আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


یٰۤاَیُّهَا الْمُزَّمِّلُ ۙ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
ইয়াআইয়ুহাল মুযযাম্মিল।
আল বায়ান:
হে চাদর আবৃত!
তাইসিরুল কুরআন:
ওহে চাদরে আবৃত (ব্যক্তি)!
Sahih International:
O you who wraps himself [in clothing],



قُمِ الَّیْلَ اِلَّا قَلِیْلًا ۙ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
কুমিল্লাইলা ইল্লা- কালীলা- ।
আল বায়ান:
রাতে সালাতে দাঁড়াও কিছু অংশ ছাড়া।
তাইসিরুল কুরআন:
রাতে নামাযে দাঁড়াও তবে (রাতের) কিছু অংশ বাদে,
Sahih International:
Arise [to pray] the night, except for a little -



نِّصْفَهٗۤ اَوِ انْقُصْ مِنْهُ قَلِیْلًا ۙ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
নিসফাহূআবিনকু স মিনহু কালীলা- ।
আল বায়ান:
রাতের অর্ধেক কিংবা তার চেয়ে কিছুটা কম।
তাইসিরুল কুরআন:
রাতের অর্ধেক (সময় দাঁড়াও) কিংবা তার থেকে কিছুটা কম কর,
Sahih International:
Half of it - or subtract from it a little



اَوْ زِدْ عَلَیْهِ وَ رَتِّلِ الْقُرْاٰنَ تَرْتِیْلًا ؕ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
আও যিদ ‘আলাইহি ওয়া রাত্তিলিল কুরআ-না তারতীলা- ।
আল বায়ান:
অথবা তার চেয়ে একটু বাড়াও। আর স্পষ্টভাবে ধীরে ধীরে কুরআন আবৃত্তি কর।
তাইসিরুল কুরআন:
অথবা তার চেয়ে বাড়াও, আর ধীরে ধীরে সুস্পষ্টভাবে কুরআন পাঠ কর।
Sahih International:
Or add to it, and recite the Qur'an with measured recitation.



اِنَّا سَنُلْقِیْ عَلَیْکَ قَوْلًا ثَقِیْلًا ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
ইন্না- ছানুলকী ‘আলাইকা কাওলান ছাকীলা-।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আমি তোমার প্রতি এক অতিভারী বাণী নাযিল করছি।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তোমার উপর গুরুভার কালাম নাযিল করব (বিশ্বের বুকে যার প্রচার ও প্রতিষ্ঠা করার দায়িত্বভার অতি বড় কঠিন কাজ)।
Sahih International:
Indeed, We will cast upon you a heavy word.



اِنَّ نَاشِئَۃَ الَّیْلِ هِیَ اَشَدُّ وَطْاً وَّ اَقْوَمُ قِیْلًا ؕ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
ইন্না না-শিআতাল্লাইলি হিয়া আশাদ্দুওয়াত‘আওঁ ওয়া আকওয়ামুকীলা-।
আল বায়ান:
নিশ্চয় রাত-জাগরণ আত্মসংযমের জন্য অধিকতর প্রবল এবং স্পষ্ট বলার জন্য অধিকতর উপযোগী।
তাইসিরুল কুরআন:
বাস্তবিকই রাতে বিছানা ছেড়ে উঠা আত্মসংযমের জন্য বেশি কার্যকর এবং (কুরআন) স্পষ্ট উচ্চারণের অনুকূল।
Sahih International:
Indeed, the hours of the night are more effective for concurrence [of heart and tongue] and more suitable for words.



اِنَّ لَکَ فِی النَّهَارِ سَبْحًا طَوِیْلًا ؕ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
ইন্না লাকা ফিন্নাহা-রি ছাবহান তাবিলা- ।
আল বায়ান:
নিশ্চয় তোমার জন্য দিনের বেলায় রয়েছে দীর্ঘ কর্মব্যস্ততা।
তাইসিরুল কুরআন:
দিনের বেলায় তোমার জন্য আছে দীর্ঘ কর্মব্যস্ততা।
Sahih International:
Indeed, for you by day is prolonged occupation.



