আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


لَاۤ اُقْسِمُ بِیَوْمِ الْقِیٰمَۃِ ۙ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
লাউকছিমুবিইয়াওমিল কিয়া-মাহ ।
আল বায়ান:
আমি কসম করছি কিয়ামতের দিনের!
তাইসিরুল কুরআন:
আমি কসম করছি ক্বিয়ামতের দিনের,
Sahih International:
I swear by the Day of Resurrection



وَ لَاۤ اُقْسِمُ بِالنَّفْسِ اللَّوَّامَۃِ ؕ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালাউকছিমুবিন্নাফছিল লাওওয়া-মাহ।
আল বায়ান:
আমি আরো কসম করছি আত্ম-ভৎর্সনাকারী আত্মার!
তাইসিরুল কুরআন:
আমি আরো কসম করছি সেই মনের যে (অন্যায় কাজ ক’রে বসলে) নিজেকে ধিক্কার দেয় (যে তোমাদেরকে অবশ্যই আবার জীবিত করে উঠানো হবে)।
Sahih International:
And I swear by the reproaching soul [to the certainty of resurrection].



اَیَحْسَبُ الْاِنْسَانُ اَلَّنْ نَّجْمَعَ عِظَامَهٗ ؕ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
আ ইয়াহছাবুল ইনছা-নুআল্লান নাজমা‘আ ‘ইজা-মাহ।
আল বায়ান:
মানুষ কি মনে করে যে, আমি কখনই তার অস্থিসমূহ একত্র করব না?
তাইসিরুল কুরআন:
মানুষ কি মনে করে যে, আমি তার হাড়গুলোকে একত্রিত করতে পারব না।
Sahih International:
Does man think that We will not assemble his bones?



بَلٰی قٰدِرِیْنَ عَلٰۤی اَنْ نُّسَوِّیَ بَنَانَهٗ ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
বালা-কা-দিরীনা ‘আলাআন নুছাওবিয়া বানা-নাহ।
আল বায়ান:
হ্যাঁ, আমি তার আংগুলের অগ্রভাগসমূহও পুনর্বিন্যস্ত করতে সক্ষম।
তাইসিরুল কুরআন:
কেন নয়, আমি তার আঙ্গুলের ডগা পর্যন্ত সঠিকভাবে বানিয়ে দিতে সক্ষম
Sahih International:
Yes. [We are] Able [even] to proportion his fingertips.



بَلْ یُرِیْدُ الْاِنْسَانُ لِیَفْجُرَ اَمَامَهٗ ۚ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
বাল ইউরীদুল ইনছা-নুলিইয়াফজুরা আমা-মাহ।
আল বায়ান:
বরং মানুষ চায় ভবিষ্যতেও পাপাচার করতে।
তাইসিরুল কুরআন:
কিন্তু মানুষ তার আগামী দিনগুলোতেও পাপাচার করতে চায়।
Sahih International:
But man desires to continue in sin.



یَسْـَٔلُ اَیَّانَ یَوْمُ الْقِیٰمَۃِ ؕ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
ইয়াছআলুআইইয়া-না ইয়াওমুল কিয়া-মাহ।
আল বায়ান:
সে প্রশ্ন করে, ‘কবে কিয়ামতের দিন’?
তাইসিরুল কুরআন:
সে জিজ্ঞেস করে, ‘ক্বিয়ামত দিবস কবে?’
Sahih International:
He asks, "When is the Day of Resurrection?"



فَاِذَا بَرِقَ الْبَصَرُ ۙ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
ফাইযা-বারিকাল বাসার।
আল বায়ান:
যখন চক্ষু হতচকিত হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন চোখ ধাঁধিয়ে যাবে,
Sahih International:
So when vision is dazzled



وَ خَسَفَ الْقَمَرُ ۙ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া খাছাফাল কামার।
আল বায়ান:
আর চাঁদ কিরণহীন হবে,
তাইসিরুল কুরআন:
চাঁদ হয়ে যাবে আলোকহীন
Sahih International:
And the moon darkens



وَ جُمِعَ الشَّمْسُ وَ الْقَمَرُ ۙ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়া জুমি‘আশশামছুওয়াল কামার।
আল বায়ান:
আর চাঁদ ও সূর্যকে একত্র করা হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
সুরুজ আর চাঁদকে একত্রে জুড়ে দেয়া হবে,
Sahih International:
And the sun and the moon are joined,



یَقُوْلُ الْاِنْسَانُ یَوْمَئِذٍ اَیْنَ الْمَفَرُّ ﴿ۚ۱۰﴾
উচ্চারণ:
ইয়াকূ লুল ইনছা-নুইয়াওমাইযিন আইনাল মাফার।
আল বায়ান:
সেদিন মানুষ বলবে, ‘পালাবার স্থান কোথায়’?
তাইসিরুল কুরআন:
সেদিন মানুষ বলবে- ‘আজ পালানোর জায়গা কোথায়?’
Sahih International:
Man will say on that Day, "Where is the [place of] escape?"



