আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


یٰۤاَیُّهَا الْمُدَّثِّرُ ۙ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআইয়ুহাল মুদ্দাছছির।
আল বায়ান:
হে বস্ত্রাবৃত!
তাইসিরুল কুরআন:
ওহে বস্ত্র আবৃত (ব্যক্তি)!
Sahih International:
O you who covers himself [with a garment],



قُمْ فَاَنْذِرْ ۪ۙ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
কুম ফাআনযির।
আল বায়ান:
উঠ, অতঃপর সতর্ক কর।
তাইসিরুল কুরআন:
ওঠ, সতর্ক কর।
Sahih International:
Arise and warn



وَ رَبَّکَ فَکَبِّرْ ۪﴿ۙ۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া রাব্বাকা ফাকাব্বির।
আল বায়ান:
আর তোমার রবের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তোমার প্রতিপালকের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর।
Sahih International:
And your Lord glorify



وَ ثِیَابَکَ فَطَهِّرْ ۪﴿ۙ۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ছিইয়া-বাকা ফাতাহহির।
আল বায়ান:
আর তোমার পোশাক-পরিচ্ছদ পবিত্র কর।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার পোশাক পরিচ্ছদ পবিত্র রাখ।
Sahih International:
And your clothing purify



وَ الرُّجْزَ فَاهْجُرْ ۪﴿ۙ۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়াররুজযা ফাহজুর।
আল বায়ান:
আর অপবিত্রতা বর্জন কর।
তাইসিরুল কুরআন:
(যাবতীয়) অপবিত্রতা থেকে দূরে থাক।
Sahih International:
And uncleanliness avoid



وَ لَا تَمْنُنْ تَسْتَکْثِرُ ۪﴿ۙ۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়ালা-তামনুন তাছতাকছির।
আল বায়ান:
আর অধিক পাওয়ার আশায় দান করো না।
তাইসিরুল কুরআন:
(কারো প্রতি) অনুগ্রহ করো না অধিক পাওয়ার উদ্দেশে।
Sahih International:
And do not confer favor to acquire more



وَ لِرَبِّکَ فَاصْبِرْ ؕ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লিরাব্বিকা ফাসবির।
আল বায়ান:
আর তোমার রবের জন্যই ধৈর্যধারণ কর।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার প্রতিপালকের (সন্তুষ্টির) জন্য ধৈর্য ধর।
Sahih International:
But for your Lord be patient.



فَاِذَا نُقِرَ فِی النَّاقُوْرِ ۙ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
ফাইযা-নুকিরা ফিন্না-কূর।
আল বায়ান:
অতঃপর যখন শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে,
তাইসিরুল কুরআন:
যেদিন শিঙ্গায় ফুঁ দেয়া হবে,
Sahih International:
And when the trumpet is blown,



فَذٰلِکَ یَوْمَئِذٍ یَّوْمٌ عَسِیْرٌ ۙ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
ফাযা-লিকা ইয়াওমাইযিইঁ ইয়াওমুন ‘আছীর।
আল বায়ান:
আর সেদিন হবে কঠিন দিন।
তাইসিরুল কুরআন:
সেদিনটি হবে বড়ই কঠিন দিন,
Sahih International:
That Day will be a difficult day



عَلَی الْکٰفِرِیْنَ غَیْرُ یَسِیْرٍ ﴿۱۰﴾
উচ্চারণ:
‘আলাল কা-ফিরীনা গাইরু ইয়াছীর।
আল বায়ান:
কাফিরদের জন্য সহজ নয়।
তাইসিরুল কুরআন:
(যা) কাফিরদের জন্য মোটেই সহজ নয়।
Sahih International:
For the disbelievers - not easy.



