া আখরাজা দুহা-হা-।
আল বায়ান:
আর তিনি এর রাতকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করেছেন এবং এর দিবালোক প্রকাশ করেছেন।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি তার রাতকে আঁধারে ঢেকে দিয়েছেন, আর তার দিবালোক প্রকাশ করেছেন।
Sahih International:
And He darkened its night and extracted its brightness.



وَ الْاَرْضَ بَعْدَ ذٰلِکَ دَحٰىهَا ﴿ؕ۳۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল আর দা বা‘দা যা-লিকা দাহা-হা-।
আল বায়ান:
এরপর তিনি যমীনকে বিস্তীর্ণ করেছেন।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর তিনি যমীনকে বিস্তীর্ণ করেছেন।
Sahih International:
And after that He spread the earth.



اَخْرَجَ مِنْهَا مَآءَهَا وَ مَرْعٰهَا ﴿۪۳۱﴾
উচ্চারণ:
আখরাজা মিনহা-মাআহা-ওয়া মার‘আ-হা-।
আল বায়ান:
তিনি তার ভিতর থেকে বের করেছেন তার পানি ও তার তৃণভূমি।
তাইসিরুল কুরআন:
তিনি তার ভিতর থেকে বের করেছেন তার পানি ও তার তৃণভূমি।
Sahih International:
He extracted from it its water and its pasture,



وَ الْجِبَالَ اَرْسٰهَا ﴿ۙ۳۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল জিবা-লা আরছা-হা।
আল বায়ান:
আর পর্বতগুলোকে তিনি দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
তাইসিরুল কুরআন:
পবর্তকে তিনি দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন,
Sahih International:
And the mountains He set firmly



مَتَاعًا لَّکُمْ وَ لِاَنْعَامِکُمْ ﴿ؕ۳۳﴾
উচ্চারণ:
মাতা-‘আল্লাকুম ওয়ালি আন‘আ-মিকুম।
আল বায়ান:
তোমাদের ও তোমাদের চতুষ্পদ জন্তুগুলোর জীবনোপকরণস্বরূপ।
তাইসিরুল কুরআন:
এ সমস্ত তোমাদের আর তোমাদের গৃহপালিত পশুগুলোর জীবিকার সামগ্রী।
Sahih International:
As provision for you and your grazing livestock.



فَاِذَا جَآءَتِ الطَّآمَّۃُ الْکُبْرٰی ﴿۫ۖ۳۴﴾
উচ্চারণ:
ফাইযা-জাআত্তিত্তাম্মাতুল কুবরা-।
আল বায়ান:
অতঃপর যখন মহাপ্রলয় আসবে।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর যখন মহাসংকট এসে যাবে।
Sahih International:
But when there comes the greatest Overwhelming Calamity -



یَوْمَ یَتَذَکَّرُ الْاِنْسَانُ مَا سَعٰی ﴿ۙ۳۵﴾
উচ্চারণ:
ইয়াওমা ইয়াতাযাক্কারুল ইনছা-নুমা-ছা‘আ-।
আল বায়ান:
সেদিন মানুষ স্মরণ করবে তা, যা সে চেষ্টা করেছে।
তাইসিরুল কুরআন:
সেদিন মানুষ স্মরণ করবে যা কিছু করার জন্য সে জোর প্রচেষ্টা চালিয়েছে।
Sahih International:
The Day when man will remember that for which he strove,



وَ بُرِّزَتِ الْجَحِیْمُ لِمَنْ یَّرٰی ﴿۳۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া বুররিযাতিল জাহীমুলিমাইঁ ইয়ারা-।
আল বায়ান:
আর জাহান্নামকে প্রকাশ করা হবে তার জন্য যে দেখতে পায়।
তাইসিরুল কুরআন:
এবং জাহান্নামকে দেখানো হবে এমন ব্যক্তিকে যে দেখতে পায়।
Sahih International:
And Hellfire will be exposed for [all] those who see -



فَاَمَّا مَنْ طَغٰی ﴿ۙ۳۷﴾
উচ্চারণ:
ফাআম্মা-মান তাগা-।
আল বায়ান:
সুতরাং যে সীমালঙ্ঘন করে।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর (দুনিয়ায়) যে লোক সীমালঙ্ঘন করেছিল,
Sahih International:
So as for he who transgressed



وَ اٰثَرَ الْحَیٰوۃَ الدُّنْیَا ﴿ۙ۳۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আ-ছারাল হায়া-তাদ্দুনইয়া-।
আল বায়ান:
আর দুনিয়ার জীবনকে প্রাধান্য দেয়,
তাইসিরুল কুরআন:
আর পার্থিব জীবনকে (পরকালের উপর) প্রাধান্য দিয়েছিল
Sahih International:
And preferred the life of the world,



فَاِنَّ الْجَحِیْمَ هِیَ الْمَاْوٰی ﴿ؕ۳۹﴾
উচ্চারণ:
ফাইন্নাল জাহীমা হিয়াল মা’ওয়া-।
আল বায়ান:
নিশ্চয় জাহান্নাম হবে তার আবাসস্থল।
তাইসিরুল কুরআন:
জাহান্নামই হবে তার আবাসস্থল।
Sahih International:
Then indeed, Hellfire will be [his] refuge.