کَلَّا لَا وَزَرَ ﴿ؕ۱۱﴾
উচ্চারণ:
কাল্লা-লা- ওয়াযার।
আল বায়ান:
না, কোন আশ্রয়স্থল নেই।
তাইসিরুল কুরআন:
মোটেই না, আশ্রয়ের কোন জায়গা নেই।
Sahih International:
No! There is no refuge.



اِلٰی رَبِّکَ یَوْمَئِذِۣ الْمُسْتَقَرُّ ﴿ؕ۱۲﴾
উচ্চারণ:
ইলা-রাব্বিকা ইয়াওমাইযিনিল মুছতাকার।
আল বায়ান:
ঠাঁই শুধু সেদিন তোমার রবের নিকট।
তাইসিরুল কুরআন:
সেদিন ঠাঁই হবে (একমাত্র) তোমার প্রতিপালকেরই নিকট।
Sahih International:
To your Lord, that Day, is the [place of] permanence.



یُنَبَّؤُا الْاِنْسَانُ یَوْمَئِذٍۭ بِمَا قَدَّمَ وَ اَخَّرَ ﴿ؕ۱۳﴾
উচ্চারণ:
ইউনাব্বাউল ইনছা-নুইয়াওমাইযিম বিমা-কাদ্দামা ওয়া আখখার।
আল বায়ান:
সেদিন মানুষকে অবহিত করা হবে কী সে অগ্রে পাঠিয়েছিল এবং পশ্চাতে পাঠিয়েছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
সেদিন মানুষকে জানিয়ে দেয়া হবে সে কী (‘আমাল) আগে পাঠিয়েছে আর কী পেছনে ছেড়ে এসেছে।
Sahih International:
Man will be informed that Day of what he sent ahead and kept back.



بَلِ الْاِنْسَانُ عَلٰی نَفْسِهٖ بَصِیْرَۃٌ ﴿ۙ۱۴﴾
উচ্চারণ:
বালিল ইনছা-নু‘আলা- নাফছিহী বাসীরাহ।
আল বায়ান:
বরং মানুষ তার নিজের উপর দৃষ্টিমান।
তাইসিরুল কুরআন:
আসলে মানুষ নিজেই নিজের সম্পর্কে চাক্ষুসভাবে অবগত।
Sahih International:
Rather, man, against himself, will be a witness,



وَّ لَوْ اَلْقٰی مَعَاذِیْرَهٗ ﴿ؕ۱۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাও আলকা- মা‘আ-যীরাহ।
আল বায়ান:
যদিও সে নানা অজুহাত পেশ করে থাকে।
তাইসিরুল কুরআন:
যদিও সে নানান অজুহাত পেশ করে।
Sahih International:
Even if he presents his excuses.



لَا تُحَرِّکْ بِهٖ لِسَانَکَ لِتَعْجَلَ بِهٖ ﴿ؕ۱۶﴾
উচ্চারণ:
লা-তুহাররিক বিহী লিছা-নাকা লিতা‘জালা বিহ।
আল বায়ান:
কুরআন তাড়াতাড়ি আয়ত্ত করার উদ্দেশ্যে তুমি তোমার জিহবাকে দ্রুত আন্দোলিত করো না।
তাইসিরুল কুরআন:
(এ সূরাহ অবতীর্ণ হওয়ার সময় আল্লাহর রসূল তা মুখস্থ করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়লে আল্লাহ অভয় দিয়ে বললেন) তুমি তাড়াতাড়ি ওয়াহী আয়ত্ত করার জন্য তোমার জিভ নাড়াবে না।
Sahih International:
Move not your tongue with it, [O Muhammad], to hasten with recitation of the Qur'an.