ذَرْنِیْ وَ مَنْ خَلَقْتُ وَحِیْدًا ﴿ۙ۱۱﴾
উচ্চারণ:
যারনী ওয়া মান খালাকতুওয়া হীদা- ।
আল বায়ান:
আমাকে এবং যাকে আমি সৃষ্টি করেছি তাকে একাকী ছেড়ে দাও।
তাইসিরুল কুরআন:
ছেড়ে দাও আমাকে (তার সঙ্গে বুঝাপড়া করার জন্য) যাকে আমি এককভাবে সৃষ্টি করেছি।
Sahih International:
Leave Me with the one I created alone



وَّ جَعَلْتُ لَهٗ مَالًا مَّمْدُوْدًا ﴿ۙ۱۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া জা‘আলতুলাহূমা-লাম মামদূদা- ।
আল বায়ান:
আর আমি তাকে দিয়েছি অঢেল সম্পদ,
তাইসিরুল কুরআন:
আর তাকে (ওয়ালীদ বিন মুগীরাহকে) দিয়েছি অঢেল ধন-সম্পদ,
Sahih International:
And to whom I granted extensive wealth



وَّ بَنِیْنَ شُهُوْدًا ﴿ۙ۱۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া বানীনা শুহূদা- ।
আল বায়ান:
আর উপস্থিত অনেক পুত্র।
তাইসিরুল কুরআন:
আর অনেক ছেলে যারা সব সময় তার কাছেই থাকে।
Sahih International:
And children present [with him]



وَّ مَهَّدْتُّ لَهٗ تَمْهِیْدًا ﴿ۙ۱۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মাহহাত্তুলাহূতামহীদা-।
আল বায়ান:
আর তার জন্য (জীবনকে) সুগম স্বাচ্ছন্দ্যময় করেছি।
তাইসিরুল কুরআন:
এবং তার জীবনকে করেছি সচ্ছল ও সুগম।
Sahih International:
And spread [everything] before him, easing [his life].



ثُمَّ یَطْمَعُ اَنْ اَزِیْدَ ﴿٭ۙ۱۵﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা ইয়াতমা‘উ আন আযীদা।
আল বায়ান:
এসবের পরেও সে আকাংখা করে যে, আমি আরো বাড়িয়ে দেই।
তাইসিরুল কুরআন:
এর পরও সে লোভ করে যে, আমি তাকে আরো দেই।
Sahih International:
Then he desires that I should add more.



کَلَّا ؕ اِنَّهٗ کَانَ لِاٰیٰتِنَا عَنِیْدًا ﴿ؕ۱۶﴾
উচ্চারণ:
কাল্লা- ইন্নাহূকা-না লিআ-য়া-তিনা- ‘আনীদা- ।
আল বায়ান:
কখনো নয়, নিশ্চয় সে ছিল আমার নিদর্শনাবলীর বিরুদ্ধাচারী।
তাইসিরুল কুরআন:
কক্ষনো না, সে ছিল আমার নিদর্শনের বিরুদ্ধাচারী।
Sahih International:
No! Indeed, he has been toward Our verses obstinate.



سَاُرْهِقُهٗ صَعُوْدًا ﴿ؕ۱۷﴾
উচ্চারণ:
ছাউরহিকু হূসা‘ঊদা- ।
আল বায়ান:
অচিরেই আমি তাকে জাহান্নামের পিচ্ছিল পাথরে আরোহণ করতে বাধ্য করব।
তাইসিরুল কুরআন:
শীঘ্রই আমি তাকে উঠাব শাস্তির পাহাড়ে (অর্থাৎ তাকে দিব বিপদের উপর বিপদ)।
Sahih International:
I will cover him with arduous torment.



اِنَّهٗ فَکَّرَ وَ قَدَّرَ ﴿ۙ۱۸﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাহূফাক্কারা ওয়া কাদ্দার।
আল বায়ান:
নিশ্চয় সে চিন্তা ভাবনা করল এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল।
তাইসিরুল কুরআন:
সে চিন্তা ভাবনা করল এবং সিদ্ধান্ত নিল,
Sahih International:
Indeed, he thought and deliberated.