وَ اَمَّا مَنْ خَافَ مَقَامَ رَبِّهٖ وَ نَهَی النَّفْسَ عَنِ الْهَوٰی ﴿ۙ۴۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া আম্মা-মান খা-ফা মাকা-মা রাব্বিহী ওয়া নাহান্নাফছা ‘আনিল হাওয়া-।
আল বায়ান:
আর যে স্বীয় রবের সামনে দাঁড়ানোকে ভয় করে এবং কুপ্রবৃত্তি থেকে নিজকে বিরত রাখে,
তাইসিরুল কুরআন:
আর যে লোক তার প্রতিপালকের সামনে দাঁড়ানোকে ভয় করেছিল এবং নিজেকে কামনা বাসনা থেকে নিবৃত্ত রেখেছিল,
Sahih International:
But as for he who feared the position of his Lord and prevented the soul from [unlawful] inclination,



فَاِنَّ الْجَنَّۃَ هِیَ الْمَاْوٰی ﴿ؕ۴۱﴾
উচ্চারণ:
ফাইন্নাল জান্নাতা হিয়াল মা’ওয়া।
আল বায়ান:
নিশ্চয় জান্নাত হবে তার আবাসস্থল।
তাইসিরুল কুরআন:
জান্নাতই হবে তার বাসস্থান।
Sahih International:
Then indeed, Paradise will be [his] refuge.



یَسْـَٔلُوْنَکَ عَنِ السَّاعَۃِ اَیَّانَ مُرْسٰهَا ﴿ؕ۴۲﴾
উচ্চারণ:
ইয়াছা‘আলূনাকা ‘আনিছ ছা-‘আতি আইইয়া-না মুরছা-হা-।
আল বায়ান:
তারা তোমাকে কিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে, ‘তা কখন ঘটবে’?
তাইসিরুল কুরআন:
এরা তোমাকে জিজ্ঞেস করে ক্বিয়ামত সম্পর্কে- ‘কখন তা ঘটবে?’
Sahih International:
They ask you, [O Muhammad], about the Hour: when is its arrival?



فِیْمَ اَنْتَ مِنْ ذِکْرٰىهَا ﴿ؕ۴۳﴾
উচ্চারণ:
ফীমা আনতা মিন যিকরা-হা-।
আল বায়ান:
তা উল্লেখ করার কি জ্ঞান তোমার আছে?
তাইসিরুল কুরআন:
এর আলোচনার সাথে তোমার কী সম্পর্ক?
Sahih International:
In what [position] are you that you should mention it?



اِلٰی رَبِّکَ مُنْتَهٰىهَا ﴿ؕ۴۴﴾
উচ্চারণ:
ইলা-রাব্বিকা মুনতাহা-হা-।
আল বায়ান:
এর প্রকৃত জ্ঞান তোমার রবের কাছেই।
তাইসিরুল কুরআন:
এ সংক্রান্ত জ্ঞান তোমার প্রতিপালক পর্যন্তই শেষ।
Sahih International:
To your Lord is its finality.



اِنَّمَاۤ اَنْتَ مُنْذِرُ مَنْ یَّخْشٰهَا ﴿ؕ۴۵﴾
উচ্চারণ:
ইন্নামাআনতা মুনযিরু মাইঁ ইয়াখশা-হা-।
আল বায়ান:
তুমিতো কেবল তাকেই সতর্ককারী, যে একে ভয় করে ।
তাইসিরুল কুরআন:
যারা একে ভয় করে তুমি কেবল তাদের সতর্ককারী।
Sahih International:
You are only a warner for those who fear it.



کَاَنَّهُمْ یَوْمَ یَرَوْنَهَا لَمْ یَلْبَثُوْۤا اِلَّا عَشِیَّۃً اَوْ ضُحٰهَا ﴿۴۶﴾
উচ্চারণ:
কাআন্নাহুম ইয়াওমা ইয়ারাওনাহা-লাম ইয়ালবাছূইল্লা-‘আশিইইয়াতান আও দুহা- হা।
আল বায়ান:
যেদিন তারা তা দেখবে, সেদিন তাদের মনে হবে, যেন তারা (দুনিয়ায়) এক সন্ধ্যা বা এক সকালের বেশী অবস্থান করেনি।
তাইসিরুল কুরআন:
যেদিন তারা তা দেখবে সেদিন তাদের মনে হবে, যেন তারা (পৃথিবীতে) এক সন্ধ্যা বা এক সকালের বেশি অবস্থান করেনি।
Sahih International:
It will be, on the Day they see it, as though they had not remained [in the world] except for an afternoon or a morning thereof.






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।