اِنَّ عَلَیْنَا جَمْعَهٗ وَ قُرْاٰنَهٗ ﴿ۚۖ۱۷﴾
উচ্চারণ:
ইন্না ‘আলাইনা-জাম‘আহূওয়া কুরআ-নাহ ।
আল বায়ান:
নিশ্চয়ই এর সংরক্ষণ ও পাঠ আমার দায়িত্বে।
তাইসিরুল কুরআন:
এর সংরক্ষণ ও পড়ানোর দায়িত্ব আমারই।
Sahih International:
Indeed, upon Us is its collection [in your heart] and [to make possible] its recitation.



فَاِذَا قَرَاْنٰهُ فَاتَّبِعْ قُرْاٰنَهٗ ﴿ۚ۱۸﴾
উচ্চারণ:
ফাইযা- কারা’না-হু ফাত্তাবি‘ কুরআ-নাহ।
আল বায়ান:
অতঃপর যখন আমি তা পাঠ করি তখন তুমি তার পাঠের অনুসরণ কর।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই আমি যখন তা পাঠ করি, তখন তুমি সে পাঠের অনুসরণ কর।
Sahih International:
So when We have recited it [through Gabriel], then follow its recitation.



ثُمَّ اِنَّ عَلَیْنَا بَیَانَهٗ ﴿ؕ۱۹﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা ইন্না ‘আলাইনা-বায়া-নাহ।
আল বায়ান:
তারপর তার বর্ণনার দায়িত্ব আমারই।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর তা (ওয়াহীয়ে খফী বা প্রচ্ছন্ন ওয়াহীর মাধ্যমে) বিশদভাবে ব্যাখ্যা করা আমারই দায়িত্ব।
Sahih International:
Then upon Us is its clarification [to you].



کَلَّا بَلْ تُحِبُّوْنَ الْعَاجِلَۃَ ﴿ۙ۲۰﴾
উচ্চারণ:
কাল্লা-বাল তুহিববূনাল ‘আ-জিলাহ।
আল বায়ান:
কখনো না, বরং তোমরা দুনিয়ার জীবনকে ভালবাস।
তাইসিরুল কুরআন:
(আবার পূর্বের প্রসঙ্গে ফিরে গিয়ে আল্লাহ বলছেন) না, প্রকৃতপক্ষে তোমরা ইহজীবনকেই ভালবাস,
Sahih International:
No! But you love the immediate



وَ تَذَرُوْنَ الْاٰخِرَۃَ ﴿ؕ۲۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া তাযারূনাল আ-খিরাহ।
আল বায়ান:
আর তোমরা ছেড়ে দিচ্ছ আখিরাতকে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আখিরাতকে উপেক্ষা কর।
Sahih International:
And leave the Hereafter.



وُجُوْهٌ یَّوْمَئِذٍ نَّاضِرَۃٌ ﴿ۙ۲۲﴾
উচ্চারণ:
উজূহুইঁ ইয়াওমাইযিন না- দিরাহ।
আল বায়ান:
সেদিন কতক মুখমন্ডল হবে হাস্যোজ্জ্বল।
তাইসিরুল কুরআন:
কতক মুখ সেদিন উজ্জ্বল হবে।
Sahih International:
[Some] faces, that Day, will be radiant,



اِلٰی رَبِّهَا نَاظِرَۃٌ ﴿ۚ۲۳﴾
উচ্চারণ:
ইলা-রাব্বিহা-না-জিরাহ।
আল বায়ান:
তাদের রবের প্রতি দৃষ্টিনিক্ষেপকারী।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা তাদের প্রতিপালকের দিকে তাকিয়ে থাকবে।
Sahih International:
Looking at their Lord.



وَ وُجُوْهٌ یَّوْمَئِذٍۭ بَاسِرَۃٌ ﴿ۙ۲۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া উজূহুইঁ ইয়াওমাইযিম বা-ছিরাহ।
আল বায়ান:
আর সেদিন অনেক মুখমন্ডল হবে বিবর্ণ-বিষন্ন।
তাইসিরুল কুরআন:
কতক মুখ সেদিন বিবর্ণ হবে।
Sahih International:
And [some] faces, that Day, will be contorted,



تَظُنُّ اَنْ یُّفْعَلَ بِهَا فَاقِرَۃٌ ﴿ؕ۲۵﴾
উচ্চারণ:
তাজুন্নুআইঁ ইউফ‘আলা বিহা-ফা-কিরাহ।
আল বায়ান:
তারা ধারণা করবে যে, এক বিপর্যয় তাদের উপর আপতিত করা হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা ধারণা করবে যে, তাদের সঙ্গে কোমর-ভাঙ্গা আচরণ করা হবে।
Sahih International:
Expecting that there will be done to them [something] backbreaking.



