আল কুরআন


দেখুন/লুকান:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


اِذَا الشَّمْسُ کُوِّرَتْ ۪ۙ﴿۱﴾
উচ্চারণ:
ইযাশশামছুকুওবিরাত।
আল বায়ান:
যখন সূর্যকে গুটিয়ে নেয়া হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন সূর্যকে গুটিয়ে নেয়া হবে
Sahih International:
When the sun is wrapped up [in darkness]



وَ اِذَا النُّجُوْمُ انْکَدَرَتْ ۪ۙ﴿۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযাননুজূমুন কাদারাত।
আল বায়ান:
আর নক্ষত্ররাজি যখন পতিত হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তারকাগুলো যখন তাদের উজ্জ্বলতা হারিয়ে খসে পড়বে।
Sahih International:
And when the stars fall, dispersing,



وَ اِذَا الْجِبَالُ سُیِّرَتْ ۪ۙ﴿۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযাল জিবা-লুছুইয়িরাত।
আল বায়ান:
আর পর্বতগুলোকে যখন সঞ্চালিত করা হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
পর্বতগুলোকে যখন চলমান করা হবে,
Sahih International:
And when the mountains are removed



وَ اِذَا الْعِشَارُ عُطِّلَتْ ۪ۙ﴿۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযাল ‘ইশা-রু ‘উত্তিলাত।
আল বায়ান:
আর যখন দশমাসের গর্ভবতী উষ্ট্রীগুলো উপেক্ষিত হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন দশ মাসের গর্ভবতী উটনিগুলোকে অযত্নে পরিত্যাগ করা হবে,
Sahih International:
And when full-term she-camels are neglected



وَ اِذَا الْوُحُوْشُ حُشِرَتْ ۪ۙ﴿۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযাল উহূশু হুশিরাত।
আল বায়ান:
আর যখন বন্য পশুগুলোকে একত্র করা হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন বনের জন্তু জানোয়ারকে (বন থেকে গুটিয়ে এনে লোকালয়ে) একত্রিত করা হবে,
Sahih International:
And when the wild beasts are gathered



وَ اِذَا الْبِحَارُ سُجِّرَتْ ۪ۙ﴿۶﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযাল বিহা-রু ছুজ্জিরাত।
আল বায়ান:
আর যখন সমুদ্রগুলোকে অগ্নিউত্তাল করা হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন সমুদ্রগুলোকে প্রজ্জ্বলিত করে উত্তাল করা হবে।
Sahih International:
And when the seas are filled with flame



وَ اِذَا النُّفُوْسُ زُوِّجَتْ ۪ۙ﴿۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযাননুফূছুযুওবিজাত।
আল বায়ান:
আর যখন আত্মাগুলোকে (সমগোত্রীয়দের সাথে) মিলিয়ে দেয়া হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন দেহের সঙ্গে আত্মাগুলোকে আবার জুড়ে দেয়া হবে,
Sahih International:
And when the souls are paired



وَ اِذَا الْمَوْءٗدَۃُ سُئِلَتْ ۪ۙ﴿۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযাল মাওঊদাতুছুইলাত।
আল বায়ান:
আর যখন জীবন্ত কবরস্থ কন্যাকে জিজ্ঞাসা করা হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন জীবন্ত পুঁতে-ফেলা কন্যা-শিশুকে জিজ্ঞেস করা হবে,
Sahih International:
And when the girl [who was] buried alive is asked



بِاَیِّ ذَنْۢبٍ قُتِلَتْ ۚ﴿۹﴾
উচ্চারণ:
বিআইয়ি যামবিন কুতিলাত।
আল বায়ান:
কী অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছে?
তাইসিরুল কুরআন:
কোন্ অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছে?
Sahih International:
For what sin she was killed



وَ اِذَا الصُّحُفُ نُشِرَتْ ﴿۪ۙ۱۰﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযাসসুহুফুনুশিরাত।
আল বায়ান:
আর যখন আমলনামাগুলো প্রকাশ করে দেয়া হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন ‘আমালনামাগুলো খুলে ধরা হবে,
Sahih International:
And when the pages are made public



وَ اِذَا السَّمَآءُ کُشِطَتْ ﴿۪ۙ۱۱﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইয়াছ ছামাউ কুশিতাত।
আল বায়ান:
আর যখন আসমানকে আবরণ মুক্ত করা হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন আসমানের পর্দা সরিয়ে ফেলা হবে।
Sahih International:
And when the sky is stripped away