وَ اذْکُرِ اسْمَ رَبِّکَ وَ تَبَتَّلْ اِلَیْهِ تَبْتِیْلًا ؕ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়াযকুরিছমা রাব্বিকা ওয়া তাবাত্তাল ইলাইহি তাবতীলা-।
আল বায়ান:
আর তুমি তোমার রবের নাম স্মরণ কর এবং একাগ্রচিত্তে তাঁর প্রতি নিমগ্ন হও।
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই তুমি তোমার প্রতিপালকের নাম স্মরণ কর এবং একাগ্রচিত্তে তাঁর প্রতি মগ্ন হও।
Sahih International:
And remember the name of your Lord and devote yourself to Him with [complete] devotion.



رَبُّ الْمَشْرِقِ وَ الْمَغْرِبِ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ فَاتَّخِذْهُ وَکِیْلًا ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
রাব্বুল মাশরিকিওয়াল মাগরিবি লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া ফাত্তাখিযহু ওয়াকীলা- ।
আল বায়ান:
তিনি পূর্ব ও পশ্চিমের রব, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। সুতরাং তাঁকেই তুমি কার্য সম্পাদনকারীরূপে গ্রহণ কর।
তাইসিরুল কুরআন:
(তিনি) পূর্ব ও পশ্চিমের সর্বময় কর্তা, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই, অতএব তাঁকেই তুমি তোমার কার্য সম্পদানকারী বানিয়ে লও।
Sahih International:
[He is] the Lord of the East and the West; there is no deity except Him, so take Him as Disposer of [your] affairs.



وَ اصْبِرْ عَلٰی مَا یَقُوْلُوْنَ وَ اهْجُرْهُمْ هَجْرًا جَمِیْلًا ﴿۱۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়াসবির ‘আলা-মা-ইয়াকূ লূনা ওয়াহজুরহুম হাজরান জামীলা- ।
আল বায়ান:
আর তারা যা বলে, তাতে তুমি ধৈর্য ধারণ কর এবং সুন্দরভাবে তাদেরকে পরিহার করে চল।
তাইসিরুল কুরআন:
তারা যা বলে সে ব্যাপারে ধৈর্য ধারণ কর আর ভদ্রতার সঙ্গে তাদেরকে পরিহার ক’রে চল।
Sahih International:
And be patient over what they say and avoid them with gracious avoidance.



وَ ذَرْنِیْ وَ الْمُکَذِّبِیْنَ اُولِی النَّعْمَۃِ وَ مَهِّلْهُمْ قَلِیْلًا ﴿۱۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া যারনী ওয়াল মুকাযযিবীনা উলিন না‘মাতি ওয়া মাহহিলহুম কালীলা- ।
আল বায়ান:
আর ছেড়ে দাও আমাকে এবং বিলাস সামগ্রীর অধিকারী মিথ্যারোপকারীদেরকে। আর তাদেরকে কিছুকাল অবকাশ দাও।
তাইসিরুল কুরআন:
আর ছেড়ে দাও আমাকে আর নানান বিলাস সামগ্রীর মালিক ঐ মিথ্যুকদেরকে এবং তাদেরকে কিছুটা সময় অবকাশ দাও।
Sahih International:
And leave Me with [the matter of] the deniers, those of ease [in life], and allow them respite a little.



اِنَّ لَدَیْنَاۤ اَنْکَالًا وَّ جَحِیْمًا ﴿ۙ۱۲﴾
উচ্চারণ:
ইন্না লাদাইনাআনকা-লাওঁ ওয়া জাহীমা- ।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আমার নিকট রয়েছে শিকলসমূহ ও প্রজ্জ্বলিত আগুন।
তাইসিরুল কুরআন:
আমার কাছে আছে শেকল আর দাউ দাউ করে জ্বলা আগুন,
Sahih International:
Indeed, with Us [for them] are shackles and burning fire



وَّ طَعَامًا ذَا غُصَّۃٍ وَّ عَذَابًا اَلِیْمًا ﴿٭۱۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া তা‘আ-মান যা-গুসসাতিওঁ ওয়া‘আযা-বান আলীমা- ।
আল বায়ান:
ও কাঁটাযুক্ত খাদ্য এবং যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
তাইসিরুল কুরআন:
আর গলায় আটকে যায় এমন খাবার আর মর্মান্তিক শাস্তি।
Sahih International:
And food that chokes and a painful punishment -