فَقُتِلَ کَیْفَ قَدَّرَ ﴿ۙ۱۹﴾
উচ্চারণ:
ফাকুতিলা কাইফা কাদ্দার,।
আল বায়ান:
অতঃপর সে ধ্বংস হোক! কীভাবে সে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল?
তাইসিরুল কুরআন:
ধ্বংস হোক সে, কীভাবে সে (কুরআনের অলৌকিকতা স্বীকার করার পরও কেবল অহমিকার বশবর্তী হয়ে নবুওয়াতকে অস্বীকার করার) সিদ্ধান্ত নিল!
Sahih International:
So may he be destroyed [for] how he deliberated.



ثُمَّ قُتِلَ کَیْفَ قَدَّرَ ﴿ۙ۲۰﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা কুতিলা কাইফা কাদ্দার।
আল বায়ান:
তারপর সে ধ্বংস হোক! কীভাবে সে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল?
তাইসিরুল কুরআন:
আবারো ধ্বংস হোক সে, সে সিদ্ধান্ত নিল কীভাবে!
Sahih International:
Then may he be destroyed [for] how he deliberated.



ثُمَّ نَظَرَ ﴿ۙ۲۱﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা নাজার।
আল বায়ান:
তারপর সে তাকাল।
তাইসিরুল কুরআন:
তারপর সে তাকালো।
Sahih International:
Then he considered [again];



ثُمَّ عَبَسَ وَ بَسَرَ ﴿ۙ۲۲﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা ‘আবাছা ওয়া বাছার।
আল বায়ান:
তারপর সে ভ্রূকুঞ্চিত করল এবং মুখ বিকৃত করল।
তাইসিরুল কুরআন:
তারপর ভ্রু কুঁচকালো আর মুখ বাঁকালো।
Sahih International:
Then he frowned and scowled;



ثُمَّ اَدْبَرَ وَ اسْتَکْبَرَ ﴿ۙ۲۳﴾
উচ্চারণ:
ছু ম্মা আদবারা ওয়াছতাকবার।
আল বায়ান:
তারপর সে পিছনে ফিরল এবং অহংকার করল।
তাইসিরুল কুরআন:
তারপর সে পিছনে ফিরল আর অহংকার করল।
Sahih International:
Then he turned back and was arrogant



فَقَالَ اِنْ هٰذَاۤ اِلَّا سِحْرٌ یُّؤْثَرُ ﴿ۙ۲۴﴾
উচ্চারণ:
ফাকা- লা ইন হা- যাইল্লা-ছিহরুইঁ ইউ’ছার।
আল বায়ান:
অতঃপর সে বলল, ‘এ তো লোক পরম্পরায়প্রাপ্ত যাদু ছাড়া আর কিছুই নয়’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারপর বলল- ‘এ তো যাদু ছাড়া আর কিছু নয়, এতো পূর্বে থেকেই চলে আসছে।
Sahih International:
And said, "This is not but magic imitated [from others].



اِنْ هٰذَاۤ اِلَّا قَوْلُ الْبَشَرِ ﴿ؕ۲۵﴾
উচ্চারণ:
ইন হা-যাইল্লা-কাওলুল বাশার।
আল বায়ান:
‘এটা তো মানুষের কথামাত্র’।
তাইসিরুল কুরআন:
এটা তো মানুষের কথা মাত্র।’
Sahih International:
This is not but the word of a human being."



سَاُصْلِیْهِ سَقَرَ ﴿۲۶﴾
উচ্চারণ:
ছাউসলীহি ছাকার।
আল বায়ান:
অচিরেই আমি তাকে জাহান্নামের আগুনে প্রবেশ করাব।
তাইসিরুল কুরআন:
শীঘ্রই আমি তাকে জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করব।
Sahih International:
I will drive him into Saqar.



وَ مَاۤ اَدْرٰىکَ مَا سَقَرُ ﴿ؕ۲۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামাআদরা-কা মা- ছাকার।
আল বায়ান:
কিসে তোমাকে জানাবে জাহান্নামের আগুন কী?
তাইসিরুল কুরআন:
তুমি কি জান জাহান্নামের আগুন কী?
Sahih International:
And what can make you know what is Saqar?