وَ اِذَا الْجَحِیْمُ سُعِّرَتْ ﴿۪ۙ۱۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযাল জাহীমুছু‘‘য়িরাত।
আল বায়ান:
আর জাহান্নামকে যখন প্রজ্জ্বলিত করা হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
যখন জাহান্নামকে উসকে দেয়া হবে,
Sahih International:
And when Hellfire is set ablaze



وَ اِذَا الْجَنَّۃُ اُزْلِفَتْ ﴿۪ۙ۱۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া ইযাল জান্নাতুউযলিফাত।
আল বায়ান:
আর জান্নাতকে যখন নিকটবর্তী করা হবে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর জান্নাতকে নিকটে আনা হবে,
Sahih International:
And when Paradise is brought near,



عَلِمَتْ نَفْسٌ مَّاۤ اَحْضَرَتْ ﴿ؕ۱۴﴾
উচ্চারণ:
‘আলিমাত নাফছুম মাআহদারাত।
আল বায়ান:
তখন প্রত্যেক ব্যক্তিই জানতে পারবে সে কী উপস্থিত করেছে!
তাইসিরুল কুরআন:
তখন প্রত্যেক ব্যক্তি জানতে পারবে সে কী (সঙ্গে) নিয়ে এসেছে।
Sahih International:
A soul will [then] know what it has brought [with it].



فَلَاۤ اُقْسِمُ بِالْخُنَّسِ ﴿ۙ۱۵﴾
উচ্চারণ:
ফালা উকছিমুবিলখুন্নাছ।
আল বায়ান:
আমি কসম করছি পশ্চাদপসারী নক্ষত্রের।
তাইসিরুল কুরআন:
আমি শপথ করছি (গ্রহের) যা পেছনে সরে যায়,
Sahih International:
So I swear by the retreating stars -



الْجَوَارِ الْکُنَّسِ ﴿ۙ۱۶﴾
উচ্চারণ:
আল জাওয়া-রিল কুন্নাছ।
আল বায়ান:
যা চলমান, অদৃশ্য।
তাইসিরুল কুরআন:
চলে ও লুকিয়ে যায়,
Sahih International:
Those that run [their courses] and disappear -



وَ الَّیْلِ اِذَا عَسْعَسَ ﴿ۙ۱۷﴾
উচ্চারণ:
ওয়াল্লাইলি ইযা-‘আছ‘আছ।
আল বায়ান:
আর কসম রাতের, যখন তা বিদায় নেয়।
তাইসিরুল কুরআন:
শপথ রাতের যখন তা বিদায় নেয়
Sahih International:
And by the night as it closes in



وَ الصُّبْحِ اِذَا تَنَفَّسَ ﴿ۙ۱۸﴾
উচ্চারণ:
ওয়াসসুবহিইযা-তানাফফাছ।
আল বায়ান:
আর কসম প্রভাতের, যখন তা আগমন করে।
তাইসিরুল কুরআন:
আর ঊষার যখন তা নিঃশ্বাস ফেলে অন্ধকারকে বের করে দেয়,
Sahih International:
And by the dawn when it breathes



اِنَّهٗ لَقَوْلُ رَسُوْلٍ کَرِیْمٍ ﴿ۙ۱۹﴾
উচ্চারণ:
ইন্নাহূলাকাওলুরাছূলিন কারীম।
আল বায়ান:
নিশ্চয় এ কুরআন সম্মানিত রাসূলের* আনিত বাণী।
তাইসিরুল কুরআন:
এ কুরআন নিশ্চয়ই সম্মানিত রসূলের (অর্থাৎ জিবরাঈলের) আনীত বাণী।
Sahih International:
[That] indeed, the Qur'an is a word [conveyed by] a noble messenger



ذِیْ قُوَّۃٍ عِنْدَ ذِی الْعَرْشِ مَکِیْنٍ ﴿ۙ۲۰﴾
উচ্চারণ:
যী কুওওয়াতিন ‘ইনদা যিল ‘আরশি মাকীন।
আল বায়ান:
যে শক্তিশালী, আরশের মালিকের নিকট মর্যাদাসম্পন্ন।
তাইসিরুল কুরআন:
যে শক্তিশালী, ‘আরশের মালিক (আল্লাহ)’র নিকট মর্যাদাশীল।
Sahih International:
[Who is] possessed of power and with the Owner of the Throne, secure [in position],



مُّطَاعٍ ثَمَّ اَمِیْنٍ ﴿ؕ۲۱﴾
উচ্চারণ:
মুতা-‘ইন ছাম্মা আমীন।
আল বায়ান:
মান্যবর, সেখানে সে বিশ্বস্ত।
তাইসিরুল কুরআন:
সেখানে মান্য ও বিশ্বস্ত।
Sahih International:
Obeyed there [in the heavens] and trustworthy.