یَوْمَ تَرْجُفُ الْاَرْضُ وَ الْجِبَالُ وَ کَانَتِ الْجِبَالُ کَثِیْبًا مَّهِیْلًا ﴿۱۴﴾
উচ্চারণ:
ইয়াওমা তারজুফুল আরদুওয়ালজিবা-লুওয়াকা-নাতিল জিবা-লুকাছীবাম মাহীলা-।
আল বায়ান:
যেদিন যমীন ও পর্বতমালা প্রকম্পিত হবে এবং পাহাড়গুলো চলমান বালুকারাশিতে পরিণত হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
(এসব শাস্তি দেয়া হবে) যেদিন যমীন আর পাহাড়গুলো কেঁপে উঠবে, আর পাহাড়গুলো হবে চলমান বালুকারাশি।
Sahih International:
On the Day the earth and the mountains will convulse and the mountains will become a heap of sand pouring down.



اِنَّاۤ اَرْسَلْنَاۤ اِلَیْکُمْ رَسُوْلًا ۬ۙ شَاهِدًا عَلَیْکُمْ کَمَاۤ اَرْسَلْنَاۤ اِلٰی فِرْعَوْنَ رَسُوْلًا ﴿ؕ۱۵﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাআরছালনাইলাইকুম রাছূলান শা-হিদান ‘আলাইকুম কামাআরছালনাইলাফির‘আওনা রাছূলা-।
আল বায়ান:
নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য স্বাক্ষীস্বরূপ তোমাদের কাছে রাসূল পাঠিয়েছি যেমনিভাবে ফির‘আউনের কাছে রাসূল পাঠিয়েছিলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি তোমাদের কাছে তেমনিভাবে একজন রসূলকে তোমাদের প্রতি সাক্ষ্যদাতা হিসেবে পাঠিয়েছি (যিনি ক্বিয়ামতে সাক্ষ্য দিবেন যে, দ্বীনের দাওয়াত তিনি যথাযথভাবে মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন) যেমনভাবে আমি ফেরাউনের কাছে পাঠিয়েছিলাম একজন রসূলকে।
Sahih International:
Indeed, We have sent to you a Messenger as a witness upon you just as We sent to Pharaoh a messenger.



فَعَصٰی فِرْعَوْنُ الرَّسُوْلَ فَاَخَذْنٰهُ اَخْذًا وَّبِیْلًا ﴿۱۶﴾
উচ্চারণ:
ফা‘আসা- ফির‘আওনুর রাছূলা ফাআখাযনা- হু আখযাওঁ ওয়া বীলা-।
আল বায়ান:
কিন্তু ফির‘আউন রাসূলকে অমান্য করল। তাই আমি তাকে অত্যন্ত শক্তভাবে পাকড়াও করলাম।
তাইসিরুল কুরআন:
তখন ফেরাউন সেই রসূলকে অমান্য করল। ফলে আমি তাকে শক্ত ধরায় ধরলাম।
Sahih International:
But Pharaoh disobeyed the messenger, so We seized him with a ruinous seizure.



فَکَیْفَ تَتَّقُوْنَ اِنْ کَفَرْتُمْ یَوْمًا یَّجْعَلُ الْوِلْدَانَ شِیْبَۨا ﴿٭ۖ۱۷﴾
উচ্চারণ:
ফাকাইফা তাত্তাকূনা ইন কাফারতুম ইয়াওমাইঁ ইয়াজ‘আলুল বিলদা-না শীবা- ।
আল বায়ান:
অতএব তোমরা যদি কুফরী কর, তাহলে তোমরা সেদিন কিভাবে আত্মরক্ষা করবে যেদিন কিশোরদেরকে বৃদ্ধে পরিণত করবে।
তাইসিরুল কুরআন:
অতএব তোমরা যদি (এই রসূলকে) অস্বীকার কর, তাহলে তোমরা কীভাবে সেদিন আত্মরক্ষা করবে যেদিনটি (তার ভীষণতা ও ভয়াবহতায়) বালককে ক’রে দেবে বুড়ো।
Sahih International:
Then how can you fear, if you disbelieve, a Day that will make the children white- haired?