لَا تُبْقِیْ وَ لَا تَذَرُ ﴿ۚ۲۸﴾
উচ্চারণ:
লা-তুবকী ওয়ালা-তাযার।
আল বায়ান:
এটা অবশিষ্টও রাখবে না এবং ছেড়েও দেবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
তা কাউকে জীবিতও রাখবে না, আর মৃত অবস্থায়ও ছেড়ে দেবে না।
Sahih International:
It lets nothing remain and leaves nothing [unburned],



لَوَّاحَۃٌ لِّلْبَشَرِ ﴿ۚۖ۲۹﴾
উচ্চারণ:
লাওওয়া-হাতুল লিলবাশার।
আল বায়ান:
চামড়াকে দগ্ধ করে কালো করে দেবে।
তাইসিরুল কুরআন:
চামড়া ঝলসে দেবে।
Sahih International:
Blackening the skins.



عَلَیْهَا تِسْعَۃَ عَشَرَ ﴿ؕ۳۰﴾
উচ্চারণ:
‘আলাইহা-তিছ‘আতা ‘আশার।
আল বায়ান:
তার উপর রয়েছে ঊনিশজন (প্রহরী)।
তাইসিরুল কুরআন:
সেখানে নিয়োজিত আছে ঊনিশ জন ফেরেশতা।
Sahih International:
Over it are nineteen [angels].