کَلَّاۤ اِذَا بَلَغَتِ التَّرَاقِیَ ﴿ۙ۲۶﴾
উচ্চারণ:
কাল্লাইযা-বালাগাতিত্তারা-কী।
আল বায়ান:
কখনই না, যখন প্রাণ কণ্ঠাগত হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
(তোমরা যে ভাবছ ক্বিয়ামত হবে না সেটা) কক্ষনো নয়, প্রাণ যখন কণ্ঠে এসে পৌঁছবে,
Sahih International:
No! When the soul has reached the collar bones



وَ قِیْلَ مَنْ ٜ رَاقٍ ﴿ۙ۲۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কীলা মান রা-ক।
আল বায়ান:
আর বলা হবে, ‘কে তাকে বাঁচাবে’?
তাইসিরুল কুরআন:
তখন বলা হবে, (তাকে বাঁচানোর জন্য) ঝাড়ফুঁক দেয়ার কেউ আছে কি?
Sahih International:
And it is said, "Who will cure [him]?"



وَّ ظَنَّ اَنَّهُ الْفِرَاقُ ﴿ۙ۲۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া জান্না আন্নাহুল ফিরা-ক।
আল বায়ান:
আর সে মনে করবে, এটিই বিদায়ক্ষণ।
তাইসিরুল কুরআন:
সে (অর্থাৎ মুমূর্ষু ব্যক্তি) মনে করবে যে, (দুনিয়া হতে) বিদায়ের ক্ষণ এসে গেছে।
Sahih International:
And the dying one is certain that it is the [time of] separation



وَ الْتَفَّتِ السَّاقُ بِالسَّاقِ ﴿ۙ۲۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল তাফফাতিছছা-কুবিছছা-ক।
আল বায়ান:
আর পায়ের গোছার সংগে পায়ের গোছা জড়িয়ে যাবে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর জড়িয়ে যাবে এক পায়ের নলা আরেক পায়ের নলার সাথে।
Sahih International:
And the leg is wound about the leg,



اِلٰی رَبِّکَ یَوْمَئِذِۣ الْمَسَاقُ ﴿ؕ۳۰﴾
উচ্চারণ:
ইলা-রাব্বিকা ইয়াওমাইযিনিল মাছা-ক।
আল বায়ান:
সেদিন তোমার রবের কাছেই সকলকে হাঁকিয়ে নেয়া হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
সেদিন (সব কিছুর) যাত্রা হবে তোমার প্রতিপালকের পানে।
Sahih International:
To your Lord, that Day, will be the procession.



فَلَا صَدَّقَ وَ لَا صَلّٰی ﴿ۙ۳۱﴾
উচ্চারণ:
ফালা- সাদ্দাকা ওয়ালা- সাল্লা- ।
আল বায়ান:
সুতরাং সে বিশ্বাসও করেনি এবং সালাতও আদায় করেনি।
তাইসিরুল কুরআন:
কিন্তু না, সে বিশ্বাসও করেনি, নামাযও আদায় করেনি।
Sahih International:
And the disbeliever had not believed, nor had he prayed.



وَ لٰکِنْ کَذَّبَ وَ تَوَلّٰی ﴿ۙ۳۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লা- কিন কাযযাবা ওয়া তাওয়াল্লা- ।
আল বায়ান:
বরং সে সত্য প্রত্যাখ্যান করেছিল এবং ফিরে গিয়েছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
বরং সে প্রত্যাখ্যান করেছিল আর মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল।
Sahih International:
But [instead], he denied and turned away.



ثُمَّ ذَهَبَ اِلٰۤی اَهْلِهٖ یَتَمَطّٰی ﴿ؕ۳۳﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা যাহাবা ইলাআহলিহী ইয়াতামাত্তা- ।
আল বায়ান:
তারপর সে দম্ভভরে পরিবার-পরিজনের কাছে চলে গিয়েছিল।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর সে অতি দম্ভভরে তার পরিবারবর্গের কাছে ফিরে গিয়েছিল।
Sahih International:
And then he went to his people, swaggering [in pride].