السَّمَآءُ مُنْفَطِرٌۢ بِهٖ ؕ کَانَ وَعْدُهٗ مَفْعُوْلًا ﴿۱۸﴾
উচ্চারণ:
আছছামাউ মুনফাতিরুম বিহী কা-না ওয়া‘দুহূমাফ‘ঊলা-।
আল বায়ান:
যার কারণে আসমান হবে বিদীর্ণ, আল্লাহর ওয়াদা হবে বাস্তবায়িত।
তাইসিরুল কুরআন:
যার কারণে আকাশ ফেটে যাবে, আল্লাহর ওয়া‘দা পূর্ণ হয়ে যাবে।
Sahih International:
The heaven will break apart therefrom; ever is His promise fulfilled.



اِنَّ هٰذِهٖ تَذْکِرَۃٌ ۚ فَمَنْ شَآءَ اتَّخَذَ اِلٰی رَبِّهٖ سَبِیْلًا ﴿۱۹﴾
উচ্চারণ:
ইন্না হা- যিহী তাযকিরাতুন ফামান শাআত্তাখাযা ইলা- রাব্বিহী ছাবীলা- ।
আল বায়ান:
নিশ্চয় এ এক উপদেশ। অতএব যে চায় সে তার রবের দিকে পথ অবলম্বন করুক।
তাইসিরুল কুরআন:
এটা উপদেশ। কাজেই যার মন চায় সে তার প্রতিপালকের দিকে পথ ধরুক।
Sahih International:
Indeed, this is a reminder, so whoever wills may take to his Lord a way.