وَ مَا جَعَلْنَاۤ اَصْحٰبَ النَّارِ اِلَّا مَلٰٓئِکَۃً ۪ وَّ مَا جَعَلْنَا عِدَّتَهُمْ اِلَّا فِتْنَۃً لِّلَّذِیْنَ کَفَرُوْا ۙ لِیَسْتَیْقِنَ الَّذِیْنَ اُوْتُوا الْکِتٰبَ وَ یَزْدَادَ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْۤا اِیْمَانًا وَّ لَا یَرْتَابَ الَّذِیْنَ اُوْتُوا الْکِتٰبَ وَ الْمُؤْمِنُوْنَ ۙ وَ لِیَقُوْلَ الَّذِیْنَ فِیْ قُلُوْبِهِمْ مَّرَضٌ وَّ الْکٰفِرُوْنَ مَاذَاۤ اَرَادَ اللّٰهُ بِهٰذَا مَثَلًا ؕ کَذٰلِکَ یُضِلُّ اللّٰهُ مَنْ یَّشَآءُ وَ یَهْدِیْ مَنْ یَّشَآءُ ؕ وَ مَا یَعْلَمُ جُنُوْدَ رَبِّکَ اِلَّا هُوَ ؕ وَ مَا هِیَ اِلَّا ذِکْرٰی لِلْبَشَرِ ﴿۳۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা- জা‘আলনাআসহা-বান্না-রি ইল্লা-মালাইকাতাওঁ ওয়ামা-জা‘আলনা‘ইদ্দাতাহুম ইল্লা-ফিতনাতাল লিল্লাযীনা কাফারূ লিইয়াছতাইকিনাল্লাযীনা ঊতুল কিতাবা ওয়া ইয়াযদা-দাল্লাযীনা আ-মানূঈমা-নাওঁ ওয়ালা- ইয়ারতা-বাল্লাযীনা ঊতুল কিতাবা ওয়াল মু’মিনূনা ওয়া লিয়াকূলাল্লাযীনা ফী কুলূবিহিম মারাদুওঁ ওয়াল কা-ফিরূনা মাযাআরা-দাল্লা-হু বিহা-যা- মাছালান কাযা-লিকা ইউদিল্লুল্লা-হু মাইঁ ইয়াশাউ ওয়া ইয়াহদী মাইঁ ইয়াশাউ ওয়ামা- ইয়া‘লামুজুনূদা রাব্বিকা ইল্লা- হুওয়া ওয়ামাহিয়া ইল্লা- যিকরা- লিলবাশার।
আল বায়ান:
আর আমি ফেরেশতাদেরকেই জাহান্নামের তত্ত্বাবধায়ক বানিয়েছি। আর কাফিরদের জন্য পরীক্ষাস্বরূপ আমি তাদের সংখ্যা নির্ধারণ করেছি। যাতে কিতাবপ্রাপ্তরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে; আর মুমিনদের ঈমান বেড়ে যায় এবং কিতাবপ্রাপ্তরা ও মুমিনরা সন্দেহ পোষণ না করে। আর যেন যাদের অন্তরে রোগ আছে তারা এবং অবশিষ্টরা বলে, এরূপ উপমা দ্বারা আল্লাহ কী ইচ্ছা করেছেন? এভাবেই আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন আর যাকে ইচ্ছা সঠিক পথে পরিচালিত করেন। আর তোমার রবের বাহিনী সম্পর্কে তিনি ছাড়া কেউ জানেন না। আর এ হচ্ছে মানুষের জন্য উপদেশমাত্র।
তাইসিরুল কুরআন:
আমিই কেবল ফেরেশতাদেরকে জাহান্নামের তত্ত্বাবধায়ক করেছি। আর তাদের (এই) সংখ্যাকে কাফিরদের জন্য একটা পরীক্ষা বানিয়ে দিয়েছি (কেননা তারা এ কথা বিশ্বাসই করতে পারবে না যে মাত্র ঊনিশ জন ফেরেশতা বিশাল জাহান্নামের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করবে) আর যেন কিতাবধারীগণ তা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে আর ঈমানদারদের ঈমান আরো বৃদ্ধি পায় এবং কিতাবধারীগণ ও ঈমানদারগণ যেন কোন রকম সন্দেহের মধ্যে না থাকে। যাদের অন্তরে রোগ আছে তারা আর কাফিররা যাতে বলে উঠে, ‘‘ এ ধরণের কথা দিয়ে আল্লাহ কী বোঝাতে চেয়েছেন?’’ এভাবে আল্লাহ যাকে চান গুমরাহ করেন আর যাকে চান সঠিক পথে পরিচালিত করেন। তোমার প্রতিপালকের বাহিনী (কারা এবং এর স্যখ্যা কত সে) সম্পর্কে তিনি ছাড়া কেউ জানে না। (জাহান্নামের) এ (বর্ণনা দেয়া হল) কেবল মানুষের নসীহত লাভের জন্য।
Sahih International:
And We have not made the keepers of the Fire except angels. And We have not made their number except as a trial for those who disbelieve - that those who were given the Scripture will be convinced and those who have believed will increase in faith and those who were given the Scripture and the believers will not doubt and that those in whose hearts is hypocrisy and the disbelievers will say, "What does Allah intend by this as an example?" Thus does Allah leave astray whom He wills and guides whom He wills. And none knows the soldiers of your Lord except Him. And mention of the Fire is not but a reminder to humanity.



کَلَّا وَ الْقَمَرِ ﴿ۙ۳۲﴾
উচ্চারণ:
কাল্লা- ওয়াল কামার।
আল বায়ান:
কখনো নয়, চাঁদের কসম!
তাইসিরুল কুরআন:
(এটা) কক্ষনো (ভিত্তিহীন) না, চাঁদের কসম,
Sahih International:
No! By the moon



وَ الَّیْلِ اِذْ اَدْبَرَ ﴿ۙ۳۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাইলি ইযআদবার।
আল বায়ান:
রাতের কসম, যখন তা সরে চলে যায়,
তাইসিরুল কুরআন:
রাতের কসম যখন তার অবসান হয়,
Sahih International:
And [by] the night when it departs



وَ الصُّبْحِ اِذَاۤ اَسْفَرَ ﴿ۙ۳۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়াসসুবহিইযাআছফার।
আল বায়ান:
প্রভাতের কসম, যখন তা উদ্ভাসিত হয়।
তাইসিরুল কুরআন:
প্রভাতের কসম- যখন তা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে,
Sahih International:
And [by] the morning when it brightens,