اَوْلٰی لَکَ فَاَوْلٰی ﴿ۙ۳۴﴾
উচ্চারণ:
আওলা-লাকা ফাআওলা- ।
আল বায়ান:
দুর্ভোগ তোমার জন্য এবং দুর্ভোগ!
তাইসিরুল কুরআন:
দুর্ভোগ তোমার জন্য, দুর্ভোগ,
Sahih International:
Woe to you, and woe!



ثُمَّ اَوْلٰی لَکَ فَاَوْلٰی ﴿ؕ۳۵﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা আওলা- লাকা ফাআওলা- ।
আল বায়ান:
তারপরও দুর্ভোগ তোমার জন্য এবং দুর্ভোগ!
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর তোমার জন্য দুর্ভোগের উপর দুর্ভোগ।
Sahih International:
Then woe to you, and woe!



اَیَحْسَبُ الْاِنْسَانُ اَنْ یُّتْرَکَ سُدًی ﴿ؕ۳۶﴾
উচ্চারণ:
আ ইয়াহছাবুল ইনছা-নুআইঁ ইউতরাকা ছুদা- ।
আল বায়ান:
মানুষ কি মনে করে যে, তাকে এমনি ছেড়ে দেয়া হবে?
তাইসিরুল কুরআন:
মানুষ কি মনে করে নিয়েছে যে তাকে এমনি ছেড়ে দেয়া হবে। (তাকে পুনর্জীবিত করাও হবে না, আর বিচারের জন্য হাজির করাও হবে না)?
Sahih International:
Does man think that he will be left neglected?



اَلَمْ یَکُ نُطْفَۃً مِّنْ مَّنِیٍّ یُّمْنٰی ﴿ۙ۳۷﴾
উচ্চারণ:
আলাম ইয়াকুনুতফাতাম মিম মানিইয়িইঁ ইউমনা- ।
আল বায়ান:
সে কি বীর্যের শুক্রবিন্দু ছিল না যা স্খলিত হয়?
তাইসিরুল কুরআন:
(তার মৃত্যুর পর আল্লাহ পুনরায় তাকে জীবিত করতে পারবেন না সে এটা কী ভাবে ধারণা করছে?) সে কি (মায়ের গর্ভে) নিক্ষিপ্ত শুক্রবিন্দু ছিল না?
Sahih International:
Had he not been a sperm from semen emitted?



ثُمَّ کَانَ عَلَقَۃً فَخَلَقَ فَسَوّٰی ﴿ۙ۳۸﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা কা-না ‘আলাকাতান ফাখালাকা ফাছাওয়া-।
আল বায়ান:
অতঃপর সে ‘আলাকায় পরিণত হয়। তারপর আল্লাহ তাকে সুন্দর আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন এবং সুবিন্যস্ত করেছেন।
তাইসিরুল কুরআন:
তারপর সে হল রক্তপিন্ড, অতঃপর আল্লাহ তাকে সৃষ্টি করলেন ও সুবিন্যস্ত করলেন।
Sahih International:
Then he was a clinging clot, and [Allah] created [his form] and proportioned [him]



فَجَعَلَ مِنْهُ الزَّوْجَیْنِ الذَّکَرَ وَ الْاُنْثٰی ﴿ؕ۳۹﴾
উচ্চারণ:
ফাজা‘আলা মিনহুযযাওজাইনিযযাকারা ওয়াল উনছা- ।
আল বায়ান:
অতঃপর তিনি তা থেকে সৃষ্টি করেন জোড়ায় জোড়ায় পুরুষ ও নারী।
তাইসিরুল কুরআন:
অতঃপর তাথেকে তিনি সৃষ্টি করলেন জুড়ি- পুরুষ ও নারী।
Sahih International:
And made of him two mates, the male and the female.



اَلَیْسَ ذٰلِکَ بِقٰدِرٍ عَلٰۤی اَنْ یُّحْیِۦَ الْمَوْتٰی ﴿۴۰﴾
উচ্চারণ:
আলাইছা যা- লিকা বিকা-দিরিন ‘আলাআইঁ ইউ হইয়াল মাওতা- ।
আল বায়ান:
তিনি কি মৃতদের জীবিত করতে সক্ষম নন?
তাইসিরুল কুরআন:
এহেন স্রষ্টা কি মৃতকে আবার জীবিত করতে সক্ষম নন?
Sahih International:
Is not that [Creator] Able to give life to the dead?






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।