اِنَّ رَبَّکَ یَعْلَمُ اَنَّکَ تَقُوْمُ اَدْنٰی مِنْ ثُلُثَیِ الَّیْلِ وَ نِصْفَهٗ وَ ثُلُثَهٗ وَ طَآئِفَۃٌ مِّنَ الَّذِیْنَ مَعَکَ ؕ وَ اللّٰهُ یُقَدِّرُ الَّیْلَ وَ النَّهَارَ ؕ عَلِمَ اَنْ لَّنْ تُحْصُوْهُ فَتَابَ عَلَیْکُمْ فَاقْرَءُوْا مَا تَیَسَّرَ مِنَ الْقُرْاٰنِ ؕ عَلِمَ اَنْ سَیَکُوْنُ مِنْکُمْ مَّرْضٰی ۙ وَ اٰخَرُوْنَ یَضْرِبُوْنَ فِی الْاَرْضِ یَبْتَغُوْنَ مِنْ فَضْلِ اللّٰهِ ۙ وَ اٰخَرُوْنَ یُقَاتِلُوْنَ فِیْ سَبِیْلِ اللّٰهِ ۫ۖ فَاقْرَءُوْا مَا تَیَسَّرَ مِنْهُ ۙ وَ اَقِیْمُوا الصَّلٰوۃَ وَ اٰتُوا الزَّکٰوۃَ وَ اَقْرِضُوا اللّٰهَ قَرْضًا حَسَنًا ؕ وَ مَا تُقَدِّمُوْا لِاَنْفُسِکُمْ مِّنْ خَیْرٍ تَجِدُوْهُ عِنْدَ اللّٰهِ هُوَ خَیْرًا وَّ اَعْظَمَ اَجْرًا ؕ وَ اسْتَغْفِرُوا اللّٰهَ ؕ اِنَّ اللّٰهَ غَفُوْرٌ رَّحِیْمٌ ﴿۲۰﴾
উচ্চারণ:
ইন্না রাব্বাকা ইয়া‘লামুআন্নাকা তাকূমুআদনা- মিন ছু লুছাইল্লাইলি ওয়া নিসফাহূওয়া ছু লুছাহূওয়া তাইফাতুম মিনাল্লাযীনা মা‘আকা ওয়াল্লা-হু ইউকাদ্দিরুল্লাইলা ওয়ান্নাহা-রা ‘আলিমা আল্লান তুহসূহু ফাতা-বা ‘আলাইকুম ফাকরাঊ মা- তায়াছছারা মিনাল কুরআ-নি ‘আলিমা আন ছাইয়াকূনুমিনকুম মারদা- ওয়া আ-খারূনা ইয়াদরিবূনা ফিল আরদিইয়াবতাগূনা মিন ফাদলিল্লা-হি ওয়া আ- খারূনা ইউকাতিলূনা ফী ছাবীলিল্লা-হি ফাকরাঊ মা-তায়াছছারা মিনহু ওয়া আকীমুসসালা-তা ওয়া আ-তুযযাকা-তা ওয়া আকরিদূ ল্লা-হা কারদান হাছানাও ওয়ামা- তুকাদ্দিমূ লিআনফুছিকুম মিন খাইরিন তাজিদূ হু ‘ইনদাল্লা-হি হুওয়া খাইরাওঁ ওয়া আ‘জামা আজরাও ওয়াছতাগফিরুল্লা-হা ইন্নাল্লা-হা গাফূরুর রাহীম।
আল বায়ান:
নিশ্চয় তোমার রব জানেন যে, তুমি রাতের দুই তৃতীয়াংশের কিছু কম, অথবা অর্ধরাত অথবা রাতের এক তৃতীয়াংশ সালাতে দাঁড়িয়ে থাক এবং তোমার সাথে যারা আছে তাদের মধ্য থেকে একটি দলও। আর আল্লাহ রাত ও দিন নিরূপণ করেন। তিনি জানেন যে, তোমরা তা করতে সক্ষম হবে না। তাই তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করলেন। অতএব তোমরা কুরআন থেকে যতটুকু সহজ ততটুকু পড়। তিনি জানেন তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়বে। আর কেউ কেউ আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধানে পৃথিবীতে ভ্রমণ করবে, আর কেউ কেউ আল্লাহর পথে লড়াই করবে। অতএব তোমরা কুরআন থেকে যতটুকু সহজ ততটুকু পড়। আর সালাত কায়েম কর, যাকাত দাও এবং আল্লাহকে উত্তম ঋণ দাও। আর তোমরা নিজদের জন্য মঙ্গলজনক যা কিছু অগ্রে পাঠাবে তোমরা তা আল্লাহর কাছে পাবে প্রতিদান হিসেবে উৎকৃষ্টতর ও মহত্তর রূপে। আর তোমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতীব ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমার প্রতিপালক জানেন যে, তুমি কখনও রাতের দু’তৃতীয়াংশ ‘ইবাদাতের জন্য দাঁড়াও, কখনও অর্ধেক, কখনও রাতের এক তৃতীয়াংশ, তোমার সঙ্গী-সাথীদের একটি দলও (তাই করে)। আল্লাহ্ই রাত আর দিনের পরিমাণ নির্ধারণ করেন। তিনি জানেন, তোমরা তা যথাযথ হিসাব রেখে পালন করতে পারবে না। কাজেই তিনি তোমাদের প্রতি ক্ষমাপরবশ হয়েছেন। কাজেই কুরআনের যতটুকু পড়া তোমার জন্য সহজ হয়, তুমি ততটুকু পড়। তিনি জানেন, তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ হবে, আর কতক আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধানে যমীনে ভ্রমণ করবে, আর কতক আল্লাহর পথে যুদ্ধ করবে। কাজেই তোমাদের জন্য যতটুকু সহজসাধ্য হয় তাই তাত্থেকে পাঠ কর, আর নামায প্রতিষ্ঠা কর, যাকাত দাও আর আল্লাহকে ঋণ দাও উত্তম ঋণ। তোমরা যা কিছু কল্যাণ নিজেদের জন্য আগে পাঠাবে, তা আল্লাহর নিকট (সঞ্চিত) পাবে, তাই উত্তম এবং পুরস্কার হিসেবে খুব বড়। তোমরা আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর, আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু।
Sahih International:
Indeed, your Lord knows, [O Muhammad], that you stand [in prayer] almost two thirds of the night or half of it or a third of it, and [so do] a group of those with you. And Allah determines [the extent of] the night and the day. He has known that you [Muslims] will not be able to do it and has turned to you in forgiveness, so recite what is easy [for you] of the Qur'an. He has known that there will be among you those who are ill and others traveling throughout the land seeking [something] of the bounty of Allah and others fighting for the cause of Allah. So recite what is easy from it and establish prayer and give zakah and loan Allah a goodly loan. And whatever good you put forward for yourselves - you will find it with Allah. It is better and greater in reward. And seek forgiveness of Allah. Indeed, Allah is Forgiving and Merciful.






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।