اِنَّهَا لَاِحْدَی الْکُبَرِ ﴿ۙ۳۵﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাহা-লাইহদাল কুবার।
আল বায়ান:
নিশ্চয় জাহান্নাম মহাবিপদসমূহের অন্যতম।
তাইসিরুল কুরআন:
এই জাহান্নাম বড় বড় বিপদগুলোর একটি,
Sahih International:
Indeed, the Fire is of the greatest [afflictions]



نَذِیْرًا لِّلْبَشَرِ ﴿ۙ۳۶﴾
উচ্চারণ:
নাযীরাল লিলবাশার।
আল বায়ান:
মানুষের জন্য সতর্ককারীস্বরূপ।
তাইসিরুল কুরআন:
মানুষের জন্য সতর্ককারী,
Sahih International:
As a warning to humanity -



لِمَنْ شَآءَ مِنْکُمْ اَنْ یَّتَقَدَّمَ اَوْ یَتَاَخَّرَ ﴿ؕ۳۷﴾
উচ্চারণ:
লিমান শাআ মিনকুম আইঁ ইয়াতাকাদ্দামা আও ইয়াতাআখখার।
আল বায়ান:
তোমাদের মধ্যে যে চায় অগ্রসর হতে অথবা পিছিয়ে থাকতে, তার জন্য।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমাদের মধ্যে যে (কল্যাণের পথে) এগিয়ে যেতে চায় অথবা পেছনে পড়ে থাকতে চায় তার জন্য
Sahih International:
To whoever wills among you to proceed or stay behind.



کُلُّ نَفْسٍۭ بِمَا کَسَبَتْ رَهِیْنَۃٌ ﴿ۙ۳۸﴾
উচ্চারণ:
কুল্লুনাফছিম বিমা-কাছাবাত রাহীনাহ।
আল বায়ান:
প্রতিটি প্রাণ নিজ অর্জনের কারণে দায়বদ্ধ।
তাইসিরুল কুরআন:
প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কৃতকর্মের দায়ে আবদ্ধ।
Sahih International:
Every soul, for what it has earned, will be retained



اِلَّاۤ اَصْحٰبَ الْیَمِیْنِ ﴿ؕۛ۳۹﴾
উচ্চারণ:
ইল্লাআসহা- বাল ইয়ামীন।
আল বায়ান:
কিন্তু ডান দিকের লোকেরা নয়,
তাইসিরুল কুরআন:
কিন্তু ডান পাশের লোকেরা নয়।
Sahih International:
Except the companions of the right,



فِیْ جَنّٰتٍ ۟ؕۛ یَتَسَآءَلُوْنَ ﴿ۙ۴۰﴾
উচ্চারণ:
ফী জান্না-তিইঁ ইয়াতাছাআলূন।
আল বায়ান:
বাগ-বাগিচার মধ্যে তারা একে অপরকে জিজ্ঞাসা করবে,
তাইসিরুল কুরআন:
তারা থাকবে জান্নাতে। তারা পরস্পরকে জিজ্ঞেস করবে
Sahih International:
[Who will be] in gardens, questioning each other



عَنِ الْمُجْرِمِیْنَ ﴿ۙ۴۱﴾
উচ্চারণ:
‘আনিল মুজরিমীন।
আল বায়ান:
অপরাধীদের সম্পর্কে,
তাইসিরুল কুরআন:
অপরাধীদের সম্পর্কে
Sahih International:
About the criminals,



مَا سَلَکَکُمْ فِیْ سَقَرَ ﴿۴۲﴾
উচ্চারণ:
মা-ছালাকাকুম ফী ছাকার।
আল বায়ান:
কিসে তোমাদেরকে জাহান্নামের আগুনে প্রবেশ করাল?
তাইসিরুল কুরআন:
‘কিসে তোমাদেরকে জাহান্নামে নিয়ে গেছে?
Sahih International:
[And asking them], "What put you into Saqar?"