وَ مَا صَاحِبُکُمْ بِمَجْنُوْنٍ ﴿ۚ۲۲﴾
উচ্চারণ:
ওয়া মা-সা-হিবুকুম বিমাজনূন।
আল বায়ান:
আর তোমাদের সাথী* পাগল নয়।
তাইসিরুল কুরআন:
(ওহে মাক্কাবাসী!) তোমাদের সঙ্গী (মুহাম্মাদ) পাগল নয়।
Sahih International:
And your companion is not [at all] mad.



وَ لَقَدْ رَاٰهُ بِالْاُفُقِ الْمُبِیْنِ ﴿ۚ۲۳﴾
উচ্চারণ:
ওয়া লাকাদ রাআ-হু বিলউফুকিল মুবীন।
আল বায়ান:
আর সে* তাকে** সুস্পষ্ট দিগন্তে দেখেছে।
তাইসিরুল কুরআন:
সে সেই বাণী বাহককে সুস্পষ্ট দিগন্তে দেখেছে,
Sahih International:
And he has already seen Gabriel in the clear horizon.



وَ مَا هُوَ عَلَی الْغَیْبِ بِضَنِیْنٍ ﴿ۚ۲۴﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-হুওয়া ‘আলাল গাইবি বিদানীন।
আল বায়ান:
আর সে তো গায়েব সম্পর্কে কৃপণ নয়।
তাইসিরুল কুরআন:
সে গায়বের (জ্ঞান মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার) ব্যাপারে কৃপণতা করে না।
Sahih International:
And Muhammad is not a withholder of [knowledge of] the unseen.



وَ مَا هُوَ بِقَوْلِ شَیْطٰنٍ رَّجِیْمٍ ﴿ۙ۲۵﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-হুওয়া বিকাওলি শাইতা-নির রাজীম।
আল বায়ান:
আর তা কোন অভিশপ্ত শয়তানের উক্তি নয়।
তাইসিরুল কুরআন:
আর তা কোন অভিশপ্ত শয়ত্বানের বাণী নয়।
Sahih International:
And the Qur'an is not the word of a devil, expelled [from the heavens].



فَاَیْنَ تَذْهَبُوْنَ ﴿ؕ۲۶﴾
উচ্চারণ:
ফাআইনা তাযহাবূন।
আল বায়ান:
সুতরাং তোমরা কোথায় যাচ্ছ?
তাইসিরুল কুরআন:
কাজেই তোমরা (সত্যকে প্রত্যাখ্যান করে) কোথায় চলেছ?
Sahih International:
So where are you going?



اِنْ هُوَ اِلَّا ذِکْرٌ لِّلْعٰلَمِیْنَ ﴿ۙ۲۷﴾
উচ্চারণ:
ইন হুওয়া ইল্লা-যিকরুল লিল‘আ-লামীন।
আল বায়ান:
এটাতো সৃষ্টিকুলের জন্য উপদেশমাত্র।
তাইসিরুল কুরআন:
এটা তো কেবল বিশ্ববাসীদের জন্য উপদেশ।
Sahih International:
It is not except a reminder to the worlds



لِمَنْ شَآءَ مِنْکُمْ اَنْ یَّسْتَقِیْمَ ﴿ؕ۲۸﴾
উচ্চারণ:
লিমান শাআ মিনকুম আইঁ ইয়াছতাকীম।
আল বায়ান:
যে তোমাদের মধ্যে সরল পথে চলতে চায়, তার জন্য।
তাইসিরুল কুরআন:
তার জন্য- যে তোমাদের মধ্যে সরল সঠিক পথে চলতে চায়।
Sahih International:
For whoever wills among you to take a right course.



وَ مَا تَشَآءُوْنَ اِلَّاۤ اَنْ یَّشَآءَ اللّٰهُ رَبُّ الْعٰلَمِیْنَ ﴿۲۹﴾
উচ্চারণ:
ওয়ামা-তাশাঊনা ইল্লাআইঁ ইয়াশাআল্লা-হু রাব্বুল ‘আ-লামীন।
আল বায়ান:
আর তোমরা ইচ্ছা করতে পার না, যদি না সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহ ইচ্ছা করেন।
তাইসিরুল কুরআন:
তোমরা ইচ্ছে কর না যদি বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহ ইচ্ছে না করেন।
Sahih International:
And you do not will except that Allah wills - Lord of the worlds.






সতর্কবার্তা
কুরআনের কোনো অনুবাদ ১০০% নির্ভুল হতে পারে না এবং এটি কুরআন পাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। আমরা এখানে বাংলা ভাষায় অনূদিত প্রায় ৮ জন অনুবাদকের অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা তাদের নির্ভুলতার গ্যারান্টি দিতে পারি না।