قَالُوْا لَمْ نَکُ مِنَ الْمُصَلِّیْنَ ﴿ۙ۴۳﴾
উচ্চারণ:
কা-লূলাম নাকুমিনাল মুসাল্লীন।
আল বায়ান:
তারা বলবে, ‘আমরা সালাত আদায়কারীদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিলাম না’।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা বলবে, ‘আমরা নামায আদায়কারী লোকেদের মধ্যে শামিল ছিলাম না,
Sahih International:
They will say, "We were not of those who prayed,



وَ لَمْ نَکُ نُطْعِمُ الْمِسْکِیْنَ ﴿ۙ۴۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাম নাকুনুত‘ইমুল মিছকীন।
আল বায়ান:
‘আর আমরা অভাবগ্রস্তকে খাদ্য দান করতাম না’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর মিসকীনদেরকে খাবার খাওয়াতাম না,
Sahih International:
Nor did we used to feed the poor.



وَ کُنَّا نَخُوْضُ مَعَ الْخَآئِضِیْنَ ﴿ۙ۴۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কুন্না- নাখূদুমা‘আল খাইদীন।
আল বায়ান:
‘আর আমরা অনর্থক আলাপকারীদের সাথে (বেহুদা আলাপে) মগ্ন থাকতাম’।
তাইসিরুল কুরআন:
আর আমরা (সত্য পথের পথিকদের) সমালোচনা করতাম সমালোচনাকারীদের সঙ্গে (থেকে)।
Sahih International:
And we used to enter into vain discourse with those who engaged [in it],



وَ کُنَّا نُکَذِّبُ بِیَوْمِ الدِّیْنِ ﴿ۙ۴۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া কুন্না-নুকাযযিবুবিইয়াওমিদ্দীন।
আল বায়ান:
‘আর আমরা প্রতিদান দিবসকে অস্বীকার করতাম’।
তাইসিরুল কুরআন:
আমরা প্রতিফল দিবসকে অস্বীকার করতাম।
Sahih International:
And we used to deny the Day of Recompense



حَتّٰۤی اَتٰىنَا الْیَقِیْنُ ﴿ؕ۴۷﴾
উচ্চারণ:
হাত্তাআতা-নাল ইয়াকীন।
আল বায়ান:
'অবশেষে আমাদের কাছে মৃত্যু আগমন করে'।
তাইসিরুল কুরআন:
আমাদের নিকট নিশ্চিত বিশ্বাস (অর্থাৎ মৃত্যু) না আসা পর্যন্ত।’
Sahih International:
Until there came to us the certainty."



فَمَا تَنْفَعُهُمْ شَفَاعَۃُ الشّٰفِعِیْنَ ﴿ؕ۴۸﴾
উচ্চারণ:
ফামা- তানফা‘উহুম শাফা- ‘আতুশশা-ফি‘ঈন।
আল বায়ান:
অতএব সুপারিশকারীদের সুপারিশ তাদের কোন উপকার করবে না।
তাইসিরুল কুরআন:
তখন সুপারিশকারীদের সুপারিশ তাদের কোন কাজে আসবে না।
Sahih International:
So there will not benefit them the intercession of [any] intercessors.



فَمَا لَهُمْ عَنِ التَّذْکِرَۃِ مُعْرِضِیْنَ ﴿ۙ۴۹﴾
উচ্চারণ:
ফামা-লাহুম ‘আনিততাযকিরাতি মু‘রিদীন।
আল বায়ান:
আর তাদের কী হয়েছে যে, তারা উপদেশ বাণী হতে বিমুখ?
তাইসিরুল কুরআন:
তাদের হয়েছে কী যে তারা উপদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে?
Sahih International:
Then what is [the matter] with them that they are, from the reminder, turning away



کَاَنَّهُمْ حُمُرٌ مُّسْتَنْفِرَۃٌ ﴿ۙ۵۰﴾
উচ্চারণ:
কাআন্নাহুম হুমুরুম মুছতানফিরাহ।
আল বায়ান:
তারা যেন ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পলায়নরত বন্য গাধা।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা যেন ভয়ে সন্ত্রস্ত গাধা,
Sahih International:
As if they were alarmed donkeys



فَرَّتْ مِنْ قَسْوَرَۃٍ ﴿ؕ۵۱﴾
উচ্চারণ:
ফারাত মিন কাছওয়ারাহ।
আল বায়ান:
যারা সিংহের ভয়ে পলায়ন করেছে।
তাইসিরুল কুরআন:
সিংহের সামনে থেকে পালাচ্ছে।
Sahih International:
Fleeing from a lion?



بَلْ یُرِیْدُ کُلُّ امْرِیًٴ مِّنْهُمْ اَنْ یُّؤْتٰی صُحُفًا مُّنَشَّرَۃً ﴿ۙ۵۲﴾
উচ্চারণ:
বাল ইউরীদুকুল্লুম রিইম মিনহুম আইঁ ইউ’তা- সুহুফাম মুনাশশারাহ।
আল বায়ান:
বরং তাদের মধ্যকার প্রত্যেক ব্যক্তিই কামনা করে যে তাকে উন্মুক্ত গ্রন্থ প্রদান করা হোক।
তাইসিরুল কুরআন:
বস্তুতঃ তাদের প্রত্যেকেই চায়, তাকে (আল্লাহর পক্ষ থেকে) খোলা চিঠি দেয়া হোক (এই মর্মে যে, তোমরা এই নবীকে মেনে নাও)।
Sahih International:
Rather, every person among them desires that he would be given scriptures spread about.



کَلَّا ؕ بَلْ لَّا یَخَافُوْنَ الْاٰخِرَۃَ ﴿ؕ۵۳﴾
উচ্চারণ:
কাল্লা বাল্লা- ইয়াখা-ফূনাল আ-খিরাহ।
আল বায়ান:
কখনও নয়! বরং তারা আখিরাতকে ভয় করে না।
তাইসিরুল কুরআন:
না, তা কক্ষনো হতে পারে না, বরং (কথা এই যে) তারা আখিরাতকে ভয় করে না।
Sahih International:
No! But they do not fear the Hereafter.



کَلَّاۤ اِنَّهٗ تَذْکِرَۃٌ ﴿ۚ۵۴﴾
উচ্চারণ:
কাল্লাইন্নাহূতাযকিরাহ।
আল বায়ান:
কখনও নয়! এটিতো উপদেশ মাত্র।
তাইসিরুল কুরআন:
না, তা হতে পারে না, এটা (অর্থাৎ কুরআন সকলের জন্য) উপদেশবাণী।
Sahih International:
No! Indeed, the Qur'an is a reminder



فَمَنْ شَآءَ ذَکَرَهٗ ﴿ؕ۵۵﴾
উচ্চারণ:
ফামান শাআ যাকারাহ।
আল বায়ান:
অতএব যার ইচ্ছা সে তা থেকে উপদেশ গ্রহণ করুক।
তাইসিরুল কুরআন:
এক্ষনে যার ইচ্ছে তাত্থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুক।
Sahih International:
Then whoever wills will remember it.



وَ مَا یَذْکُرُوْنَ اِلَّاۤ اَنْ یَّشَآءَ اللّٰهُ ؕ هُوَ اَهْلُ التَّقْوٰی وَ اَهْلُ الْمَغْفِرَۃِ ﴿۵۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-ইয়াযকুরূনা ইল্লাআইঁ ইয়াশাআল্লা-হু হুওয়া আহলুত্তাকওয়া- ওয়া আহলুল মাগফিরাহ।
আল বায়ান:
আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া কেউ উপদেশ গ্রহণ করতে পারে না। তিনিই ভয়ের যোগ্য এবং ক্ষমার অধিকারী।
তাইসিরুল কুরআন:
আল্লাহর ইচ্ছে ব্যতীত কেউ উপদেশ গ্রহণ করবে না, তিনিই ভয়ের যোগ্য, তিনিই ক্ষমা করার অধিকারী।
Sahih International:
And they will not remember except that Allah wills. He is worthy of fear and adequate for [granting] forgiveness.






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।